কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গণপিটুনির ঘটনা এড়াতে পুলিসের কাছে আগাম খবর না-থাকা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। ফলে আগাম খবর পাওয়ার ক্ষেত্রে লোকাল ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে পুলিসের যোগাযোগ বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনা রুখতে প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি। এই কাজের জন্যেও পুলিসকে লোকাল ক্লাবের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগাম বা দ্রুত খবর পাওয়ার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিসকে আরও ভালো করে ব্যাবহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
গণপিটুনির পাশাপাশি রাজ্যে ডাকাতি এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের। এই সমস্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে রাজ্যজুড়ে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা বাজেয়াপ্ত করতে বিশেষ অভিযান চালাবে পুলিস। নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনায় দুষ্কৃতীদের অবাধে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র চালাতে দেখা গিয়েছে। এর আগেও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার ফের একবার একই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার মনে রাখতে হবে যে, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে অল্প সময়ের জন্য অভিযান চালিয়ে থেমে গেলে হবে না। এটা চালিয়ে যেতে হবে। থানা স্তরের পুলিস অফিসারদের এবিষয়ে আরও তৎপর বতে হবে।’
পর পর সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার উল্লেখ করে সোর্স নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বিহার-ঝড়খণ্ডের গ্যাংস্টারদের সম্পর্কে আরও বেশি করে তথ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে এদিনের নির্দেশিকায়। রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নাকা তল্লাসি বৃদ্ধিরও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। তবে নাকা তল্লাসি বাড়িয়ে বা তাদের উপর নজরদারি চালিয়ে গ্রেপ্তারেই কাজ শেষ হবে না, দোষীদের সাজা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এতে পুলেসের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।