শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনপর্বে সারা বাংলার মতো উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তেও রেশন-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও ডিলারদের কাছ থেকে জোর করে সামগ্রী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিস বেশ কিছু জায়গায় ওই খাদ্যসামগ্রী উদ্ধারও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে সময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। রেশন নিয়ে আগের মতো আর অভিযোগ শোনা না-গেলেও নজরদারিতে ফাঁক রাখতে রাজি নয় দপ্তর।
গত জুন মাসে ৫২৩টি রেশন দোকানে অভিযান চালানো হয়। গুদামে মজুত কম থাকা, খাতাপত্রে ত্রুটি সহ নানান অভিযোগে মোট ২৭ জনকে শোকজ করার পাশাপাশি ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫১২ টাকা জরিমানা করা হয়। তার মধ্যে বারাকপুর গ্রামীণ এলাকায় ২৪টি দোকানে তদন্ত করার পর ছ’জন ডিলারকে শোকজ করা হয়। বারাসত মহকুমায় ২৫৭টি দোকান পরিদর্শনের পাশাপাশি ১৮ জন ডিলারকে শোকজ করা হয় ও ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বনগাঁ মহকুমায় ১৯১টি দোকান পরিদর্শন করে এক ডিলারকে শোকজ করার পাশাপাশি ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বসিরহাট মহকুমায় ৫১টি দোকান পরিদর্শন করে দুই ডিলারকে শোকজ ও ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫১২ টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে গত মে মাসে ওই চার মহকুমায় মোট ৬০০টি দোকান পরিদর্শন করে ২৮ জন ডিলারকে শোকজ ও ছ’জন ডিলারকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এপ্রিল মাসে চার মহকুমার ৬২০টি দোকানে পরিদর্শন করে ৩২ জন ডিলারকে শোকজ করা হয়। শুধুমাত্র বারাসত মহকুমায় পাঁচ ডিলারকে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ফাইন করা হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, লকডাউনের সময় থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশস্য ডিলারদের কাছে আসছে। প্রত্যেক মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ কুইন্টাল চাল ও গম রাখার মতো সব ডিলারের পরিকাঠামো নেই। সেকারণে সব সময় স্টক ঠিক রাখা যাচ্ছে না। খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেও অনেক ডিলারকে শোকজ ও জরিমানা করছেন। সে কারণে তিন মাসে প্রায় ১২ জন ডিলার লাইসেন্স ছাড়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। নিয়ম পরিবর্তন না-হলে আমাদের আন্দোলনে নামা ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা নেই।