অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
গাছে জল দেওয়া থেকে শুরু করে রাস্তা ধোয়ানো, শীতকালে বাতাসে জল স্প্রে করে ধূলিকণা কমানোর মতো কাজগুলি করতে পুরসভা পরিস্রুত পানীয় জলই ব্যবহার করে আসছে। এসব কাজে ওই জলের ব্যবহার কমাতে উদ্যোগী হয় পুরসভা। নর্দমার জল শোধন করে তা এসব কাজে লাগানো যায় কি না, চিন্তাভাবনা শুরু করে পুরসভা। সেই ভাবনা থেকেই খড়্গপুর আইআইটিকে এ ব্যাপারে সমীক্ষার দায়িত্ব দেয় নিকাশি বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ উদ্যোগী হন সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং। জানা গিয়েছে, পুরসভা এলাকা থেকে প্রায় ১২০০ লিটার নর্দমার জল নমুনা হিসেবে নিয়ে গিয়েছিল আইআইটি। ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে গবেষণার পর ফলাফলে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, ‘নর্দমার জল শোধনের পর যে স্লাজ পাওয়া যায়, তা অর্গানিক উপাদানে ভরপুর। ওই পদার্থকে সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১২০০ লিটার নর্দমার জল থেকে প্রায় ২৪ থেকে ২৫ লিটার স্লাজ বা জৈব সার পাওয়া যেতে পারে, যা প্রায় দু’শতাংশ।’
তিনি আরও জানান, এই পদ্ধতিতে নর্দমার জলে ব্যাকটেরিয়ার যে ‘লোড’ থাকে, তা সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়। প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া কমানো সম্ভব হয়েছে। সেই জল গাছে, রাস্তা ধোয়ানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে শোধনের পর ওই জল পান করা যাবে না। কারণ, তার মধ্যে নানা ধরনের ধাতব উপাদান থাকতে পারে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে ওই জল ‘আর ও’ (রিভার্স অসমোসিস বা বিপরীত অভিস্রবণ) করার পর পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে, তা পানের যোগ্য হচ্ছে কি না। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, ‘এই মাসেই পুরসভায় গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলব। ওঁরা যদি এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে ভালোই হবে। সেক্ষেত্রে পুরসভার বিভিন্ন কাজে পরিস্রুত পানীয় জলের অপচয় বন্ধ হবে।’