কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে খবর, বালিঘাট (জেটিয়াঘাট), বেলুড়ের জগন্নাথঘাট এবং সাঁকরাইলের পোদরাঘাট বেছে নেওয়া হয়েছে এই কাজের জন্য। বেলুড়ের জগন্নাথঘাট থেকে কলকাতার কাশীপুর পর্যন্ত কিছুদিন আগেও চলত মোটরচালিত ছোট নৌকা। এভাবে বহু মানুষ যাতায়াত করতেন। পরবর্তীকালে তা বন্ধ হয়ে যায়। বালিঘাটেও বহু আগে জেটি ছিল। কিন্তু লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আংশিক ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেখানকার জেটি।
সম্প্রতি হাওড়া জেলা প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকে ঘাট নির্মাণের প্রসঙ্গটি ওঠে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে ফাইলপত্রের কাজ সম্পূর্ণ করেই পোর্ট ট্রাস্টের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তারাই ঘাটগুলি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জেটি নির্মাণের জায়গা চূড়ান্ত করবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছে প্রশাসন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে জুলাই বা আগষ্ট মাসে পন্টুন, গ্যাংওয়ে সহ নতুন জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। তারপর এই ঘাটগুলি থেকে কলকাতা সংযোগকারী রুটে যাত্রীবাহী ভেসেল পরিষেবার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘পোর্টের ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ পন্টুন সহ জেটিঘাট নির্মাণ হবে তিনটি জায়গাতেই।’ হাওড়ার মহকুমাশাসক অমৃত বর্মন রায় বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। তবে কাজ শুরুর নির্দিষ্ট দিন এখনই বলা সম্ভব নয়।’
প্রসঙ্গত, বেলুড় জগন্নাথঘাট তো বটেই, বালির নতুন জেটিঘাট থেকে ভেসেল পরিষেবা চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তাই স্থানীয়রা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হোক। নদীপথে বালি থেকে উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সড়কপথের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা। বর্তমানে বি টি রোড, চিড়িয়া মোড় অথবা শ্যামবাজার পৌঁছতে যে সময় লাগে, লঞ্চ বা ভেসেল থাকলে এসব ক্ষেত্রে অনেক কম সময় লাগবে।