অংশীদারি কারবারে মন্দার সম্ভাবনা। যে কোনও কাজকর্মে বাধার মধ্যে উন্নতি। বৃত্তিগত শিক্ষা লাভে বিশেষ সাফল্য। ... বিশদ
পোস্ট অফিস থেকে নানা ধরনের আর্থিক পরিষেবা পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম জীবন বিমা। দেশের ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ডাকঘর থেকে গ্রাহক দু’ধরনের জীবন বিমা কিনতে পারেন। একটি সাধারণ গ্রাহকদের জন্য পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্স বা পিএলআই। অন্যটি গ্রামীণ গ্রাহকদের জন্য রুরাল পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্স বা আরপিএলআই। ডাক বিভাগের দাবি, এই বিমা পলিসিগুলি চালানোর প্রশাসনিক খরচ অনেকটাই কম। কারণ, এর জন্য ডাক বিভাগকে আলাদা কোনও পরিকাঠামো ব্যবহার করতে হয় না। তাই পলিসির উপর প্রিমিয়াম বাবদ খরচও কম। তা সত্ত্বেও যেসব গ্রাহক যথা সময়ে টাকা জমা না দেওয়ার কারণে পলিসি অকেজো হয়ে গিয়েছে, সেগুলি নতুন করে চালু করা যাবে। জীবন বিমা প্রকল্পগুলি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করার ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও সুরাহা মিলবে না।
‘ডিফল্ট ফি’ বা পেনাল্টি মকুব করার জন্য আগামী ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময় ধার্য করা হয়েছে। এই তিন মাসে গ্রাহকরা তাঁদের পলিসিগুলি নতুন করে চালু করলে কম অঙ্কের পেনাল্টি দিতে হবে। যে গ্রাহকের বকেয়া প্রিমিয়ামের অঙ্ক ১ লক্ষ টাকার নীচে রয়েছে, তাঁদের যে পরিমাণ পেনাল্টি ধার্য হওয়ার কথা, তার উপর ২৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। ছাড়ের অঙ্ক সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা। যাঁদের বকেয়া প্রিমিয়ামের অঙ্ক ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা, তাঁরাও পেনাল্টির উপর ২৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। ছাড়ের সর্বোচ্চ অঙ্ক তিন হাজার টাকা। ৩ লক্ষ ১ টাকা থেকে যাঁদের প্রিমিয়াম বকেয়া পড়ে আছে, তাঁদের ছাড়ের হার ৩০ শতাংশ। সর্বাধিক ছাড়ের অঙ্ক সাড়ে তিন হাজার টাকা। এই অঙ্কের উপর জিএসটি প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে ডাক বিভাগ।