Bartaman Patrika
 

যাত্রাকথা ৩
প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন গোবিন্দ অধিকারীকে 

নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি বছর কয়েকদিনের জন্য যাত্রাগানের আসর বসত। বিশেষ করে রথযাত্রার সময় হতো পালাগান। তিনি ছিলেন তখনকার পালাগানের বিশেষ অনুরাগী। তখন যাত্রাপালায় বদন অধিকারীর খুব সুখ্যাতি। তিনি দূতী সেজে আসরে এসে গানে গানে মানুষকে আনন্দে ভরিয়ে দিতেন। প্রতি বছর চাটুজ্জেদের বাড়িতে তাঁর ছিল বাঁধা আসর। বদন যখন নেচে নেচে গান করতেন তখন যাদবচন্দ্রের ছেলেরা তাঁর পাশে বসে সেই পালাগান উপভোগ করতেন। তার মধ্যে একজন ছিলেন সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ছেলেবেলায় তিনি শুনেছিলেন বদন অধিকারীর গান। বড় হয়ে শুনতেন বদনের শিষ্য গোবিন্দ অধিকারীর গান। সেই স্মৃতিকেই তিনি তাঁর উপন্যাসে অন্যভাবে এনেছিলেন। ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসে হরিদাসী বৈষ্ণবীর ছদ্মবেশে দেবেন্দ্র মেয়েদের অন্দরে গিয়ে গান শুনিয়ে আসত। কেউ বলতেন, গোবিন্দ অধিকারীর গান শোনাতে। আবার কেউ বা অনুরোধ করতেন গোপাল উড়ের গান শোনাতে। ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় সেকালের যাত্রা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলি অনেকাংশে যাত্রার ইতিহাসকে ধরে রেখেছে।
বদন তখন বাংলাকে তাঁর পালাগানে মাতিয়ে রেখেছেন। তাঁর গান বাঁধার কেরামতি ছিল একেবারে অন্য ধরনের। অশ্লীলতা বিমুক্ত পালা রচনা করে তিনি এক সর্বজনীন আসরের প্রসার ঘটিয়েছিলেন। নবরূপে তিনি আসরে আনলেন কালীয়দমন পালাকে। রাধা সেজে বদন গান ধরতেন—
‘কুঞ্জে কুঞ্জে বুলি বুলি বনফল আনিলাম তুলি,/ গাঁথিলাম হার মনের মতো সাজাইলাম থরে থরে। / সকলি হইল বৃথা, তারে এখন পাব কোথা / মনে ছিল কত কথা কহিতাম শ্যাম নটবরে।’
দুচোখ বয়ে যায় রাধিকার। কোথা শ্যাম, কোথা শ্যাম! দর্শকরা আকুল। তাঁরাও ভেসে যান চোখের জলে। আত্মহারা দর্শকরা কেউ পয়সা ছুঁড়ে দেন, কেউ গায়ের চাদর উপহার দেন। কোথাও কোথাও চিকের আড়ালে বসে পালা দেখতে দেখতে অভিভূত মেয়েরা হাতের চুড়ি, কানের দুল খুলে উপহার স্বরূপ ছুঁড়ে দিতেন বদনের দিকে।
বদন ছিলেন হাওড়ার শালিখার বাসিন্দা। অল্প বয়সেই দলের সঙ্গে থেকে থেকে মানুষের ভালোলাগার নাড়িনক্ষত্র সব রপ্ত করেছিলেন। বিরহ এবং ভাব সম্মিলনের বিভিন্ন গানে তিনি তাঁর ‘ওস্তাদী’ দেখিয়েছিলেন। বিদ্যাপতির মৈথিলি ভাষায় লেখা বহু পদকে ভেঙে তিনি সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে নবরূপে রচনা করেছিলেন।
বদনের মৃত্যুর পর তাঁর দলের হাল ধরলেন তাঁর ছেলে ক্ষেত্র। কিন্তু তিনি তেমন যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না। তাই বদন অধিকারীর দল আর বেশি এগতে পারেনি। তবে বদনের উত্তরাধিকার বহন করেছিলেন তাঁর এক শিষ্য গোবিন্দ অধিকারী। তাঁর জন্ম মোটামুটি বাংলা ১২০১ থেকে ১২০৫ সালের মধ্যে। সুকুমার সেন মহাশয় তাঁকে সেই সময়কার একজন অগ্রগণ্য বলে উল্লেখ করেছেন। গোবিন্দ অধিকারী ছিলেন বৈরাগী। পাঠশালার শিক্ষা তিনি তেমনভাবে পাননি। কিন্তু অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আয়ত্ত করেছিলেন শাস্ত্র। ছেলেবেলায় সেই যে গানের দলে ঢুকে পড়লেন, আর তাঁর কোথাও যাওয়া হল না। বদনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে নিজেই তৈরি করেছিলেন নতুন দল। সেই দলের পালা দেখতে লোকে তখন দশ-বিশ ক্রোশ দূর থেকে হেঁটে চলে আসতেন। তিনি যখন জরি বসানো লাল শাড়ি আর গয়না পরে মেয়ে সেজে আসরে দাঁড়াতেন, তখন নাকি দর্শকরা দৃষ্টি ফেরাতে পারতেন না। গা ভর্তি গয়না পরে তিনি অভিনয় করতেন। শোনা যায়, সেসব নাকি আসল সোনার গয়না। দলের অন্য শিল্পীরা, যাঁরা মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করতেন, তাঁরা পরতেন কলাপাতার গয়না। একবার তিনি আসরে নামার আগে মেক আপ করছিলেন। তখন হাতের বাউটি পরার সময় সেটির কাঠিটি যেন কোথায় ছিটকে পড়ে যায়। তাড়াতাড়ি মেক আপের জন্য তিনি স্থানীয় একটি ছেলেকে বললেন, ‘বাবা একটা ঝাঁটার কাঠি আনতে পারবি?’ ছেলেটি গিয়ে আসরের পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধাকে বলল, ‘ওরা একটা ঝাঁটার কাঠি চাইছে।’ সেকথা শুনে বৃদ্ধা মুখ ঝামটা দিয়ে বললেন, ‘বেরো এখান থেকে, ঝাঁটার কাঠি চাইতে এসেছে।’ ছেলেটি গিয়ে গোবিন্দ অধিকারীকে সেকথা জানায়। গোবিন্দ কোনওরকমে হাতের বাউটি পরে আসরে নামেন। সেদিন তাঁর গান শুনে আসরে বসে সেই বৃদ্ধা ঝরঝর করে কেঁদেছিলেন। তারপর পালা শেষ হলে বাড়ি থেকে একটি ঝাঁটা নিয়ে এসে সেটি গোবিন্দ অধিকারীর হাতে তুলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমায় ক্ষমা কোরো বাবাঠাকুর। আমি বুঝতে পারিনি। তুমি একটা কাঠি চেয়েছিলে। আমি তখন দিইনি। এখন পাশ্চিত্তির করলাম। তোমার হাতে পুরো ঝাঁটাটাই দিলাম।’
গোবিন্দ অধিকারীকে ঝাঁটা দিচ্ছে দেখে আসরে দর্শকরা হাঁ হাঁ করে উঠলেন। গোবিন্দ সকলকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনারা উতলা হবেন না। এ আমার পুরস্কার। এই ঝাঁটা প্রদানের মধ্যে কোনওরকম ব্যঙ্গ বা অশ্রদ্ধা নেই। এ হল এক গুণমুগ্ধের আন্তরিক পুরস্কার। আমি এটি আনন্দিত চিত্তে গ্রহণ করলাম।’
এর কয়েক দশক পরে আমরা দেখতে পাই, বাংলা রঙ্গমঞ্চের একেবারে গোড়ায় ‘নীলদর্পণ’ নাটকের অভিনয়ের সময় দর্শকাসনে বসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফীর নীলকর সাহেবের চরিত্রে অভিনয় দেখে মঞ্চে তাঁর দিকে পায়ের জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন। অর্ধেন্দুশেখরও গোবিন্দ অধিকারীর মতো বলেছিলেন, ‘এ আমার পুরস্কার।’
গোবিন্দ অধিকারীকে এমন কিছু আহা মরি দেখতে ছিল না। খুব দীর্ঘ তিনি ছিলেন না। গায়ের রং ছিল শ্যামবর্ণ। মাথার মাঝখানে ছিল টাক। পিছনে কিন্তু ছিল ঢেউ খেলানো বাবরি চুল। কিন্তু গলাটি ছিল সুমধুর। একবার তিনি আসরে গান করছেন, সেদিন দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত পাঁচালিকার দাশরথী রায়। আসর শেষে তিনি গোবিন্দের গানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন। গোবিন্দ বললেন, ‘আজ গলাটা বিশেষ সুবিধার ছিল না।’ সেকথা শুনে দাশরথী বলেছিলেন, ‘আপনার এই ভাঙা গলার কাছাকাছিও কেউ পৌঁছতে পারবে না।
আর একটি কাহিনী জানা যায়। সেদিন ছিল রথযাত্রার উৎসব। সেদিন রাতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোবিন্দ অধিকারীর আসর বসবে। বঙ্কিমচন্দ্রের কয়েকজন বন্ধুও এসেছেন তাঁদের বাড়িতে। দুপুরে আলোচনার মধ্যে এক বন্ধু বললেন, ‘দুর দুর, বাংলাদেশের গান আবার শোনা যায় নাকি!’ বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এমন কথা বলছেন কেন?’ সেই বন্ধু বললেন, ‘ভালো গান গাইতে জানেন, বাংলাদেশে এমন কেউ আছেন নাকি?’
বঙ্কিমচন্দ্র সেকথা শুনে বললেন, ‘আপনি কীর্তন শুনেছেন?’ সেই বন্ধুটি বললেন, না, তিনি কীর্তন শোনেননি, তবে ভজন শুনেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে বললেন, ‘আপনি একটু অপেক্ষা করুন।’ এরপর তিনি একজনকে বললেন, সেখানে যেন গোবিন্দ অধিকারীকে ডেকে আনা হয়। একটু পরে গোবিন্দ সেই মজলিশে এসে উপস্থিত হলেন। বঙ্কিমচন্দ্র তখন তাঁকে একটি গান গাওয়ার অনুরোধ করলেন। গোবিন্দ ভালো করে বসে গান ধরলেন, ‘প্রিয়ে চারুশিলে মুরু ময়ি মানমনিদানম..’ গান এগিয়ে চলে। বঙ্কিমচন্দ্র ভাবতন্ময় হয়ে চোখ বোঁজেন। অন্যরাও গানের দোলায় ভাসতে লাগলেন। আর সেই বন্ধু মুখের ভাব ধীরে ধীরে বদলে যেতে লাগল। অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসে, অশ্রদ্ধা থেকে ভালোলাগায় তিনি একটু একটু করে ডুবে যেতে লাগলেন। তিনি নিজেও বুঝতে পারলেন না, কখন যে তাঁর দু চোখ বেয়ে নেমেছে জলের ধারা। গান শেষ হল। সেই বন্ধু হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে বললেন, ‘আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখন স্বীকার করতে আমি বাধ্য যে এমন গান আমি কোনওদিন শুনিনি।’ তখন মুচকি হাসছেন বঙ্কিমচন্দ্র।
যাত্রায় গোবিন্দ অধিকারী একটি যুগ। যেমন খ্যাতি তিনি অর্জন করেছিলেন, তেমন পয়সাও রোজগার করেছিলেন। তাই দিয়ে একটি জমিদারিও কিনেছিলেন।
একসময় নিজের জন্মভিটে হুগলি জেলার খানাকুলের কাছে জাঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে চলে এলেন শালিখায়। তাঁর গুরুর বাড়ির কাছাকাছি বাস করতে লাগলেন। সম্ভবত ১৮৭২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু রেখে গেলেন উত্তরাধিকার। তাঁর শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়, ঢ্যামনা গোপাল, শ্রীবাস দাস, ভজরাম ঘোষ, গদাধর দাস প্রমুখ।
যাত্রার পাশাপাশি তখন কলকাতায় জেগে উঠছে নাট্য সংস্কৃতি। ইংরেজ ঘরানায় নাট্যমঞ্চ তৈরি করে অভিনয়ের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। কিন্ত সেখানেও বিভিন্ন নাটকে দেখা গেল যাত্রার প্রভাব। প্রাথমিক স্তরের মঞ্চ-নাটকের আখ্যানও ঋণী ছিল যাত্রার কাছে।
অঙ্কন: সুব্রত মাজী 
16th  March, 2019
গিরিশ মঞ্চে সাজাহান 

গোপীমোহন সব পেয়েছিল আসর সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা সাজাহান নাটকটি মঞ্চস্থ করল। উপলক্ষ ছিল তাদের ৬৬তম বর্ষ উদযাপন। সাজাহানের চরিত্রে অভিনয় করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।  বিশদ

14th  March, 2020
রামধনু নাট্যোৎসব 

বরানগর রামধনু নাট্যোৎসব এবার তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। আগামী শুক্রবার ২০ মার্চ বরানগর রবীন্দ্রভবনে দুপুর ১২টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়। নাট্যোৎসবটি চলবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। মোট ১৬টি নাট্যদল এবার এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই মফস্সলের। 
বিশদ

14th  March, 2020
পুশকিনের জীবন নিয়ে নাটক 

আগামী ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। দু’শো বছর আগে ওইদিনই জন্ম হয়েছিল বিশ্ববন্দিত রাশিয়ান কবি আলেকজান্দার পুশকিনের। আর তাঁর জীবনদীপ নেভে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে। জারের রাজকর্মচারী দান্তেসের সঙ্গে ডুয়েল লড়তে গিয়ে নিহত হন পুশকিন। অনেকে বলেন মৃত্যু, অনেকে বলেন হত্যা।  
বিশদ

14th  March, 2020
আনন্দজীবন নাট্যোৎসব

দিনাজপুর কৃষ্টি আয়োজিত সাতদিনের আনন্দজীবন নাট্যোৎসব হয়ে গেল কুশমন্ডিতে। ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি এই উৎসবে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিদিনই দিনাজপুরের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকে আগত দলগুলির একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের প্রথমদিনে স্থানীয় বিধায়ক নর্মদা রায় প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা করেন।  
বিশদ

14th  March, 2020
এ নাটক এক সমকালীন দলিল যা দর্শককে ভাবায় 

সময়টা বড়ই ভয়ঙ্কর। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতির কারবারিরা যে যার মত করে ঘুঁটি সাজাতে তৎপর। ধর্ম নামক বস্তুটিকে সামনে রেখে চলছে গরিব-বড়লোকের শ্রেণীবিন্যাস আর চিরকালীন সংঘাত। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে ‘কালিন্দী নাট্যসৃজন’-এর নতুন প্রযোজনা ‘মন সারানি’ চমকে দেয়।
বিশদ

14th  March, 2020
কমলকুমারের গল্পের দুঃসাহসিক মঞ্চায়ন 

কমলকুমার মজুমদারকে ‘দুঃসাহসী লেখক’ বলে অভিহীত করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বাক্যগঠন, শব্দ, ক্রিয়াপদ, কমা, পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার সবই ছিল চলতি রীতির থেকে আলাদা। এমনকী আলাদা ছিল তাঁর ভাষাও। সাধুভাষার ব্যবহার, অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার তাঁর লেখাকে করে তুলেছিল অন্য সবার থেকে আলাদা, ফলে হয়তো দুরূহও।  
বিশদ

14th  March, 2020
নান্দীকারের নাট্যোৎসব একটি প্রতিবেদন 

অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে নান্দীকারের ছত্রিশতম নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হল গত ডিসেম্বর মাসের ষোলো থেকে পঁচিশ তারিখ পর্যন্ত। নান্দীকারের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেই সমাপ্ত হল তাদের এই নাট্যোৎসব। 
বিশদ

07th  March, 2020
প্রসেনিয়ামের থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

প্রসেনিয়াম’স আর্ট সেন্টার ও বিভাবন যৌথ উদ্যোগে গত ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর এক থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করে। তাদের নিজস্ব সেন্টারে আয়োজিত এই উৎসবে ১১টি নাট্যদলের থিয়েটার মঞ্চস্থ হয়। 
বিশদ

07th  March, 2020
দ্বাদশ থিয়েলাইট নাট্যোৎসব 

থিয়েলাইট নাট্যদলের নাট্যোৎসব এবছর বারোয় পা দেবে। বিগত বছরগুলিতে এই উৎসব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন জেলায় করা হতো। এবছর সেই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। এবছর উৎসব হবে কলকাতাতেই।  
বিশদ

07th  March, 2020
সাথী হারা ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয় যাত্রার স্বাদ 

২৪তম যাত্রা উৎসব হয়ে গেল ফণীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে। এই উৎসবের উল্লেখযোগ্য যাত্রাপালা ছিল বিশ্বভারতী অপেরার প্রযোজনায় ‘সাথী-হারা ভালোবাসা’। আর পাঁচটি প্রেম কাহিনীর মতোই একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প এটি। ভালোবাসার জন্য একজন মানুষ সবকিছুই করতে পারে।  
বিশদ

07th  March, 2020
গা ছমছম কী হয় কী হয়!
রহস্য নাটকের সার্থক মঞ্চায়ন

সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পশ্চিমবঙ্গ। প্রচণ্ড ঝড়জলের এক রাত। কার্শিয়াংয়ের এক সদ্য চালু হওয়া হোটেল ড্রিমল্যান্ডে একে একে জড়ো হয় রহস্যময় কয়েকজন বোর্ডার। একজন নাকউঁচু মহিলা মিস কাজল দত্ত, যিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার। 
বিশদ

07th  March, 2020
এনএসডি-র আদিরঙ মাতিয়ে দিল দ্বারোন্দা 

ইউক্যালিপটাসের সুউচ্চ গাছগুলোর মাথায় মেঘমুক্ত পশ্চিমাকাশে ধ্রুবতারাটা জ্বলজ্বল করছিল। শেষ লগ্নে এসেও শীত তার দাপট জানান দিচ্ছে তীব্র হিমেল হাওয়ায়। তবু বোলপুরের দ্বারোন্দা গ্রামের মুক্ত প্রান্তরে মানুষের ভিড় কম নয়। চলছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ‘আদিরঙ’ অর্থাৎ আদিবাসী রঙ্গোৎসব।  
বিশদ

22nd  February, 2020
প্রেমের ঘেরাটোপে শয়তানের পদচারণা 

আ কনফেশন অব সাইকোফেনিক— আলোচনাটা এভাবে শুরু করা যায়। জালের ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয় নাটক। একটি অন্তরঙ্গ ঘরে, কুলকুল জলের শব্দে, জালের মধ্যে গাঢ় বেগুনি আলোয় ভেসে ওঠে কতকগুলি বিমূর্ত হাত। একপাশে যুগল অন্তরঙ্গ হয়ে চুম্বনরত ও তাদের ঘিরে পুলিসবেশী ডাক্তার ও নার্সের পদচারণা।  
বিশদ

22nd  February, 2020
ভাষা দিবসে এনআরসি বিরোধী নাট্য 

শুধুমাত্র মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে একটা দেশ স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে। যা গোটা বিশ্বে পালিত হয়। 
বিশদ

22nd  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM