বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলায় আলু ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বড়ঞা ব্লক। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়ঞা ব্লকে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে এই ব্লকে সাড়ে চার হাজার হেক্টর থেকে চার হাজার ৭০০হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। অর্থকরী ফসল হিসেবে জেলার বেশিরভাগ ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষি থেকে শুরু করে মাঝারি-বড় চাষিরা আলু চাষ করেন। বড়ঞা ব্লকে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই আলু চাষ শুরু হয়ে যায়। এবার নিম্নচাপের জেরে আলু চাষ প্রায় দু’সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছিল। নিম্নচাপের রেশ কাটতেই বহু চাষি আলু বসাতে শুরু করেন। কিন্তু কালীপুজোর আগে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে প্রায় ৫০-৬০হেক্টর জমির আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বড়ঞা ব্লকের আলু চাষি নিত্যগোপাল ঘোষ বলেন, পুজোর পর ঝুঁকি নিয়েই চার বিঘা জমিতে আলুর বীজ বসিয়েছিলাম। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে ফের ঝুঁকি নিয়েই আলু বসাচ্ছি। জানি না আরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কিনা।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার এই ব্লকে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ব্লকের অ্যাসিস্ট্যান্ট এগ্রিকালচারাল অফিসার চিত্তরঞ্জন ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে খবর রয়েছে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে আলু চাষ আরও কিছুটা পিছিয়ে গেল। তবে আলু বসানোর উত্তম সময় এখনও পার হয়ে যায়নি।
এদিকে আলু চাষ দেরি হওয়ায় এবার বাজারে নতুন আলু আসতে যেমন দেরি হবে পাশাপাশি হিমঘরে মজুত আলুর দামও হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। আলুর দাম বেশি থাকায় বাজারে অন্যান্য সব্জির দামেও আগুন। ফলে এবার মধ্যবিত্তের হেঁসেলে প্রভাব ফেলেছে আলু। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য পলাশ ঘোষ বলেন, নতুন আলু ওঠা পর্যন্ত হিমঘরে মজুত আলুতে টান পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পুরনো আলুর দাম আরও বাড়বে।