শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
তদন্তকারী অফিসাররা জেনেছেন, কারখানা ছাড়াও শীল লেন এলাকায় দুটি বাড়ি ও দোকান করেছিলেন প্রসূন ও প্রণয়ের বাবা। শান্তিনিকেতনে রেশম চাষের জন্য ১০০ বিঘা জমিও কিনেছিলেন। এছাড়া পুরীতে ছিল বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি। বাবা বেঁচে থাকাকালীন ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল। তদন্তে উঠে আসছে, বাবার মৃত্যুর পর রাতারাতি বিদেশে ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হন দুই ভাই। প্রথমদিকে ভালো অর্ডারও এসেছে। দুই ভাই ছাড়া কোম্পনির ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন স্ত্রীরা। নিজেদের পাশাপাশি স্ত্রীদের নামেও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে শুরু করেন দুই ভাই। সেই টাকায় কোটি কোটি টাকার চামড়া কেনেন। শুরু করেন আউটসোর্সিং। কিন্তু আশামতো লাভ হয়নি। মরিয়া হয়ে কোম্পানির টার্নওভার বেশি দেখিয়ে ঋণের পরিমাণ বাড়ান তাঁরা। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার জন্য বসতবাড়িও বন্ধক রাখেন। কিস্তি ঠিকমতো জমা না হওয়ায় ব্যাঙ্ক আর ঋণ দেয়নি। তখন শুরু হয় পার্সোনাল লোন নেওয়া। তারপরও টাকার টান পড়ায় বেসরকারি সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ ছাড়া গতি ছিল না। অটল সুর রোডেই বাবার করে যাওয়া একটি বাড়ির সাতটি ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রি করে দেন তাঁরা। তার থেকে ৫-৬ কোটি টাকা পেয়েছিলেন বলে পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকাও থাকেনি। কলকাতা থেকে পুরী—বিকিয়ে যায় সব সম্পত্তি। তাতেও অবশ্য ‘লাইফস্টাইল’ বদলায়নি! প্রতি দু’বছরে গাড়ি বদলেছে দে পরিবার। বিদেশ ভ্রমণও চলেছে নিয়ম করে। বাড়ির ইন্টিরিয়র তাক লাগানোর মতো। প্রসূন পার্টি করতে বিভিন্ন জায়গায় যেতেন। বিভিন্ন ক্লাবের মেম্বারশিপও নিয়েছিলেন। এই লাইফস্টাইল ধরে রাখতে কোম্পানির নামে নেওয়া ঋণের টাকাই খরচ হয়ে যায় বলে পুলিস সূত্রে খবর। এদিকে পাওনাদারের সংখ্যা বাড়ছে। কারখানার কর্মীদের বেতন অনিয়মিত। তাঁর বাড়িতে ব্যাঙ্ক সহ অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লোকজন এলেও গেট খুলতেন না তাঁরা। শেষ দু’দিন ৩০ জন পাওনাদার এসেছিল। পুলিসের বক্তব্য, এরপরই চূড়ান্ত পথ বেছে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ির তিন মেয়েই কেন ‘শিকার’? এই উত্তর কিন্তু অধরা এখনও।