বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
‘সিঁদুর খেলা’, ‘ভালোবাসা ডট কম’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্বেতা। স্টার ভারতের ‘জয় কানহাইয়ালাল কি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে জাতীয় টেলিভিশনে পা। একে হিন্দির কাজ, তার উপর ধারাবাহিকটি বেশ জনপ্রিয়ও হয়। এর পাশাপাশি একাধিক হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের প্রস্তাব। এইসবকে হেলায় তুচ্ছ করে কিসের টানে আবার বাংলায় ফিরলেন শ্বেতা? ‘বাংলায় কাজ করতে পেরে আমি যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। হিন্দিতে যশ,অর্থ সবই বেশি কিন্তু প্রাণটা নেই। আমি স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ব্লুজেই বরাবর কাজ করি। হিন্দি ধারাবাহিকটা এই প্রযোজনা সংস্থারই ছিল। কিন্ত তারপরও বলব, বাংলায় কাজের আনন্দই আলাদা।’ আসলে হিন্দি মাতৃভাষা নয় শ্বেতার। ফলে সংলাপের বাইরে ইম্প্রোভাইজ করতে সমস্যা হতো তাঁর। যেটা বাংলায় খুব সহজেই করতে পারেন। অনেক হিন্দি ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু মুম্বই যেতে চান না। কেন? ‘আসলে বাড়িতে মা-বাবা আর আমি। মা খুব অসুস্থ। দু’বার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। হাই ব্লাডসুগারের কারণে একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্য চোখেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আমি মা-বাবাকে ছেড়ে মুম্বই গিয়ে কাজের কথা ভাবতেই পারি না। মা-বাবা কষ্ট করে আমাকে বড় করেছেন। আমার এখন তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ারা পালা। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের সবটুকু সুখ দিতে চাই’, এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন শ্বেতা। এতো গেল ব্যক্তিজীবনের কথা। আর পর্দার কাঁকন কিরকম? ‘কাঁকনের সঙ্গে আমার প্রচুর মিল। কাঁকন প্রতিবাদী,আমিও তাই। কাঁকন অত্যন্ত দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বোনের স্বপ্ন পুরণের চেষ্টা করে। আমিও ছেলেবেলা থেকে অত্যন্ত দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হয়েছি। আমরা যে ঘরটায় থাকতাম সেটার আয়তন অনেকের বাড়ির বাথরুমের থেকেও ছোট। একবেলা খাওয়ার পর আর এক বেলা কী খাব তা জানতাম না। সেইসব দিন আজও ভুলিনি।’
কাঁকন নাচ ভালোবাসে। নাচ ভালোবাসেন শ্বেতাও। কল্যাণ সেন বরাটের কাছে তালিম নিয়েছেন গানেরও। মেগায় দেখানো হবে হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণে কাঁকনের নাচ বন্ধ হয়। ফুসফুসের সমস্যার জন্য নাচ ছেড়েছেন শ্বেতাও। ‘এখন অভিনয়ের জন্য একটু আধটু নাচ করি। এছাড়া মেগায় কাঁকনকে যে ইনহেলার নিতে দেখা যাবে সেটা আসলে আমার। কাঁকনের মতো আমাকেও ইনহেলার নিতে হয়। এতো মিল তাই কখনই মনে হচ্ছে না আমি কাঁকনের চরিত্রে অভিনয় করছি। বলতে পারেন পর্দার কাঁকনই বাস্তবের আমি’, সহজ স্বীকারোক্তি শ্বেতার। এই ধারাবাহিকের দৌলতে শ্বেতা পুনরায় দীপঙ্কর দে, শুভঙ্কর সাহা এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করছেন। নিজেই বললেন,‘আজ আমার যা পরিচিতি সবটাই স্নেহাশিসদা আর ব্লুজের জন্য। দাদাই আমার গডফাদার। দীপঙ্কর দের মতো অভিনেতার সঙ্গে পরপর তিনবার কাজ করতে পারাটাও সৌভাগ্য। শুভঙ্করের সঙ্গেও তাই। এখন তো শুভঙ্কর কোন সংলাপ কীভাবে বলবে সেটাও বুঝতে পারি। অভিনেতা এক হলে একটা কমফোর্ট জোন তৈরি হয়।’ অন্যদিকে কনকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রাবণী ভুঁইয়া, যাকে দর্শক ইতিপূর্বে ‘রাখীবন্ধন’ ধারাবাহিকে দেখেছেন। কনক স্প্রিন্টর-হতে চায় দৌড়বিদ । ‘প্রফেশনাল স্প্রিন্টারের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তারা কীভাবে দাঁড়ায় থেকে শুরু করে কিভাবে ফিনিশিং লাইন টাচ করে সবটাই শিখতে হয়েছে’,বলছেন শ্রাবণী। ধারাবাহিকটি গতকাল বাংলা নববর্ষের দিন থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়