গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত একটি ফোনালাপে। ‘নারী সশক্তিকরণে’ ভর করে বিজেপি যে ভোট জয়ের আশায় রয়েছে, তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সর্বত্র মহিলা ভোটারদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন তিনি। আর এবার অমৃতা রায়। তাঁকে ফোনে মোদি বলেন, ‘আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। বাংলায় ইডি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। নতুন সরকার গঠনের পর এমন কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, যাতে ঘুষের এই ৩ হাজার কোটি টাকা গরিব মানুষ ফিরে পান। আপনি জনগণকে গিয়ে বলুন এটা।’
এ কথা স্বীকার করেছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীও। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। ইডির উদ্ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন।’ তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর পাল্টা আক্রমণ, ‘বিজেপি একটি জুমলা পার্টি। ক্ষমতায় আসার সময় মোদি বলেছিলেন, ১৫ লক্ষ টাকা প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে পাঠাবেন। তার কানাকড়িও পাওয়া যায়নি। এখন আবার ৩ হাজার কোটির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।’
মোদির সঙ্গে কথোপকথনে উঠে এসেছে অমৃতা দেবীর পূর্বপুরুষ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গও। ইতিহাসের পাতায় ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লার শাসনের অবসানের অভিযোগ রয়েছে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। সেই বিষয় টেনেও অমৃতাদেবী বলেন, মহারাজা ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিলেন, তাই আমাদের গদ্দার বলে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্র রায় না থাকলে সনাতন ধর্ম শেষ হয়ে যেত। মোদি তাঁকে বলেন, পাপ ঢাকতে এইসব খুঁজে বের করে ওরা।
তৃণমূলের স্পষ্ট দাবি, সবই ভোট টানার নতুন টোপ। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘ইডির টাকা উদ্ধারের বিষয়টি বিচারাধীন। সেই টাকা উনি বিলির প্রতিশ্রুতি দেন কীভাবে? এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ।’ আর মহিলা প্রার্থীদের ফোন প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘মোদি কি মণিপুরের নির্যাতিতাকে কখনও ফোন করেছিলেন? কিংবা বিলকিস বানোকে?’