কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
নিটপ্রশ্ন ফাঁসের তদন্তভার ২২ জুন সিবিআইকে দেয় কেন্দ্র। তদন্তে নেমে এজেন্সির কর্তারা জানতে পারেন, এই কাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড সঞ্জীব মুখিয়া। অধরা এই ‘এডুকেশন মাফিয়া’র উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াত ছিল। এরপর মহারাষ্ট্র, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে এজেন্সি। তার আগে এই ঘটনায় ২৬ জনকে ধরা হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে নিউটাউনের অভিজাত ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অমিত কুমারের নাম উঠে আসে। তাদের মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নিটের প্রশ্ন নিয়ে ধৃত প্রত্যেকের সঙ্গেই নিয়মিত কথা হয়েছে অমিতের। চ্যাটে বলা হয়েছে, সঞ্জীব মুখিয়ার কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিতে হবে। সেইমতো অমিত তা সংগ্রহ করে। নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে মূল চক্রী এসেছে বলে খবর সিবিআইয়ের কাছে।
তদন্তে উঠে এসেছে অমিত এই রাজ্য থেকে ছেলে জোগাড় করত। তাদের প্রস্তাব দেওয়া হতো, টাকা ফেললে নিটের প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে সলভার গ্যাংও দেওয়া হবে। রাজি হলে টাকা নিয়ে অমিত ছাত্রদের বিহারে যেতে বলত। সেখানে পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে যেতেন। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত টাকা অমিত পাঠিয়ে দিত সঞ্জীব মুখিয়ার কাছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তের সঙ্গে অমিতের টাকাপয়সা লেনদেনের ডিজিটাল নথি পেয়েছেন বলে খবর। এই খবরের ভিত্তিতে বুধবার নিউটাউনের ওই অভিজাত আবাসনে যায় সিবিআই টিম। অমিতকে পাওয়া না গেলেও উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সেখানে প্রশ্নপত্র আনা হতো। প্রশ্নফাঁস কাণ্ড সামনে আসার পর থেকে অমিতের মোবাইল বন্ধ। তদন্তকারীদের ধারণা, বিহারে থাকতে পারে এই অভিযুক্ত। তার খোঁজে ভিন রাজ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে খবর।