কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফি-বছর ডেঙ্গুর দাপটে নাজেহাল হয় দমদম লোকসভা এলাকার বিভিন্ন পুরসভা। জমা জলে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তে অকালে প্রাণ হারান বহু শহরবাসী। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের নানান উদ্যোগ থাকলেও বহুক্ষেত্রে তা রূপায়ণের ঘাটতি থেকে যায়। এবারও মরশুমের শুরু থেকেই রাজ্য সরকার কোমর বেঁধে নামতে চাইছে। সেইমতো পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলোকে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। ভোটের কারণে সাফাই অভিযানে যে ঘাটতি ছিল, তা দ্রুত সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। সেইমতো বরানগর পুরসভাও কার্যত জরুরি ভিত্তিতে মাঠে নেমেছে। গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন আবাসন কমিটির সম্পাদক, বাজার কমিটিগুলোকে নিয়ে বৈঠক শুরু করা হয়েছে। মূলত বহুতল আবাসনে বহু ফ্ল্যাট বন্ধ থাকে। ফলে ওইসব বাড়ির ব্যালকনিতে থাকা টব ও ফ্রিজের নীচে জল জমছে কি না, তা দেখার সুযোগ পান না পুরসভার কর্মীরা। অনেক বাড়ি আবার নিরাপত্তার কারণে ঢুকতে দিতে চায় না। এই ধরনের সমস্যা যাতে বাধা না হয়, তার জন্য আগেভাগে আবাসন কমিটিগুলোকে জানানো হচ্ছে। প্রয়োজনে পুরসভার দেওয়া পরিচয়পত্র দেখার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে আবাসনের নিরাপত্তা কর্মী ও গৃহকর্তাদেরও থাকার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনও অবস্থায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দৈনন্দিন কাজে বাধা দেওয়া চলবে না। একইভাবে বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনায় আবর্জনা পরিষ্কারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বরানগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যায়তন সরণির একটি বাড়িতে জমে থাকা আবর্জনা নিয়ে পুরসভার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্থানীয়রা। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা স্বাস্থ্যদপ্তরের সিআইসি রামকৃষ্ণ পাল। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই বাড়ির মালিক নূপুর হাজরা এলআইসির আধিকারিক ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। তিনি মিষ্টির হাড়ি, দইয়ের ভাঁড় সহ নানান সামগ্রী বাড়ির চৌহদ্দিতে জমিয়ে রেখেছেন। এদিকে গেট বন্ধ রয়েছে। সেখানে জল জমার পাশাপাশি ঘাস ও লতায় ভরে গিয়েছে। দীর্ঘদিন তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এদিন পুলিস ও পুরসভার কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলার ওই বাড়িতে যান। গেটের তালা ভেঙে বাড়ির চৌহদ্দি পরিষ্কার করে ফের তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রামকৃষ্ণ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের সকলকে দায়িত্ববান হতে হবে। বাধ্য হয়ে আমরা ওই আধিকারিকের বাড়ির চৌহদ্দি পরিষ্কার করেছি। একইভাবে বহুতল ও বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সহযোগিতার অনুরোধ করা হচ্ছে। যেকোনও মূল্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।-নিজস্ব চিত্র