অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
ইতিহাস অনুযায়ী, পাল সাম্রাজ্যের পতনের পর সামন্ত সেনের হাত ধরে একাদশ ও দ্বাদশ শতকে বাংলায় শুরু হয় সেন সাম্রাজ্য। গড়িয়ার বোড়াল অঞ্চলে একটি দিঘি থেকে উদ্ধার হওয়া পাল ও সেন যুগের বেশ কিছু স্থাপত্য, ভাস্কর্য মিলেছিল। কথিত আছে, সতীর বাম করতালু এই অঞ্চলে পড়েছিল। পরবর্তীকালে সেন বংশের এক প্রতিনিধি এই দিঘির পাশে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে অন্যতম শক্তিপীঠ ত্রিপুরসুন্দরী মন্দির নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক এই শক্তিপীঠকে নব কলেবরে সাজিয়ে লৌকিক ও তন্ত্রসাধনার আঙ্গিকে গর্ভগৃহ সাজানো হয়েছে। চার কোণে রয়েছে চারটি হাতির মুখ। মন্দিরের শীর্ষ গম্বুজের তলায় ছাদে আঁকা জবা ফুল। তৈরি হয়েছে দেবীর নতুন সিংহাসন। কাস্ট আয়রন ও ফাইবার গ্লাসে বানানো হয়েছে সেগুলি। বিশেষ ধরনের মার্বেলে মুড়ে ফেলা হয়েছে গর্ভগৃহ। ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাস বলেন, ‘মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাহায্য ছাড়া এ কাজ সম্ভব হতো না। আমরা একটি আর্কাইভ বানাচ্ছি। মন্দিরের পুরনো যে সব জিনিস রয়েছে, মাটি খুঁড়ে পাল ও সেন যুগের যে সব সামগ্রী মিলেছিল, সেই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি রাখা থাকবে। এখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, লঙ্কা সহ বিভিন্ন সব্জি চাষও করা হচ্ছে।
শুধু মন্দির বা গর্ভগৃহ সংস্কার নয়। বিভিন্ন কাজে মন্দিরে বিবাহ অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, পারলৌকিক ক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার বর্গফুটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি ভবন’। দূরের দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য এই ভবনে থাকছে দু’শয্যা বিশিষ্ট দু’টি ঘর, বড় হল ঘর। নিজস্ব চিত্র