কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
আসানসোলের এডিজে-১ নম্বর এবং সিজেএম’এর মতো দুটি পৃথক এজলাসে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির শুনানি হয়। দুই এজলাসেই আসানসোলের তাবড় আইনজীবীরা সুবোধকে সিআইডি’র নাগাল থেকে বাঁচাতে মরিয়া প্রয়াস চালান। সন্ধ্যায় শেষ হাসি হাসে সিআইডি’ই। অন্যদিকে হেফাজতে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া মাত্রই ‘ডন’এর তেজ ভ্যানিস! কাঁচুমাচু মুখে প্রিজন ভ্যান থেকে তার দাবি, আমি সিআইডিকে হুমকি দিইনি। সিআইডি আমাকে হুমকি দিয়েছে। গুলি করে মেরে দেবে বলেছে। সুবোধের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাতেই সুবোধ সিংকে ভবানীভবনে নিয়ে আসেন সিআইডি’র তদন্তকারীরা। সুবোধকে জেরা করার জন্য সিআইডি একজন স্পেশাল সুপারের নেতূত্বে ১৮ জনের বিশেষ টিম গঠন করেছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে গ্যাংস্টারের জেরা পর্বো অভিযুক্তর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, এই মামলায় তদন্তকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি তুলে ধরে তাঁর হেফাজতের আর্জির বিরোধিতা করেছিলাম। অর্ডার কপিতে সেই সব উল্লেখ করা হয়নি। বিচারক অভিযুক্তর ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। আমরা মক্কেলের হয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব।
দেশ জুড়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সোনা লুটের পান্ডা সুবোধ সিংকে সোমবার আসানসোলে জেলে ঢোকানো মাত্রই সিআইডি অফিসারদের সে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী অফিসারদের পরিবারকেও মুল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আদালত চত্বরকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়। সকাল থেকে প্রচুর পুলিস আসানসোল আদালত চত্বরে পজিশন নেয়। বেলা বাড়তেই আদালত চত্বর গার্ডরেল দিয়ে করিডোর করে দেওয়া হয়। তারপর পলিসের কর্ডন। সুবোধকে প্রথমে তোলা হয় আসানসোল এডিজে-১ বিচারক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেখানে শুরু হয় প্রথম আইনি যুদ্ধ। অভিযুক্তকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত চান তদন্তকারী অফিসার। সে আর্জি জানানো মাত্রই সুবোধের দুই আইনজীবী নিজেদের হাফ ডজন সহযোগীকে নিয়ে কার্যত রে রে করে ওঠেন। তাঁরা দাবি করেন, একজন সেশন জজ কখনই ১৬৭ ধারা আর্জি শুনতেই পারেন না। তা শুনবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া এই আদালত বেউর জেলকে নির্দেশ দিয়েছিল, সুবোধকে ৩ জুলাই হাজির করতে। সিআইডি কী করে গ্রেপ্তার করে তুলে নিয়ে এল! অন্যদিকে সিআইডি’র আইনজীবী প্রশান্ত ঘোষ দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে এই বিচারক নিশ্চয়ই এই আর্জি শুনতে পারেন। সিআইডি তাকে তুলে নিয়ে আসেনি, জেলই তাকে পাঠিয়েছে। সিআইডি শুধু সহযোগিতা করেছে। এরপর বিচারক সিআইডি’র আর্জিটি আসানসোল সিজেএম এজলাসে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও ঘণ্টাখানেক ধরে আইনি লড়াই চলে।