শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হন দেবেন্দ্রনাথ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে গিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। লকডাউনের জন্য গত তিন মাস বালিয়া গ্রামের আদি বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১টা নাগাদ তিনি ঘুমোতে যান। স্ত্রী ও মেয়ে ছিলেন পাশের ঘরে। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গ্রামের লোকজন এসে স্ত্রীকে খবর দেয়, বাজারে বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। বিধায়কের স্ত্রী চাদিমা রায়ের অভিযোগ, ‘টাকার জন্য স্বামীকে খুন করা হয়েছে। রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার সন্দেহ স্বামীকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।’ রায়গঞ্জ পুলিস জেলার এসপি সুমিত কুমার অবশ্য বলেন, বিধায়কের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে দু’জনের নাম রয়েছে। তদন্ত চলছে।
বিধায়কের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ঠাকুরবাড়ি-বিন্দোল রাস্তা অবরোধ করেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের বিধায়ককে খুন করেছে।’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়া আগরওয়াল।
এই ঘটনায় রাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিধায়ককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দলীয় বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন কলকাতার বিজেপি পার্টি অফিস থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন দিলীপবাবু। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘সিবিআইয়ের থেকে অনেক বেশি কেস সমাধান করেছে আমাদের পুলিস। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। বিজেপির কাজ হল লাশ ধরার রাজনীতি।’
বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিশ্বাস, রাজ্য সরকার সঠিক পথেই এই ঘটনার তদন্ত করবে। এদিকে, বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস ও বামেরাও এই ঘটনাকে খুন বলেই মনে করছে। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী একসুরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন।