কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
কথায় বলে, কাদায় পড়লে হাতি, মশাও লাথি মারে। সল্টলেকের বাড়িতে শুধু চোরের উপদ্রবই নয়, ঝোপ-ঝাড়-জঙ্গলেরও পোয়াবারো। সেগুলি লালার বিলাসবহুল বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেছে। নিরাপদ আস্তানা গেড়েছে সাপ, পোকামাকড়। তাতে ঘোরতর সমস্যায় পড়েছেন পড়শিরা। তাঁরাও কোমর বেঁধে নিত্য ‘শাসানি’ দিচ্ছেন লালাকে। বেকায়দায় পড়ে লালা এখন চাইছেন, সল্টলেকের বাড়িতে একবার যেতে। তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারকের মাধ্যমে এমনই আর্জি জানালেন কয়লা পাচারের মূল মাথা।
বুধবার সিবিআই বিশেষ আদালতে কয়লা পাচার মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় আদালতের কাছে এক বিশেষ আরজি জানান। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের সল্টলেকে একটি বাড়ি রয়েছে। সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁর সেখানে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বাড়িতে নিজের ঘরের রিজার্ভারের ঢাকনা চুরি হচ্ছে। বাড়িটি ঝোপ জঙ্গলে ঘিরে গিয়েছে। বারবার প্রতিবেশীরা ফোন করছেন। এখন তো আবার পুরসভাও জবরদখল সরাতে জোর দিয়েছে। কোথায় কী হয়ে যায়। অতঃপর, আমার মক্কেলের একবার সেখানে যাওয়া প্রয়োজন। তাঁর আইনজীবী জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অনুপ মাজি পুরুলিয়ার বাড়িতেই থাকতে পারবেন। এই নির্দেশের জেরেই তিনি কলকাতায় যেতে পারছেন না।
বিচারক লালার আইনজীবীর কাতর আর্জি শুনে সল্টলেকে যাওয়ার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়ে তিনি সেখানে যেতে পারেন। পুরুলিয়ায় ফিরে এলেও তাঁকে আবার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। এখন দেখার লালা ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করতে কবে সল্টলেকে যাচ্ছেন।
কয়লা পাচার মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে একাধিক বড় কারখানার মালিকদেরও। যেমন, শামসের হোসেন, রাজেশ শর্মা, রমেশ বাগাড়িয়া, শেখ সদুরুদ্দিন, নীরদ মণ্ডল প্রমুখ। তাঁদের আইনজীবী শেখর কুন্ডুও একই দাবি জানান। তাঁদের দাবি, ব্যবসার কারণে রাজ্যের বাইরে যেতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আকস্মিক বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আগে থেকে আদালতকে জানানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে সিবিআই আইনজীবী রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআই অফিসারদের অভিমত জানতে চান। সিবিআই অফিসাররা আপত্তি জানাননি। বিচারক তাঁদের ক্ষেত্রেও নির্দেশ দেন, তাঁরা বাইরে গেলে যেন অবস্থান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়ে দেন।