কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
শুনশান রাস্তা। ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছিল। কুলিপাড়া ও নিউ কাজিডাঙার সংযোগস্থলে একটি গলিতে স্থানীয় এক গৃহশিক্ষকের পড়ুয়াদের চোখে পড়ে চিত্ হয়ে পড়ে রয়েছে কারওর দেহ। তার বাম দিকের বুকে গুলির ক্ষত। সেই পড়ুয়ারাই গৃহশিক্ষককে খবর দেয়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা থেকে পৌনে আটটার মধ্যে। ওই গলিতেই দুষ্কৃতীরা অপেক্ষা করছিল। মৃতের পরিবারে ছেলে, মেয়ে ও পুত্রবধু রয়েছেন। মৃতের পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাবু প্রতিদিনই কলকাতা থেকে ব্যান্ডেলে ট্রেনে করে আসতেন। সেখান থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন। এদিনও তেমনই তিনি ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হেঁটে কুলিপাড়া হয়ে নিউ কাজিডাঙার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কুলিপাড়ার কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ক্ষতচিহ্ন থেকে পুলিসের অনুমান, খুব কাছে থেকেই গুলি করা হয়েছিল। এই কাজ ভাড়াটে খুনিরাই করেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। তবে রহস্য ঘনিয়েছে অন্য জায়গায়। আপাতত স্থানীয়দের কেউই গুলির আওয়াজ শোনার শব্দ পাননি বলেই জানিয়েছেন পুলিসকে। রহস্য এখানেই শেষ হচ্ছে না। পুলিসের দাবি, এককালে এই লালবাবুর সঙ্গে মাফিয়া জগতের যোগাযোগ ছিল। তাঁর জেলখাটারও ইতিহাস রয়েছে। তবে বেশ কয়েকবছর হল, তিনি অন্ধকার জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে এনেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কালনা স্টেশনের কাছে মিলন সিং ওরফে ভাগ্না নামের এক যুবকের খুন হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, সেই ব্যক্তিও দীর্ঘদিন অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগ থাকার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিল। তাহলে কি এই দুই খুনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিস। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, নিহত লালবাবু পুরসভার সচিব বিভাগের আওতায় অতিরিক্ত সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালাগি বলেন, ‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ব্যান্ডেলে আমাদের এক কর্মী খুন হয়েছেন বলে শুনেছি।