নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিনা হেলমেট ও বেপরোয়া গতিতে কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। টানা সচেতনতার বার্তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, বিশেষ কর্মশালা— সবকিছু সত্ত্বেও বাইকচালকদের মধ্যে উদাসীনতা আর ডোন্ট কেয়ার ভাব চরমে। উইকএন্ডের জয়রাইডে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা শহরের দুই জায়গায়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার মোমিনপুরে, অপরটি বেহালা থানা এলাকার রাজা রামমোহন রায় রোডে। দু’প্রান্তের দুর্ঘটনায় মোট ৭ জন তরুণ গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁরা এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের রেড জোনে ভর্তি। 
শনিবার গভীর রাতে একটি দুর্ঘটনা ঘটে মোমিনপুরের রিমাউন্ট রোডে। রাত সোয়া ন’টা নাগাদ জয়রাইডে বের হয় একটি  বাইক ও একটি স্কুটার। তাতে মোট ৪ জন ছিলেন। কারোরই মাথায় হেলমেট ছিল না। প্রত্যেকেরই বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে। আসগর গ্যারাজের কাছে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা মারে বাইক ও স্কুটার। ছিটকে পড়েন চারজনই। হেলমেট না থাকার জেরে প্রত্যেকের মাথায় গুরুতর জখম চোট লাগে। আহতদের নাম করণ সিং (২০), অভিনন্দন রায় (১৯), শাহজেব খান (২১) ও মহম্মদ আজমল খান (১৪)। করণ একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, বাকিরা এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি। শাহজেবের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তিনি রেড জোনে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে একুশ বছরের তরুণের।    
অন্যদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসের ভোরে জয়রাইডে বের হয় তিন ভাই। পুলিস জানিয়েছে, একই স্কুটারে বিনা হেলমেটে ঘুরছিলেন তাঁরা। বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডে একটি গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন তিনজন। তাঁদের নাম রিতম দাস (১৯), অভিজিৎ দাস (২০) ও কুণাল সর্দার (১৭)। তিন তরুণই আনন্দ পল্লি এলাকার বাসিন্দা। রিতম এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল? তার তদন্তে নেমেছে বেহালা থানার পুলিস। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক গাড়ির সন্ধান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।