কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
গুদামের ঠিক পিছনেই জ্যোতি মণ্ডলদের বাড়ি। তাঁদের উঠোনের ছাউনি পুড়ে গিয়েছে। এদিন দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, জামা-কাপড় সব বাইরে পড়ে রয়েছে। দরজায় তালা দেওয়া। পাশের বাড়ির ঘনশ্যাম মণ্ডল বললেন, ‘সম্ভবত কোনও আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছেন ওঁরা। বাচ্চাদের নিয়ে সারারাত ঘুমাতে পারেনি তো কেউ। চোখ বন্ধ করলেই আগুনের ওই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকালের দিকে আবারও গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে দমকল জল দেয়।’ গুদামের ঠিক পাশেই রেবতী পালের বাড়ি। তিনি বলছিলেন, ‘গতকাল আমাদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারটা কেউ নিয়ে চলে গেল! সেটা আর পেলাম না। সারারাত ঘুমাতে পারিনি বাচ্চাকে নিয়ে। বাড়ির সব দেওয়ালে চিড় ধরেছে। চোখ বুজলেই আগুন দেখতে পাচ্ছি। গন্ধটাও যাচ্ছে না।’ এদিনই ফরেন্সিক টিমের আশার কথা ছিল দুর্ঘটনাস্থলে। সূত্রের খবর, তারা এদিন আসেনি। পরিস্থিতি আবার কবে স্বাভাবিক হবে, আবার কবে পোড়া গন্ধ থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি কীভাবে মেরামত হবে, সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে পুলিসি প্রহরা। -নিজস্ব চিত্র