কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
আবহাওয়াগত বিচারে শ্রীনগরে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কারণ পাহাড়ি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ও স্বাভাবিকের থেকে অন্তত ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাপপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়। এই ‘উত্তপ্ত’ আবহাওয়ার মধ্যে কাশ্মীরে বিপাকে পড়েন পর্যটকরা। হঠাৎ করে এসি ট্যুরিস্ট গাড়ির চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। গৃহস্থরাও কুলার, পাখার খোঁজে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন। উল্লেখ্য, আগামী ৮ জুলাই থেকে ভূস্বর্গের স্কুলগুলিতে ১০ দিনের গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হওয়ার কথা। তা এগিয়ে আসতে পারে।
গত মে মাসে শ্রীনগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি অতিক্রম করে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরে সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে ৩৬.৪ ডিগ্রি। এটা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের মে মাসে। শ্রীনগরে গরম এতটা বেড়ে যাওয়ায় আবহাওয়াবিদ ও পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ও ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের জেরে সেখানে তাপমাত্রা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শ্রীনগরে তাপমাত্রা বাড়লেও দেশের অন্যান্য হিল স্টেশনগুলিতে তাপমাত্রা কমই ছিল। সিমলা, নৈনিতাল, মুসৌরি থেকে শুরু করে এরাজ্যের দার্জিলিংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।
বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের জন্য কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে। হাঁসফাঁস করা গরম আর নেই। দুপুরে রাস্তায় হাঁটতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। বাড়িতে রাতে এসি মেশিন চালানোর প্রয়োজন পড়ছে না। মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নীচে রয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রির মতো কম। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার আগে এবার যে ধরনের প্রচণ্ড গরম পড়েছিল, তা থেকে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে। এবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। পশ্চিমাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।
আগামী ৪-৫ দিন কলকাতায় আবহাওয়া এরকমই থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। মাঝে মাঝে হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। বুধবার সকাল সাড়ে পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৪৭.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।