গরম ভাতের সঙ্গে ছোট মাছের বিভিন্ন রান্নায় মজুক মন। ঘরোয়া রান্নার রেসিপি জানালেন সুমিতা শূর।
নানারকম রান্না করতে পারেন এই উপকরণটির সাহায্যে। টক মিষ্টি বা নোনতা যেমন ইচ্ছে বানিয়ে ফেলুন পদ। স্বাদ খুলবে কাঁচা আমের গুণে। রেসিপি সহযোগিতায় শ্রাবণী রায়।
প্রখর গ্রীষ্মে নিজেকে ঠান্ডা রাখবেন কী করে? পরামর্শ দিলেন সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট-এর রন্ধন বিভাগের প্রধান শেফ দেবোপম সিংহ। সঙ্গে দু’টি ভিন্ন স্বাদের আইসক্রিমের রেসিপিও জানালেন তিনি।
শেফ পীযূষ মেনন বহুদিন ধরেই সামুদ্রিক রান্নায় হাত পাকিয়েছেন। সেই রান্নার উপরেই ফুড ফেস্ট শুরু করেছেন পীযূষ। নাম স্ন্যাকিং। লেক গার্ডেন্স-এর যোধপুর কলোনিতে চলবে ফুড ফেস্ট ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। মেনুতে থাকেব গানপাউডার প্রন, গানপাউডার
পনির একটা পাত্রে নিয়ে, আলু সেদ্ধ, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো অল্প, গরমমশলা গুঁড়ো, আদা বাটা চা চামচ, ময়দা অল্প দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। ছ’টা ভাগ করে কোপ্তার আকারে তা গড়ে নিন। মাঝখানে কিশমিশ ও ভাঙা কাজু দিয়ে আবারও গোল করে গড়ুন।
বাংলা নববর্ষে বাঙালি খাবারের প্রতি ঝোঁক আমাদের চিরকালের। বাড়িতে তো বটেই এমনকী রেস্তরাঁতেও সেই মেনু খুঁজি আমরা। তেমনই কয়েক পদ সহজ রেসিপি জানালেন ‘সপ্তপদী’ রেস্তরাঁর কর্ণধার শেফ রঞ্জন বিশ্বাস।
প্রথমে দুধ থেকে ছানা কাটিয়ে নিতে হবে। জল চিপে ছানা শুকনো করে তা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ছানাটাকে একটি মলমলের কাপড়ে ঢেলে বাকি জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার চিনির শিরা তৈরির জন্য জল ও চিনি একটি স্যসপ্যানে বসিয়ে ফুটিয়ে ঘন করে নিতে হবে।
হোটেলের থ্রি সিক্সটি থ্রি রেস্তরাঁয় ১৪ এপ্রিল পাবেন নববর্ষ ব্রাঞ্চ। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে। থাকবে চিংড়ির মালাইকারি, ছানার পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল, পোলাও, ঘি ভাত। একজনের খাওয়ার খরচ ২৫০০ টাকা, কর অতিরিক্ত।
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন শেফ সুইটি সিং। নিজের রান্নার ধরন সম্পর্কে জানালেন তিনি। সঙ্গে তন্দুরি চিকেনের রেসিপিও পাঠালেন পাঠকদের।
আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস রেস্তরাঁয় চলবে বাংলাদেশের পোলাও পায়েস ফেস্টিভ্যাল। শেফ নয়না আফরোজ কলকাতায় এসেছেন এই ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে। ইদের আগেই এই উৎসবের আয়োজন করেছে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস।
স্টার্টারে এই পদ অতি সুস্বাদু। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে ফেলুন চটপট। রেসিপি জানালেন শ্রাবণী রায়।
গোটা আইপিএল ক্রিকেট সিজন জুড়েই এই রেস্তরাঁয় পাবেন জমজমাট ভোজের আয়োজন। ম্যাচ দেখতে দেখতে খাওয়াদাওয়া করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এখানকার বিশেষ মেনুর কয়েকরকম।
দোল মানেই নানারকম মিষ্টির সম্ভার। বিশেষ কয়েকরকম মিষ্টির রেসিপি জানালেন মণিকাঞ্চন দে।
রঙের উৎসবে বাড়িতে অতিথি এলে তাদের দিন সুস্বাদু নোনতা স্ন্যাক্স। রেসিপি সহযোগিতায় সুমিতা শূর।
কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রান্নায় পোস্ত পড়লেই নাকি স্বাদের ষোলোকলা পূর্ণ হয়। বিভিন্ন ধরনের রান্নায় পোস্ত ঠেসে রেসিপি জানালেন দেবারতি রায়।
বড়ি পোস্ত
উপকরণ: আলু ২টো, বড়ি ১০-১২টা, পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা ৪-৫টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো (ঐচ্ছিক)।
প্রণালী: আলু ছোট ছোট করে কেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে বড়ি ভেজে তুলে নিন। এরপর কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা দিয়ে আলু ভেজে নিন। নাড়াচাড়া করে নুন, চিনি পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না হতে দিন মাঝারি আঁচে। ৫ মিনিট পর পোস্ত বাটা ও ভাজা বড়ি দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। আলু, বড়ি সেদ্ধ হলে সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
লাউশাক পোস্ত
উপকরণ: লাউ ডগা ১ আঁটি, পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ, মটর ডালের বড়া ৬-৭টা, হলুদ গুঁড়ো ১চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদ মতো, পাঁচফোড়ন চা চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে।
প্রণালী: লাউ ডগা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। পোস্ত মিহি করে বেটে নিন। মটর ডালের বড়া ছোট ছোট করে ভেজে নিন। কড়াইতে পাঁচফোড়ন দিয়ে লাউ ডগা দিয়ে দিন। ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নুন, জলে গুলে পোস্ত কাঁচালঙ্কা বাটাটা ঢেলে দিন। কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। এবারে ভাজা বড়াগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
নারকেল পোস্তর বড়া
উপকরণ: পোস্ত ১০০ গ্রাম, নারকেল ১টা, পেঁয়াজ কুচি ২টো, আটা ২ বড় চামচ, কাঁচা পাকা লঙ্কা ৩-৪টে, নুন, চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: পোস্ত ও কাঁচালঙ্কা বেটে নিন। নারকেল কুড়িয়ে নিন। নারকেল কোড়ার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, পোস্ত বাটা এবং আটা মিশিয়ে নিন। নুন, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এবার চ্যাপ্টা করে বড়ার আকারে গড়ে ভেজে নিন গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন নারকেল পোস্তর বড়া।
ডিম পোস্ত
উপকরণ: ডিম ৫-৬টা, পেঁয়াজ কুচি ২টো, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে, পেঁয়াজ কুচি ১টা, রসুন বাটা ১ চা চামচ।
পদ্ধতি: পোস্ত বেটে নিন। পোস্ত বাটা হয়ে গেলে তার সঙ্গে কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে দিন। ডিমগুলো সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং নুন, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে সর্ষের তেলে এপাশ-ওপাশ করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি, গোটা গরমমশলা, আদা, রসুন বাটা, নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে পোস্ত বাটা দিন। এবার পোস্ত বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সামান্য পরিমাণে জল দিন। তারপর ডিমগুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। রান্না করা ডিম একটা বায়ুনিরুদ্ধ কৌটোর মধ্যে ভরে ফেলুন। এবার গরম জলের কড়াইতে কৌটোটা রেখে মিনিট পাঁচেক ঢিমে থেকে মাঝারি আঁচে ভালোভাবে ভাপিয়ে নিন। ভাপানো হলে দু’মিনিট রেখে দিন। তারপর পরিবেশন করুন ডিম পোস্ত ভাপা।
রুই পোস্ত
উপকরণ: রুই মাছ ৬ টুকরো, পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, টক দই ২ চামচ, পোস্ত বাটা ৩ চামচ, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো, কালো জিরে চা চামচ।
প্রণালী: প্রথমে রুই মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার তাতে নুন হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে তুলে নিন এবার ওই তেলে শুকনো লঙ্কা, কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে পোস্ত বাটা ও টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। নুন হলুদ দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষে নিন। মশলা কষা হলে তাতে জল দিন। এবার ভেজে রাখা মাছগুলো দিন। ঝোল ফুটে উঠলে সর্ষের তেল নামিয়ে ঢাকা দিন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর পরিবেশন করুন রুই পোস্ত।
বড়ি পোস্ত
উপকরণ: আলু ২টো, বড়ি ১০-১২টা, পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা ৪-৫টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো (ঐচ্ছিক)।
প্রণালী: আলু ছোট ছোট করে কেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে বড়ি ভেজে তুলে নিন। এরপর কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা দিয়ে আলু ভেজে নিন। নাড়াচাড়া করে নুন, চিনি পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না হতে দিন মাঝারি আঁচে। ৫ মিনিট পর পোস্ত বাটা ও ভাজা বড়ি দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। আলু, বড়ি সেদ্ধ হলে সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
লাউশাক পোস্ত
উপকরণ: লাউ ডগা ১ আঁটি, পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ, মটর ডালের বড়া ৬-৭টা, হলুদ গুঁড়ো ১চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদ মতো, পাঁচফোড়ন চা চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে।
প্রণালী: লাউ ডগা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। পোস্ত মিহি করে বেটে নিন। মটর ডালের বড়া ছোট ছোট করে ভেজে নিন। কড়াইতে পাঁচফোড়ন দিয়ে লাউ ডগা দিয়ে দিন। ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নুন, জলে গুলে পোস্ত কাঁচালঙ্কা বাটাটা ঢেলে দিন। কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। এবারে ভাজা বড়াগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
নারকেল পোস্তর বড়া
উপকরণ: পোস্ত ১০০ গ্রাম, নারকেল ১টা, পেঁয়াজ কুচি ২টো, আটা ২ বড় চামচ, কাঁচা পাকা লঙ্কা ৩-৪টে, নুন, চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: পোস্ত ও কাঁচালঙ্কা বেটে নিন। নারকেল কুড়িয়ে নিন। নারকেল কোড়ার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, পোস্ত বাটা এবং আটা মিশিয়ে নিন। নুন, কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এবার চ্যাপ্টা করে বড়ার আকারে গড়ে ভেজে নিন গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন নারকেল পোস্তর বড়া।
ডিম পোস্ত
উপকরণ: ডিম ৫-৬টা, পেঁয়াজ কুচি ২টো, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে, পেঁয়াজ কুচি ১টা, রসুন বাটা ১ চা চামচ।
পদ্ধতি: পোস্ত বেটে নিন। পোস্ত বাটা হয়ে গেলে তার সঙ্গে কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে দিন। ডিমগুলো সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং নুন, হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে সর্ষের তেলে এপাশ-ওপাশ করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি, গোটা গরমমশলা, আদা, রসুন বাটা, নুন, চিনি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে পোস্ত বাটা দিন। এবার পোস্ত বাটা দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে সামান্য পরিমাণে জল দিন। তারপর ডিমগুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। রান্না করা ডিম একটা বায়ুনিরুদ্ধ কৌটোর মধ্যে ভরে ফেলুন। এবার গরম জলের কড়াইতে কৌটোটা রেখে মিনিট পাঁচেক ঢিমে থেকে মাঝারি আঁচে ভালোভাবে ভাপিয়ে নিন। ভাপানো হলে দু’মিনিট রেখে দিন। তারপর পরিবেশন করুন ডিম পোস্ত ভাপা।
রুই পোস্ত
উপকরণ: রুই মাছ ৬ টুকরো, পোস্ত বাটা ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, টক দই ২ চামচ, পোস্ত বাটা ৩ চামচ, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো, কালো জিরে চা চামচ।
প্রণালী: প্রথমে রুই মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার তাতে নুন হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে তুলে নিন এবার ওই তেলে শুকনো লঙ্কা, কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে পোস্ত বাটা ও টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। নুন হলুদ দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষে নিন। মশলা কষা হলে তাতে জল দিন। এবার ভেজে রাখা মাছগুলো দিন। ঝোল ফুটে উঠলে সর্ষের তেল নামিয়ে ঢাকা দিন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর পরিবেশন করুন রুই পোস্ত।
