Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে। 
এই ধরনের ফোন অনেকেই পেয়েছেন। 
যাঁরা লোভে পা দিয়ে ওটিপি নম্বর  জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। এগুলো আসলে প্রতারণার কল। বর্তমানে এই ধরনের প্রতারণা বেড়েই চলেছে। রাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়। জীবনের সবক্ষেত্রেই প্রতারককে ঠিকমতো চিনতে না পারলে, সবকিছু কিন্তু নিমেষে শেষ হয়ে যাবে। 
১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্তি সংক্রান্ত প্রতারণার গল্প শোনার পরই অনেকেরই মনে পড়তে পারে দশ বছর আগের কথা। সেদিনও ছিল আজকের মতো এমনই ভোটের হাওয়া। সারা দেশের বিভিন্ন মঞ্চে গিয়ে এক নেতা বারবার বলে গিয়েছেন, ‘আপনারা আমাকে ভোট দিন, আমি বিদেশ থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করে নিয়ে এসে আপনাদের ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করে দেব।’ গোয়েবলসের থিয়োরির মতো তিনি একই কথা বারবার বলে মানুষের মনে অনায়াসে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির সাহসিকতার উপর মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন। মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের অ্যাকাউন্টে আর ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। কালো টাকা বিদেশ থেকে আসেনি। নীরব মোদিরা তাঁদের আমলেই ব্যাঙ্ক লুটেপুটে পালিয়েছেন। তাঁর আমলেই দেশের গুটিকয় ধনী ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। এখন কালো টাকা আনার কথা তিনি মুখেও আনেন না। নীরব মোদিদের গ্রেপ্তার করার কথাও বলেন না।  
এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বছরে দেশের দু’কোটি যুবককে চাকরি দেব।’ মানুষ আবার তাঁকে বিশ্বাস করলেন। উল্টে দেখা গেল, বহু মানুষ তাঁদের চাকরি হারালেন। দেশের চাকরির জগৎকে শ্মশান বানিয়ে তুললেন। সেই শ্মশানে বসেই যেন শুরু হয়েছে তাঁর ক্ষমতা দখলের সাধনা। 
‘ভাঁওতাদ প্রতিশ্রুতির একটা একটা করে প্রমাণ রয়ে গিয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। এখনও গুগল খুললে পাওয়া যাবে বিজেপির প্রথম ও দ্বিতীয় লোকসভা ভোটের ইস্তাহার। সেই ইস্তাহার ছিল প্রতিশ্রুতির গঙ্গাসাগর। একটি প্রবাদ আছে, ‘স্বপ্নে পোলাও রান্না করলে বেশি করে ঘি ঢালো।’ সুতরাং যে প্রতিশ্রুতি পালনের দায়বদ্ধতা নেই, তাতে যত ইচ্ছে জল মেশাও।  কংগ্রেস শাসনকালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিষোদ্গার করে ইস্তাহারে বিজেপি বলেছিল, ‘ক্ষমতায় এলে তাদের অগ্রাধিকার হবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ।’ কিন্ত কী দেখা গেল? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে ব্যাপক ফাটকাবাজি হল। সর্ষের তেল সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাতারাতি বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের পকেটে হাজার হাজার কোটি টাকা ভরে দেওয়া হল। তবে তা একতরফা ছিল না। বেওসায়িদের একাংশও বিজেপির তহবিলে গোপনে টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করলেন। শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিজেপি কীভাবে একের পর এক চাঁদা নেওয়া বা ‘তোলাবাজি’ করেছে, আজ আর তা দেশের মানুষের কাছে লুকোছাপার ব্যাপার নয়। 
মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করার বহু দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন বহু শাসক। কিন্তু গত দশ বছরে মানুষকে ধনেপ্রাণে মারার এমন নিষ্ঠুর হৃদয়হীনতা এর আগে কোনও শাসকই দেখাতে পারেননি। এমন নজির যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর নাম হল নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। কিন্তু মানুষের কাছে বারবার অসত্য প্রতিশ্রুতির টোপ ফেললেই কি মানুষ তা গিলে নেন? না, তা নেন না। বিগত দু’টো নির্বাচন মোদির মুখোশ খুলে দিয়েছে। দেশ থেকে কালো টাকা মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যিনি, তাঁরই দলের তহবিলে জমছিল গোপন অনুদান। কে দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, তার ইতিহাস গোপন করার কী মরিয়া চেষ্টা! কিন্তু গোটা গেমটারই চালিয়াতি ফাঁস হয়ে গেল। ধর্ম নিয়ে যাঁদের ব্যবসা, তাঁদের সামনেই ধর্মের কল বাতাসে নড়ে গেল। কীভাবে বড় বড় কোম্পানিকে ভয় দেখিয়ে তাদের বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করে পার্টি টাকা আদায় করত, তা আজ জলের মতো পরিষ্কার। যে কোম্পানি লোকসানে চলছে, সেও শত শত কোটি টাকা গেরুয়া বাবাজিদের তহবিলে তোলা দিয়েছে। সেই তোলাবাজির গোপন কথা ফাঁস হতেই দেশজুড়ে ধিক্কার। কিন্তু মুখে কুলুপ ৫৬ ইঞ্চি অ্যান্ড কোম্পানির। এসব কথা কিন্তু ইস্তাহারে পাওয়া যাবে না।
বিগত দশ বছরের ইতিহাস মানুষের কাছে সেই বিশ্বাসভঙ্গের ইতিহাস। একবার চোখ বুজে বড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো বসে পাঁচ মিনিটের জন্য ভাবুন। বুঝতে পারবেন, দেশের নাগরিক হিসাবে আপনি কতখানি প্রতারিত হয়েছেন। ১৫ লক্ষ টাকা , দু’কোটি চাকরির পরেও রয়েছে অজস্র প্রতিশ্রুতি। আচ্ছে দিন। পেয়েছেন? পাননি। না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা! বিরোধীদের খাওয়া বন্ধ করার ফাঁকে দেখা গেল নিজেরাই গলা পর্যন্ত খেয়ে বসে আছেন। ঢেকুর তোলার জায়গা পর্যন্ত নেই। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের মাথায় পাকা ছাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেখানেও ব্যর্থ। করোনার সময় বারবার দেখা গিয়েছে মোদি সরকারের অমানবিক মুখ। দেশের কালো টাকা ধরার নামে নোটবন্দি করলেন। বললেন, ‘আমাকে পঞ্চাশ দিন সময় দিন, আমি দেশের অর্থনীতি বদলে দেব।’ এক্ষেত্রে তিনি কথা রেখেছেন। অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছেন, কিন্তু সেটা অক্ষমের হাতে পড়ে তলিয়ে যাওয়ার লজ্জা! দেশের বৈদেশিক ঋণ ক্রমেই বাড়ছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো আমরাও ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি ঋণের জালে, আর সরকার অসত্য তথ্য দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, ‘সব ঠিক হ্যায়’। 
২০১৪ সালে দেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল প্রায় ৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। দশ বছরে সেই ঋণ তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। সোনার দাম, টাকার দাম, পেট্রল-গ্যাসের দাম নিয়ে তুলনা করুন, ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন। অর্থনীতি যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, তা অনেকদিন আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছিলেন। তারপর মোদি সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বহর দেখে একে একে সরে পড়েছেন অরবিন্দ পানাগরিয়া, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম, উর্জিত প্যাটেলের মতো বড় বড় অর্থনীতিবিদরা।   
এবারের নির্বাচনে তাঁর স্লোগান, ‘মোদির গ্যারান্টি’। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁর একটা গ্যারান্টিও কাজে লাগেনি। দেউলিয়া শাসকের আবার গ্যারান্টি! বিজেপি যাঁকে ‘বিশ্বগুরু’ সাজিয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি ভারতকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন, তা অনেকেরই জানা নেই। গণতন্ত্র,  খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, শান্তি, সুখী দেশের নিরিখে আমরা তালিকার শেষের দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করছি। মোদির শাসনে আমরা প্রায় সবক্ষেত্রে লাস্ট বয়।
একটা খামখেয়ালি শাসন ব্যবস্থার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষকে। বিরাট স্ট্যাচু অব ইউনিটি গড়ে যিনি একসময় হাততালি কুড়িয়েছেন, তিনিই ভারতের আত্মিক ঐক্যকে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করতে চলেছেন। যিনি নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ বলে বুক বাজান, তাঁর দলকে ঘিরে আজ ইলেক্টোরাল বন্ডের কলঙ্ক জমেছে। আমরা এখনও জানি না, পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে এমন কোনও হতবাক হওয়ার মতো কিছু ভবিষ্যতে ঘটবে কি না! একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই আমাদের সেই রাস্তা দেখাতে পারে।  সুতরাং এই মুহূর্তে মোদি গ্যারান্টির শেয়ার দর যে ভোটারদের কাছে হু হু করে পড়ে যাচ্ছে, এনিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। 
পাশাপাশি ভোটারদের এই বাংলার দিকে তাকাতে বলি। কীভাবে রাজ্য সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসময়ে তাঁদের বল ভরসা জোগাচ্ছে, সেটা দেখে শেখার মতো। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের শক্তিকে রোখার মতো কোনও শক্তিই আজ বিজেপির অস্ত্র ভাণ্ডারে নেই। তাই এবার বিজেপিকে লড়তে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহার নামক নানা মৃত্যুঞ্জয় অস্ত্রের সঙ্গে। মোদির বায়বীয় গল্প, নাকি মমতার বাস্তবতা? বাংলার মানুষকে ভাতে মারার কৌশল, নাকি তাঁদের মুখে ভাত পৌঁছে দিতে এক নারীর অসম লড়াই। এটাই এবার নিরূপণ করবে ভোটের ভাগ্য! অবশ্য বিজেপিরও আছে নিজস্ব এক বড় মাপের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! সেখানে হাজার টাকা নয়, জমা হয় বেওসায়িদের হাজার হাজার কোটি টাকা। তার জোরেই বিজেপি নিজেকে সর্বশক্তিমান মনে করছে। সেই টাকার জোরেই যেন দেশের বিরোধী নেতাদের কিনে নেওয়ার ‘মান্ডি’ খুলে বসেছে। কিছুতেই গুরুত্ব দিচ্ছে না গণতন্ত্রে মানুষের শক্তিকে। ভোট কি তবে নতুন দিশা দেখাতে পারবে? বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তাঁদের কথার মূল সুরই হল, ‘দশ বছরের দশমীতে বেজে উঠুক মোদি বিসর্জনের ঢাক!’  
17th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
একনজরে
আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

কেউ আছেন পাঁচ বছর, কেউ বা দশ। তাঁরা প্রত্যেকেই বারুইপুরের ‘আপনজন’ হোমের আবাসিক। প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের অনেকেই পরিবার থেকে দূরে থাকেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

10:49:17 PM