শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, এদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হল অন্তত তিনমাস পর। তবে শীত বিদায় নিয়ে বসন্তের শুরুতেই অসময়ে বেশি মাত্রায় বৃষ্টির ফলে মাঠের রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে আলু নিয়ে চিন্তিত কৃষি বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণবঙ্গের যেসব জায়গায় বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে আলু মাঠ থেকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। চলছে আলু তোলার কাজও। অনেক জায়গাতেই মাঠে জল জমে গিয়েছে। ফলস বাঁচাবার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে কৃষিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার উত্তর বাংলাদেশ থেকে তেলেঙ্গানা পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত ছিল। অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে গিয়েছে। অক্ষরেখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে
প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করার কারণে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হতে শুরু করে।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, বায়ুস্রোতের গতিপ্রকৃতির কিছু পরিবর্তনের জন্য আজ শুক্রবার ঝড়বৃষ্টি তেমন হবে না। কিন্তু আগামী শনি ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ফের ঝড়বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার খুব ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রমেঘ সঞ্চার হতে শুরু করে। প্রথম দিকে দফায় দফায় বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। বেলা সাড়ে ১০টার পর কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং নদীয়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রমেঘ জড়ো হয়। বেলা ১১টার পর কলকাতাজুড়ে আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথমে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হয় শহরে। বিকেল পর্যন্ত ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলে কলকাতায়। সন্ধ্যায় ঝড়গ্রামে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। বৃষ্টির জন্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে যায় অনেকটাই। শহরে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুধবারের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে ২৭.৫ ডিগ্রি হয়।