বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, ব্লকে প্রায় ৫২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেন। এমটিইউ-১০১০, আইআর-৬৪, গীতাঞ্জলি ও অঞ্জলি জাতের ধান এখানে চাষ করা হয়। এখানে দু’টি পদ্ধতিতে ধান রোপণ করা হয়। এর একটি শ্রীপদ্ধতি ও অন্যটি মেকানিক্যাল পদ্ধতি। শ্রীপদ্ধতিতে একটি চারা থেকে অপর চারার দূরত্ব ২৫ সেমি থাকে। সেসঙ্গে প্রতিটি সারির মাঝে ব্যবধান ২৫ সেমি রাখা হয়। এভাবে ধান রোপণ করলে কৃষকরা অধিক ফলন পাবেন। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণ করা হয়। আমরা চাষিদের মেশিনের সাহায্যে ধান রোপণ করতে উৎসাহিত করছি। এখন বোরো ধান রোপণ করার আদর্শ মরশুম। দেরি হলে চারা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। রুগ্ন ও শুষ্ক চারা রোপণ করলে ফলন ভালো হবে না।
বোরো ধান চাষের জন্য দোঁয়াশ মাটি আদর্শ। এছাড়াও বেলে-দোঁয়াশ মাটিতেও এই ধানের চাষ হয়। জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ এবং ২ ব্লকের মাটি বোরো ধান চাষের ক্ষেত্রে উপযোগী। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর, কুশিদা, তুলসীহাট, রশিদাবাদ, মহেন্দ্রপুর এবং বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এর চাষ শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই বোরো ধানের জমি তৈরি করে চাষ চলছে। ওই ব্লকের সুলতাননগর, দৌলতনগর, ভালুকা, সাদলিচক, মশালদহ, দৌলতপুর, মালিওর-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোরো ধান চাষ হচ্ছে। ব্লক কৃষিদপ্তর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে শোধন করা ধান বীজ মাসখানেক আগেই কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে।
কুয়াশা ধান চাষের পক্ষে ক্ষতি করে। এবার এখন রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় রোয়া তুলে মূল জমিতে লাগানোর পরামর্শ কৃষি বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন। কৃষিদপ্তরের পরামর্শ কৃষকরা সেকাজ শুরু করেছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় দপ্তরের দাবি, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ওই মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে চাষিরা খেত থেকে ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
কৃষিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা কৃষকদের ধান চাষ সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। উন্নতমানের ফসল পেতে হলে মাঝরা পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ফোরাডন ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। তাছাড়া পাতায় ছত্রাকের দাগ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। আগাছা থেকে ধান গাছকে রক্ষার জন্য আগাছানাশক ওষুধ জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ভালো ফলনের জন্য ধান রোপণ করার আগে প্রতি একর জমিতে ৫২ কেজি নাইট্রোজেন, ২৬ কেজি ফসফরাস এবং ২৬ কেজি পটাশ ও জৈব সার প্রয়োগ করা দরকার। ধান বোনার পর দু’বার সার প্রয়োগ করতে হবে।