গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ফাইটোলক্কা: এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখি গরম জলে ফাইটোলক্কা মাদার টিংচার দিয়ে গারগেল করলে অনেকটাই উপকার পাবেন।পরিবর্তে লবণ দিয়েও গার্গেল করতে পারেন।
ব্রায়োনিয়া এলবা: এই সময় বাইরের গরমে ঘেমে ঘরে এসিতে বসলে বেশ ভালোই লাগে। বা গরমের মধ্যে ঠান্ডা জল, কোলড্রিংস বা আইসক্রিম খুবই ভালো লাগে। কিন্তু তারপরই শুরু হয় গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশি জ্বর জ্বর ভাব। সঙ্গে যদি ভালোমতো জলের পিপাসা থাকে তাহলে ব্রায়োনিয়া ৩০ অথবা ২০০ খাওয়া যেতে পারে।
রাস টক্সিকোডেনড্রন: এই আবহাওয়ায় অনেকক্ষণ স্নান করার ফলে বা বৃষ্টিতে ভিজে অনেকক্ষণ ভিজে জামা কাপড় পড়ে থাকার কারণে সর্দি, কাশি, গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা, জ্বর সেই সঙ্গে বেশি রকম জল পিপাসা থাকলে ভাবা যেতে পারে রাসটক্সের কথা। ৩০/২০০ মাত্রায় ভালো কাজ করে।
হিপার সালফার: ঠান্ডা খাবার বা ঠান্ডা জল খাওয়ার ফলে কাশি সঙ্গে শ্বাসের সমস্যা, তার সঙ্গে আপনার যদি সব সময় মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে বা গলায় কাঁটার মতো কিছু ফুটে আছে সেক্ষেত্রে ৩০ বা ২০০ মাত্রায় হিপার সালফার কাজ করতে পারে।
রুমেক্স ক্রিসপাস: যারা অল্প ঠান্ডা হাওয়াতেই কাবু হয়ে পড়েন, ঠান্ডা হাওয়া লেগেছে এবং তারপর থেকেই সাংঘাতিক কাশি, কাশতে কাশতে প্রস্রাব হয়ে যাচ্ছে সারাক্ষণ একটা গলা খুসখুসে ভাব শ্বাস নিলেই গলা খুসখুস বাড়ছে এবং তার সঙ্গে কাশি হচ্ছে সেক্ষেত্রে ৩০/২০০ মাত্রায় রুমেক্সের কথা ভাবা যেতে পারে।
বেলাডোনা: সারাক্ষণ গলা খুসখুস এবং তার থেকে কাশি, কাশি যদি রাতের দিকে বেশি বাড়ে তার সঙ্গে নাকে এবং গলায় অসম্ভব শুকনো একটা ভাব, আওয়াজ ভারি হয়ে আছে বা গলা বসে গেছে এবং এই সমস্যাগুলি যদি বিশেষত ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুরে বাসে ট্রেনে গাড়িতে জানালার ধারে ঠান্ডা হাওয়া লেগে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বেলাডোনা ৩০/২০০ খুবই ভালো কাজ করে।
জাস্টিসিয়া আধাটোডা: যে কোনও রকমের কাশি, বিশেষত শুকনো কাশিতে জাস্টিসিয়া আধাটোডা অতুলনীয়, বাসক পাতা থেকে তৈরি এই ওষুধটির মাদার টিংচার জলে মিশিয়ে খেলেও খুবই উপকার হয়ে থাকে।
এছাড়াও অসংখ্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ উপসর্গ অনুযায়ী খুবই ভালো কাজ করে। আপনার চিকিৎসকে উপসর্গ ভেদে সঠিক ওষুধ এবং সঠিক মাত্রা নির্ণয় করতে পারবেন। প্রতিকূল ওষুধ প্রতিক্রিয়া এড়াতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নেওয়া আবশ্যক।