Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’। সেই সুযোগে নিশীথবাবুর কেন্দ্রেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে পিটিয়ে ভোটের ‘প্রথম সকালে’ বেড়াল মারতে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাতে বিজেপির লাভ হল নাকি ক্ষতি, সেটা পরে বোঝা যাবে। তবে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও মহিলাদের লম্বা লাইন গেরুয়া শিবিরের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, বাংলায় নরেন্দ্র ‘মোদির গ্যারান্টি’কে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।
‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা।’ কথাটি কংগ্রেস নেতা দেবকান্ত বড়ুয়ার। সালটা ছিল ১৯৭৬। তার কয়েক মাস আগেই দেশে লাগু হয়েছে জরুরি অবস্থা। খর্ব হয়েছে মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরোধিতা করলে জেলযাত্রা ছিল অনিবার্য। তেমনই এক পরিস্থিতিতে দেবকান্ত বড়ুয়ার এই মন্তব্য। দেবকান্তবাবু কংগ্রেসের সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনকী রাজ্যপালও হয়েছিলেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। কিন্তু তিনি বিখ্যাত এবং একই সঙ্গে সর্বাধিক সমালোচিত হয়েছিলেন তাঁর এই মন্তব্যের জন্যই। নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন জনসভায় সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন, মানুষ অহঙ্কার পছন্দ করে না। সেই অহঙ্কারের জন্যই দেশবাসী কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।
একেবারে হক কথা বলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল গোটা দেশ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পর্যন্ত সেই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। মানুষ অহঙ্কারীকে অতীতেও পছন্দ করেনি, এখনও করে না, আগামী দিনেও করবে না। কিন্তু মোদিজি, আপনি নিজে কি সেই কথাটা বিশ্বাস করেন? নাকি শুধু কংগ্রেসকে আক্রমণের জন্যই ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে এনেছেন অতীতকে?
‘নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সকলের কথা খুব মন দিয়ে আগে শোনা। আমার এই ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতাটি রয়েছে। আমি কিন্তু নিজেও এই গুণটিকে নিয়ে চলি। আমার আরও একটি গুণ রয়েছে। তা হল আমি কখনওই কাজের সময় কে ফোন করল, কে মেসেজ করল, তা নিয়ে বিশেষ ভাবি না। আমি যখন কোনও কাজ করি, তখন নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে করি।’ বক্তা আর কেউ নন, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের ঢাক নিজে পিটিয়েছেন ‘বিশ্বগুরু’। এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হল, গত দশ বছরে তিনি একবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। কারণ কথা শুনতে নয়, কথা শোনাতে তিনি ভালোবাসেন।
দেবকান্ত বড়ুয়াকে মানুষ মনে রেখেছে তাঁর ‘তৈলাক্ত মন্তব্যে’র জন্য। নরেন্দ্র মোদিকেও মানুষ যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে। কারণ রাষ্ট্রনায়ক হয়ে নিজের ঢাক নিজে পেটানোর এমন নজির অতীতে নেই, ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও অতীব ক্ষীণ। 
নির্বাচন আসতেই প্রধানমন্ত্রী ফের বাংলায় নিত্যযাত্রী হয়েছেন। ঘনঘন বাংলায় আসছেন। রাজনৈতিক ভাষণের মাঝে দু’চার লাইন বাংলাও বলছেন। বোঝা যাচ্ছে, তিনি বাংলা শিখছেন। এই সুযোগে ‘কে বড়’ ছড়াটা একবার মোদিজি পড়ে নিতে পারেন। তাতে বাংলার সংস্কৃতি, রুচি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হবে। ‘আপনারে বড় বলে, সেই বড় নয়/ লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।... বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।’ 
এবার প্রচারের স্টাইল বদলে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি। একুশের ভোটে তাঁর টার্গেট ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিটি জনসভায় তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন। মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। তাই আর ‘দিদি, অ দিদি’ বলে কটাক্ষ নয়, এবার তাঁর হাতিয়ার ‘আমিত্ব’। তিনি দেশজুড়ে আত্মপ্রচারে নেমেছেন। তাঁর আত্মপ্রচারের ধাক্কায় কেন্দ্রীয় সরকার এখন হয়ে গিয়েছে ‘মোদি সরকার’, ভারতীয় জনতা পার্টি হয়েছে ‘মোদির পার্টি’। তাই দলীয় হোর্ডিং থেকে সরকারি বিজ্ঞাপন, সর্বত্রই মোদির জয়গান।
এখন চলছে ‘মোদির গ্যারান্টি’। তাঁর কথায় ‘মোদির গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি।’ তিনি বলছেন, ‘২০১৪ সালে মোদিকে দেশের মানুষ চিনত না। কিন্তু ১০ বছরে তাঁকে দেশের মানুষ চিনেছে। তাই সঠিকভাবে নির্বাচন করবে।’ তাঁর নিজের কাজের উপর ভরসা থাকলে তাঁকে এত ‘গ্যারান্টি’ দিতে হচ্ছে কেন? ১০ বছর দেশ চালানোর পরও তাঁর এত গ্যারান্টি দেওয়ার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? মোটেই না। কিন্তু তাঁকে দিতে হচ্ছে। কারণ ‘আচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি প্রায় কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি। 
বছরে দু’কোটি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তা পূরণ যে হয়নি, বলাইবাহুল্য। উল্টে তাঁর আমলে দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৪.৯ শতাংশ। এবছর ফেব্রুয়ারিতে  মাসে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। বাড়ছে অনাহারে, অর্ধাহারে, অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা। ২০১৮ সালে দেশে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৯ কোটি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫কোটি। ক্ষুধা, বেকারত্ব সহ প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারতের অবনতি স্পষ্ট। তাই বিরোধীদের কটাক্ষ, মোদির গ্যারান্টি মানে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি।
এরাজ্যে লড়াইটা নরেন্দ্র মোদির ‘আমিত্বে’র সঙ্গে বাংলার ‘বহুত্ববাদে’র। বিজেপির সিএএ চালুর উদ্দেশ্য, একটি বিশেষ ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা। অন্যদিকে, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বাংলায় যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই দেশের নাগরিক। নরেন্দ্র মোদি মুখে বলছেন, ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ।’ অথচ বাংলার গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, বন্ধ আবাস যোজনার টাকা। বিকশিত হচ্ছেন মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি। কালাধনও ফিরিয়ে আনতে পারেননি। নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদেরও দেশে ফেরাননি। এসব দেখে দেশের মানুষ বুঝেছে, স্লোগানে ও প্রচারে নরেন্দ্র মোদিই সেরা। তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। 
নরেন্দ্র মোদির প্রতিটি পদক্ষেপের একটাই লক্ষ্য, প্রচার। প্রচারের আলো কীভাবে নিজের দিকে ঘোরাতে হয় তা তিনি হাতেকলমে করে দেখিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। উনিশের নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রের প্রচার শেষ করেই পৌঁছে গেলেন অমরনাথ। সমস্ত সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিল ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি। করোনাকালেও তিনি লক্ষ্যচ্যুত হননি। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে ছাপানো হয়েছিল তাঁরই ছবি। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কলেজে ‘সেলফি জোন’ তৈরি করতে হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন। তবে, সেই সেলফি পয়েন্টের ব্যাকগ্রাউন্ডে নরেন্দ্র মোদির ছবি মাস্ট। এমনকী, কোন ইভেন্টে এবং প্রধানমন্ত্রীর কোন মুডের ছবি দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি হবে, সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। 
এখানেই শেষ নয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং বিভিন্ন কাজে আসা অতিথিদের সেই সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ নির্দেশ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নিজের ইমেজ তৈরির এমন পরিকল্পনা অতীতের কোনও প্রধানমন্ত্রী করেননি। কিন্তু মোদিজি পেরেছেন। কারণ কে কী বলল, কে কী ভাবল, তার তিনি তোয়াক্কা করেন না। সেই জন্যই মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম বদলে তা নিজের নামে করে নিতে পেরেছেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও মোদিজির আত্মপ্রচারের বিষয়টি বুঝে গিয়েছেন। তাই দলীয় সমাবেশে যত না ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি ওঠে তারচেয়েও অনেক বেশি শোনা যায় ‘মোদি-মোদি’ চিৎকার। কর্মীদের সেকাজে উৎসাহিত করার জন্য মোদিজি আবার ভাষণের মাঝে ‘পজ’ও দেন।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘অহংবোধ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চোর। সে স্বয়ং ভগবানের সামগ্রীও নিজের বলিয়া দাবি করিতে কুণ্ঠিত হয় না।’ সঙ্ঘের বিস্তারক থেকে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দু’বারের প্রধানমন্ত্রী। এবার স্বপ্ন শুধু ক্ষমতায় ফেরার নয়, ৪০০ ছোঁয়ার। মোদিজি, অহঙ্কার হয়তো আপনাকেই মানায়। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন? বাংলা আমিত্বে নয়, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। এটাই রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা।
20th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
একনজরে
‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM