শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা চৌরাশিয়া স্কুলে পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার কারণে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। সেখানে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় পরীক্ষা শেষ করার জন্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবার পরীক্ষা চলাকালীন ঝড়বৃষ্টির জেরে পরীক্ষার্থীরা কাকভেজা হয়ে যান। পাল্লাবিহীন জানালা বা দরজা দিয়ে জল ঢুকে পড়ে পরীক্ষার হলে। লোডশেডিং এবং অন্যান্য সমস্যায় পরীক্ষা বন্ধ থাকে বেশ কিছু কেন্দ্রে। ফলে ৩০ মিনিটেরও বেশি বাড়তি সময় দিতে হয় বেশ কিছু কেন্দ্রে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর হাঁটাল বিশালাক্ষী হাইস্কুল এবং পাঁতিহাল বালিকা বিদ্যালয়ে লোডশেডিং হয়ে যায়। তবে জেনারেটর থাকায় সমস্যা হয়নি। হুগলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কমিটির কনভেনর দেবাশিস বসু জানান, আগাম বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় কোথাও বড় সমস্যা হয়নি। প্রসঙ্গত, এই জেলার কোথাও কোথাও মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা পরিচালনার খবর মিলেছে। বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষার পরে কাকভেজা হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে বহু পরীক্ষার্থীকে। তবে, এদিনই মূল লেখা পরীক্ষার শেষদিন হওয়ায় অনেকে এতে বরং মজাই পেয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদীয়া, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়। তারের ওপর গাছ পড়ে, পোল ভেঙে যাওয়ায় বহু মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত সমস্যার মোকাবিলা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদিন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন ছিল ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা। তবে, টোকাটুকি করতে না দেওয়ায় কলকাতার নারকেলডাঙা দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠে ভাঙচুর চালায় কিছু পরীক্ষার্থী। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলেই পর্ষদের এক আধিকারিকের দাবি। এদিকে, মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকায় তিন জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এদিন। আলিপুরদুয়ারের যাদবপল্লি হাইস্কুলে মোবাইল সহ ধরা পড়ে ফালাকাটা হাইস্কুলের এক পড়ুয়া। বাঁকুড়ায় নিকুঞ্জপুর হাইস্কুলের এক ছাত্র মাজডিহা সারদামণি বিদ্যায়তনে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে। ঝাড়গ্রামে বল্ডি নিগমানন্দ হাইস্কুলের এক পড়ুয়া রঁতুয়া হাইস্কুলে মোবাইল সহ ধরা পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালিয়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, পড়ুয়ারা দরজা, জানালা, জলের ট্যাপ, পাইপ সহ অনেক কিছু ভেঙে দিয়ে গিয়েছে।