গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদিও মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মণ্ডল বলেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন। তৃণমূলের থেকে টাকা খেয়ে স্থানীয় কিছু মানুষজন বিজেপির পতাকা নিয়ে আমাদের দলকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে। দল পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রার্থী নিয়ে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষকে পরিবর্তনের দাবিতে গত ১১ মার্চ লালবাগ শহরে মিছিল বের হয়। মিছিল লালবাগ শহর পরিক্রমা করে। ওই দিনের মিছিলে মুর্শিদাবাদ লোকসভার সমস্ত বিধানসভার নেতা ও কর্মীরা শামিল হয়েছিলেন। মিছিল থেকে গৌরীশঙ্কর ঘোষকে প্রার্থীপদ থেকে সরানোর দাবির পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, আর্থিক ও গ্যাস কেলেঙ্কারির নায়ক বলে স্লোগান তোলা হয়।
মঙ্গলবার ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ভাস্কর সরকারের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। এরপরই দলের অন্দরে চাপা ক্ষোভ জমতে শুরু করে। ওইদিন বিকেলে বিজেপির এক জেলা নেতা বিধানসভার মতো নির্বাচনে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রার্থীর গ্রামের বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিন ভগবানগোলার বরবরিয়ায় নেতা ও কর্মীরা দুই প্রার্থীর পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ভগবানগোলা বিধানসভার বিজেপির এসসি মোর্চার কনভেনর কুলদীপ চৌধুরী বলেন, প্রার্থীকে দলের কেউ চেনেন না। নিজের এলাকায় তাঁর কোনও পরিচিতি নেই। এরকম একজনকে প্রার্থী করার অর্থ, নির্বাচনের আগেই পরাজয় স্বীকার করে নেওয়া। তাই এই প্রার্থীকে আমরা মানছি না। পাশাপাশি লোকসভার প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ নানা আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাই দু’জনকে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
অপর এক বিজেপি নেতা সোহেল শেখ বলেন, গত বিধানসভা ভোটের সময় ভাস্কর সরকার জানিয়েছিলেন, তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি আবার কবে বিজেপিতে যোগ দিলেন আমরা কেউ জানতে পারলাম না। অথচ দলের নেতা ও কর্মীদের অন্ধকারে রেখে তাঁকেই প্রার্থী করা হল। কাজেই এই প্রার্থীকে আমরা মানছি না।
যদিও মুর্শিদাবাদ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, শাসক দলের মদতে কিছু ধান্দাবাজ লোক এসব করছে। এই সব নাটক ভোটে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।
তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক শাওনি সিংহরায় বলেন, আমাদের এত দুর্দিন আসেনি। দলের কোন্দল সামলাতে না পেরে বিজেপির নেতারা তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে।