Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। ৪ জুন কিন্তু নিছক অষ্টাদশ লোকসভার জয় পরাজয়ের ফলাফল প্রকাশিত হবে না। আপনারা, বিশেষ করে যাঁরা নিজেদের পূর্বসূরিদের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে অধিকার এবং দায়িত্ব পেয়েছেন, সেদিন নিজেদের প্রমাণ করার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। আপনাদের মধ্যে সিংহভাগ তাঁরাই, যাঁদের পিতা ছিলেন একটি দলের প্রতিষ্ঠাতা অথবা সুপ্রিমো। তাঁরা তাঁদের সেই দায়িত্ব আজ থেকে চল্লিশ পঞ্চাশ বছর আগে কাঁধে নিয়েছিলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি নামক দুই শক্তিশালী জাতীয় দলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে তাঁরা বজায় রেখেছেন, উন্নীত করেছেন এবং ক্ষমতা দখল করেছেন একক প্রচেষ্টায়। আবার বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক জাতীয় দলের পারিবারিক পতাকাকে বহন করে নিয়ে গিয়েছেন এরকমও আছেন। নিজেদের মতো করে সফল হয়েছেন। দলকে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের লড়াইগুলো মনে রাখবেন। তাঁরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। অনেক দিন হয়ে গেল আপনাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনারা এখনও কিন্তু আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স দেখাতে পারছেন না। 
তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধী, ওমর আবদুল্লা঩দের রাজনৈতিক কেরিয়ার একই খাতে বয়ে চলেছে। আমরা জানি গণতন্ত্র বিপন্ন। সংবিধান সঙ্কটে। বেকারত্ব চরমে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষ হাহাকার করছে। কিন্তু আপনাদের কাছে প্রশ্ন, এই ইস্যু নিয়ে দেশে তোলপাড় করে দেওয়া আন্দোলন করতে পারলেন না কেন? আপনারা এখনও নিজেদের দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতা হয়ে রইলেন। রাজ্য অথবা দেশের সকলের কাছে সমীহ পাওয়ার মতো সাফল্য কোথায়? কেন এখনও সেই ষাট, সত্তরোর্ধ্ব নেতা-নেত্রীরাই রাজনীতির অভিমুখ নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন! বিহারে তেজস্বী যাদবের একক ক্যারিশমা কোথায়? কেন তাঁকে জোটের উপর ভরসা করতে হয়? নীতীশকুমার থাকুন না থাকুন, তাঁকে এককভাবে বিজেপি ভয় পাবে না কেন? তিনি বনাম বিজেপি। এই জায়গায় নিয়ে যেতে পারলেন না কেন এখনও রাজনীতিকে? লালুপ্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদবেরা কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক ছিনতাই করে নিয়েছিলেন। আটের দশক থেকে কংগ্রেসের শুধুই ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার ইতিহাস। কখনও সংখ্যালঘু সরকার, কখনও জোট নির্ভর সরকার চালিয়েছে কংগ্রেস। কেন? কারণ এই আঞ্চলিক নেতা-নেত্রীরা কংগ্রেসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। 
তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন এক একজন করে অসম সাহসী এবং মানুষের মধ্যে ম্যাজিক সৃষ্টি করা নেতা-নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, লালুপ্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদব, নীতীশ কুমাররা প্রবল প্রতাপশালী হয়ে উঠলেন। প্রত্যেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা এবং নীতীশ কুমার ছাড়া বাকিরা দলের প্রধান পদ থেকে সরে গিয়েছেন। অসুস্থতা অথবা গুরুত্বহীনতার কারণে। মমতা এখনও নিজের দলের নীতি নির্ধারক। সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেও, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দল চালাচ্ছেন অথবা তৃণমূলের ভোটার ও সমর্থকরা তাঁকে দেখে ভোট দেন, এখনও সেই পর্যায় আসেনি। আগামী দিনে আসতে পারে। এখনও নয়। কিন্তু বাকি উত্তরাধিকারীরা কেন জ্বলে উঠতে পারলেন না এখনও?
তেজস্বী যাদব রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কাণ্ডারী হয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। তিনি বিহারের সবথেকে সম্ভাবনাময় নেতা। জনপ্রিয় ও ক্যারিশমাটিক। কিন্তু কোথাও একটা খামতি রয়েই যাচ্ছে। এখনও তিনি এককভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারার মতো পর্যায়ে যেতে পারলেন না। অখিলেশ যাদব যেদিন থেকে সমাজবাদী পার্টির দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন, তারপর থেকে দলের ক্ষয় বেড়ে চলেছে। তিনি কিন্তু দলকে শক্তিশালী করতে পারেননি। কী হল ওমর আবদুল্লার? ফারুখ আবদুল্লাকে যাও-বা আজকাল কালেভদ্রে কোনও ইস্যুতে গর্জে উঠতে দেখা যায় এবং গরমাগরম সংলাপও উপহার দেন, সেই তুলনায় ওমর আবদুল্লা যেন প্রায় অবসরকালীন জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর দল আগামী দিনে থাকবে কি না সন্দেহ। মেহবুবা মুফতি সম্পূর্ণ দিশাহীন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন অযথা বিজেপির সঙ্গে জোট করে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠন করে। একমাত্র উত্তরাধিকারীদের মধ্যে জগনমোহন রেড্ডি অবশ্যই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কংগ্রেসের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে দল গঠন করেছেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে চলেছেন। 
এবং রাহুল গান্ধী। আর কতদিন আপনি পরীক্ষা দেবেন? আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন এখনও নরেন্দ্র মোদি অথবা তাঁর দল  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের যতটা ভয় করেন, গুরুত্ব দেন, আপনাকে কেন দেন না? জওহরলাল নেহরুর পর কিন্তু সহজেই ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস নামক দলের সর্বেসর্বা হয়ে যাননি। এসব আপনি জানেন। তাঁকে দলেরই অন্যতম সর্বোচ্চ স্তরের নেতা মোরারজি দেশাই গুঙ্গি গুড়িয়া বলে তাচ্ছিল্য করেছিলেন। কারণ তিনি ক্ষমতাসীন হলেও চুপ করে থাকতেন। দলকে, দেশকে এবং প্রশাসনকে বোঝার চেষ্টা করতেন। তারপর একদিন তিনি ঐতিহাসিক দল ভেঙে বেরিয়ে এসে নিজেই নিজের দল গঠন করলেন। নিজের নাম সেই দলের সঙ্গে জুড়ে দিলেন। কালক্রমে সেই দলই হয়ে গেল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কংগ্রেস। অর্থাৎ ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে সেই আগুন ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে পেলেই তো সফল হওয়া যায় না। রাজীব গান্ধী তার সবথেকে বড় প্রমাণ। বহু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ভারতীয় প্রশাসনে নিয়েছেন। কিন্তু দলকে নিজের কর্তৃত্বে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। আব কী বার চারশো পার পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি মুখ থুবড়ে পড়লেন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষরা তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যায় ভূষিত করল। অথচ তিনি পাল্টা প্রচার ও আক্রমণে ব্যর্থ হলেন। তারপর যখন ফিরে আসছিলেন তখন অকালে মর্মান্তিক মৃত্যু হল। কিন্তু কংগ্রেস শক্তিশালী আর রইল না। 
এসব ইতিহাস জানা সত্ত্বেও এখনও রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদবরা মাটি কামড়ে, সিরিয়াস রাজনীতি করে নরেন্দ্র মোদি নামক এক হিমালয়সম শক্তিকে ধাক্কা দিতে পারছেন না। উল্টে তাঁরা মাঝেমধ্যেই অপরিণত রাজনীতি করে লড়াইকে হালকা করে দিচ্ছেন। কেউ নবরাত্রির সময় মাছের ভিডিও দেখাচ্ছেন। দেখিয়ে রাজনৈতিক লাভ এক বিন্দু কী হয়েছে? বুঝিয়ে বলুন। রাহুল গান্ধী এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে ঘোষণা করতে পারলেন না যে, তিনি আমেথি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন কি না। বলছেন, দল যা বলবে তাই হবে। এটা কোনও বিবৃতি? নরেন্দ্র মোদি কিংবা আপনি, আপনারাই তো দল! এই যে শোনা যাচ্ছে, কেরলের ওয়েনাড়ে ভোট হয়ে গেলে তারপর কংগ্রেস ঘোষণা করবে আমেথি থেকে রাহুল প্রার্থী হচ্ছেন এই মর্মে। এই জল্পনা এবং গুঞ্জন  ওয়েনাড়ের মানুষের কানেও গিয়েছে। তাঁরা কী ভাববেন? শারদ পাওয়ার যতই চেষ্টা করুন সুপ্রিয়া সুলে আজও নিজের প্রভাবকে প্রবলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতেই পারলেন না। বরং দল ভেঙে গেল। কোথায় বালাসাহেব থ্যাকারের সেই দাপট? কী করলেন উদ্ধব থ্যাকারে ওরকম দাপুটে পিতার রাজনৈতিক রাজপাট পেয়ে? ধরে রাখতে পারলেন না। আদিত্য থ্যাকারের কোনও উপস্থিতিই টের পাওয়া যায় না। 
 বিজেপি তো দল ভাঙার খেলা, সরকার ভাঙার খেলা করবেই। টাকা আছে। ক্ষমতা আছে। প্রভাব আছে। এজেন্সি আছে। কিন্তু সেটাই তো নিজের নেতৃত্বক্ষমতার সবথেকে বড় পরীক্ষা। আপনারা কেন নিজেদের প্রবল প্রভাব ও সম্মাননীয় অস্তিত্ব রচনা করতে পারলেন না? পারিবারিক সূত্রে আপনাদের একটি আস্ত দল, সংগঠন, ইতিহাস, ভোটব্যাঙ্ক সবই এসেছে। অথচ সেই মিথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তুলনায় নড়বড়ে করে দিচ্ছেন। 
তরুণ প্রজন্ম এবং উত্তরাধিকার সূত্রে দলের প্রধান হওয়া নেতাদের কাছে এই ভোট বিশেষ তাৎপযপূর্ণ। তাঁরা তাঁদের দলকে কতটা শক্তিশালী রাখতে পারবেন, কত আসন এককভাবে পাবেন, নতুন প্রজন্মের ভোটারকে কতটা কাছে আনতে পারছেন, সর্বজনগ্রাহ্য নেতানেত্রী হওয়ার ম্যাজিক নির্মাণের সম্ভাবনা কতটা আছে, এসবই এবার প্রমাণিত হবে। 
সুকুমার সেন নামক এক বাঙালিকে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভারত নির্মাণের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে কার্যকর করার প্রক্রিয়া তিনি যেন শুরু করেন। নেহরু চাইছিলেন যত দ্রুত সম্ভব। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র চালু হল। নেহরু চাইলেন কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হোক গণতন্ত্রের সবথেকে বড় পরীক্ষা। অর্থাৎ লোকসভা ভোট। সুকুমার সেন জানতেন এই কাজ কতটা কঠিন। তিনি আরও সময় চাইলেন। ১৯৫১ সাল থেকে অবশেষে শুরু হল আধুনিক গণতান্ত্রিক ভারতের পথ চলা। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট একটি বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সংবিধান, বাকস্বাধীনতা, বহুত্ববাদী ভারত কোনদিকে যাবে? স্বাধীনতার পর এটাই সম্ভবত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে চলেছে। অতএব তরুণ প্রজন্মের বিরোধী নেতা-নেত্রীদের ভূমিকার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে আগামী ভারতের ভাগ্য! তাঁদের কাছে এই লোকসভা ভোট নিজেদের যোগ্যতারও লিটমাস টেস্ট! সম্মিলিতভাবে তাঁদের পারফরম্যান্স ইতিবাচক হলেই ভারতের চরিত্র বদল হয়তো হবে না। থমকে যাবে! 
19th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:49:17 PM