আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বরাবরই অবহেলিত এবং বঞ্চিত। ঘরে ও বাইরে তাঁদের অবদান খুব কম লোকই স্বীকার করতে চান। একজন গৃহবধূ তাঁর সারাটা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রান্না করেন, ঘর গোছান
পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোয় এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম, বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার ইলা মজুমদার। লিখছেন প্রীতম সরকার।
পড়শির পাশে তো দাঁড়ায় পড়শিই। তা না হলে সে আর কীসের পড়শি? পাকিস্তানের মেয়ে আয়েশা রাশান, মাত্র ১৯ বছর বয়স। তাঁর হার্ট ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে প্রাণ ফিরে পেলেন তিনি। সেখানে দিল্লি অধিবাসী ৬৯ বছর বয়সি এক রোগীর ব্রেন ডেথ হয়ে গিয়েছিল।
রবি ঠাকুর বলে গিয়েছেন, প্রেম এসেছিল নিঃশব্দে! তবে কারও কারও জীবনে প্রেম বেশ সশব্দেই আসে। কিন্তু কে জানত যে সে শব্দ এত ঘন ঘন আসবে যে শেষ অবধি পুলিশের দ্বারস্থ হতে হবে! ধরাও পড়ল এক বিরল অসুখ! ঠিক যেমনটা ঘটেছে চীনে।
মা হওয়া আনন্দের। কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অনেক মা শিকার হন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার। সমস্যা ও সমাধানের খোঁজে ডঃ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিশুকে মনোযোগী করে তুলুন একদম ছোট বয়স থেকেই। কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী।
শুধুমাত্র ফল খেয়ে কি বেঁচে থাকা সম্ভব? তাও আবার যে কোনও একটি ফল? এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে পরীক্ষিত সত্য, একটিমাত্র ফল খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। তা প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যান অসবোর্ন। টানা ৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি।
মহিলাদের সমানাধিকারের দাবি ভারতে নতুন নয়। তাকে মান্যতা দিতেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে কান্নুরের মাহে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ সামলাবেন মহিলা কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিস, বয়ঃজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের সাহায্যকারী হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবক— সব বিভাগই সামলাবেন মহিলারা।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গত মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করে। এ বছর এই পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একজন মহিলা। তেলেঙ্গানার ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি।
প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর, রোলি ত্রিপাঠী, নিতু সাহা, টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ট্রানিসটিক্স ডাটা টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায়
বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত।
১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! কিন্তু বিদিশার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা আরও বিস্তৃত। ‘ও মন্ড মিসেস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড ২০২৪’ (Haut Monde Mrs. India Worldwide)-এর ১৩ তম সিজনের ফাইনালের দৌড়ে রয়েছেন এই বাঙালি কন্যে। কর্ম এবং বিবাহসূত্রে গত পাঁচ বছর যিনি নেদারল্যান্ডসবাসী।
‘এই প্রতিযোগিতায় গত পাঁচ মাস আগেই আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করি। ফলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আমি কতটা সময় দিতে পারব, প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর মনে হল অংশ নেওয়া যেতে পারে। আমি নেদারল্যান্ডস থেকে অংশ নিয়েছি। কাজের সূত্রে গত পাঁচ বছর এখানে রয়েছি। আমার স্বামী ডাচ। ফলে বিবাহসূত্রেও আমার বাড়ি, পরিবার এখানে’, নেদারল্যান্ডস থেকেই বললেন বিদিশা। এই প্রতিযোগিতায় জার্মানি, পোল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন।
এই যাত্রাপথে অনুপ্রেরণা হিসেবে মাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন বিদিশা। তাঁর কথায়, ‘মা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ছোট থেকেই বলত। ছোট থেকে এটা বুঝেছিলাম, মেয়ে হিসেবে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। টিকে থাকতে গেল এই লড়াই জারি রাখতে হবে।’ কলকাতায় থাকাকালীনই মডেলিংয়ের ইচ্ছে ছিল বিদিশার। কিন্তু তার অবকাশ ছিল না। তিনি জানালেন, চাকরি পাওয়ার পর কিছু সুযোগ এসেছিল। বাংলায় কিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। নেদারল্যান্ডসে কিছু শর্ট ফিল্মে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবেন কি না, আপাতত সে ভাবনা ভাবতে রাজি নন বঙ্গললনা। বরং ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছনোটাই তাঁর কাজে বড় পাওয়া। বিদিশা বললেন, ‘জিততে পারলে তো নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। কিন্তু ফাইনাল পর্যন্ত এসেছি, এটাই আমার জন্য অনেক। আমি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। অথবা বিশ্বকে বাংলার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমার মনে হয়েছে, এই সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান প্রয়োজন। এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে সেই কাজে হয়তো সাহায্য করবে।’
‘এই প্রতিযোগিতায় গত পাঁচ মাস আগেই আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করি। ফলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আমি কতটা সময় দিতে পারব, প্রথমে বুঝতে পারিনি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর মনে হল অংশ নেওয়া যেতে পারে। আমি নেদারল্যান্ডস থেকে অংশ নিয়েছি। কাজের সূত্রে গত পাঁচ বছর এখানে রয়েছি। আমার স্বামী ডাচ। ফলে বিবাহসূত্রেও আমার বাড়ি, পরিবার এখানে’, নেদারল্যান্ডস থেকেই বললেন বিদিশা। এই প্রতিযোগিতায় জার্মানি, পোল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন।
এই যাত্রাপথে অনুপ্রেরণা হিসেবে মাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন বিদিশা। তাঁর কথায়, ‘মা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ছোট থেকেই বলত। ছোট থেকে এটা বুঝেছিলাম, মেয়ে হিসেবে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। টিকে থাকতে গেল এই লড়াই জারি রাখতে হবে।’ কলকাতায় থাকাকালীনই মডেলিংয়ের ইচ্ছে ছিল বিদিশার। কিন্তু তার অবকাশ ছিল না। তিনি জানালেন, চাকরি পাওয়ার পর কিছু সুযোগ এসেছিল। বাংলায় কিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। নেদারল্যান্ডসে কিছু শর্ট ফিল্মে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবেন কি না, আপাতত সে ভাবনা ভাবতে রাজি নন বঙ্গললনা। বরং ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছনোটাই তাঁর কাজে বড় পাওয়া। বিদিশা বললেন, ‘জিততে পারলে তো নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। কিন্তু ফাইনাল পর্যন্ত এসেছি, এটাই আমার জন্য অনেক। আমি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। অথবা বিশ্বকে বাংলার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমার মনে হয়েছে, এই সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান প্রয়োজন। এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে সেই কাজে হয়তো সাহায্য করবে।’
