Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোবাইল সেট নিয়েও যুদ্ধ?
বিশ্ব অর্থনীতির নয়া রণক্ষেত্র
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ওয়েইবো’তে এই মুহূর্তে কী ঘটছে, তা কলকাতার মাটিতে বসে আঁচ পাওয়া অসম্ভব। ঘটনা হল, আমেরিকা-বিরোধী উত্তেজনায় ওয়েইবো এখন রীতিমতো রণক্ষেত্র। কিছুদিন আগে ভারতে চীনের পণ্য বয়কট আন্দোলন নিয়ে ওয়েইবোতে হাসাহাসি হলেও এখন তারাই মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছে। চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়েই-র বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিধিনিষেধ আরোপ করায় জোর খেপেছে চীনের নাগরিকরা। তারা বয়কট করতে চাইছে আমেরিকান কোম্পানি অ্যাপলকে। ওয়েইবোতে নিজস্ব আইডিতে অনেকে অ্যাপলের আইফোন ভেঙে ফেলার ভিডিও আপলোড করছে। কোনও ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে, বিভিন্ন সংস্থায় কর্তারা কর্মচারীদের ডেকে বলছেন, আইফোনের বদলে হুয়েই-র ফোন ব্যবহার করলে বোনাস দেওয়া হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে, আমেরিকা-চীনের মধ্যে এক ‘ফোন-যুদ্ধ’ চলছে। এ আসলে বাজার দখলের লড়াই। এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে মহাসংঘাত যে বিশ্ব ইতিহাসের অতীতের সব যুদ্ধের চেয়ে প্রযুক্তিগত ও উপাদানে ভিন্ন কিছু হবে, তারই বহিঃপ্রকাশ হল অ্যাপল বনাম হুয়েই-র সম্প্রতি প্রতীকী লড়াই। একসময় যে লড়াইয়ের আঁচ এসে পড়বে এই ভারতেও।
হুয়েই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি নয়। যদিও আমেরিকার কাছে তারা চীনের ‘উত্থানের প্রতীক’। এটা হয়তো শুধু এই কারণে নয় যে, কোম্পানিটির এখনকার সিইও রেন ঝেংফেই একসময় পিপলস লিবারেশন আর্মিতে কাজ করতেন। কে না জানে, হুয়েই-র বিরোধিতা আসলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকার জন্য আমেরিকার প্রতিদিনের সংগ্রামেরই নতুন অধ্যায় মাত্র। খ্যাতনামা ফোন ব্রান্ড হলেও হুয়েই-র শুধু স্মার্টফোন বানায় না। যোগাযোগপ্রযুক্তির নানা যন্ত্রপাতি তৈরিতে তারা অন্যতম বিশ্বসেরা। অ্যাপল থেকে গুগল—চীনের মক্কেলদের তালিকায় কেউ বাদ নেই। বড় বড় এই প্রতিষ্ঠানের কাছে চীন জনপ্রিয় সস্তা শ্রমের জন্য। ফোন ব্যবসায় যদিও হুয়েই এখনও স্যামসাংয়ের থেকে পিছিয়ে। কিন্তু ইতিমধ্যে তারাই আমেরিকার চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছে। তার কারণ একটাই, গত বছর অ্যাপলকে পিছনে ফেলে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাওয়া। আমেরিকার এখনকার নীতিনির্ধারকরা হুয়েইকে নিজেদের ‘নিরাপত্তার জন্য বিপদ’ মনে করছেন। তাদের সঙ্গে ব্যবসা না করার জন্য নিজেদের দেশের কোম্পানিগুলোকে বলছেন।
সরাসরি নাম না করেই গত ১৫ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবসায় একরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একে ‘জরুরি অবস্থা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন ট্রাম্প নিজেই। ফলে, হুয়েই-র মতো চীনের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আমেরিকা থেকে চিপসহ কোনও প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার আমদানি করতে পারবে না। সমস্যায় পড়বে সফটওয়্যার নিয়েও। শুধু তাই-ই নয়, আমেরিকার শীর্ষ মহল থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে যে, হুয়েই-র প্রযুক্তির মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছে চীন। যদিও এখনও তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবুও, চীনের নজরদারি কথা বলে সাধারণ নাগরিকদেরও এই যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে হুয়েই-র মোবাইল সেটগুলো স্রেফ খেলনায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন হুমকির জেরে যে তাদের বিক্রি বড় ধাক্কা খেয়েছে তা স্বীকার করেছে চীনা টেলিকম সংস্থা হুয়েই। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও রেন ঝেংফেই জানিয়েছেন, উৎপাদন কমানো ছাড়া আর কোনও পথ নেই।
সোভিয়েত ইউনয়ন ভেঙে পড়ার ৩০ বছর পর এভাবেই বিশ্ববাজারে নিজের এতদিনের একচেটিয়া সাম্রাজ্য রক্ষায় নতুন এক রেষারেষিতে নেমেছে ওয়াশিংটন। অথচ, এই আমেরিকাই বহুকাল থেকে মুক্তবাণিজ্যের কথা বলে এসেছে। আর নিজের ক্রেতাদের পছন্দের স্বাধীনতাই সর্বাগ্রে হরণ করেছে। এটা অবশ্য মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ, ‘প্রেম এবং যুদ্ধে যেকোনও কৌশলই গ্রহণযোগ্য!’ চীনের অর্থনৈতিক উত্থান থামাতেই যে এসব পদক্ষেপ, সেটা গোপন নেই আর। অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেধাস্বত্ব চুরি করছে চীন। আমেরিকার প্রযুক্তি স্থানান্তর করছে তারা। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলোর সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে না। নিজের দেশের মুদ্রা নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার মতো কাজগুলো করছে চীন। মার্কিন নীতির তোয়াক্কা না করে চীনের বেড়ে ওঠার বিষয়টিতে প্রক্রিয়াগত চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেছেন ট্রাম্প। অন্য কোনও মার্কিন রাজনীতিবিদ এতদিন তা বুঝতেই পারেননি। ট্রাম্পের তত্ত্ব হচ্ছে, মার্কিন মজবুত অর্থনীতি চীনকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করবে। তিনি ট্যুইট করেছেন, ‘তারা হারছে এবং হারবে।’
গত বছরের এপ্রিলে চীনের হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান জেডটিই-এর উপর প্রথম আঘাত হেনেছিল আমেরিকা। ওই সময় নিষেধাজ্ঞার চোট সামলাতে না পেরে প্রায় ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল জেডটিই। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার মূল উদ্দেশ্য হল বাজার ও অর্থনীতির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণের জানান দেওয়া এবং চীনকে দাবিয়ে রাখা। তবে জেডটিইর ক্ষেত্রে যে কৌশল কাজে দিয়েছিল, সেটি হুয়েই-র ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। আমেরিকার লক্ষ্য শুধু হুয়েই-র মোবাইল সেট নয়। সারা বিশ্বে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের ক্ষেত্রে মূল যন্ত্রাংশ সরবরাহের কাজে এগিয়ে রয়েছে হুয়েই। ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্কের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেটেন্ট আছে হুয়েই-র দখলে। এই জায়গাতেও নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় আমেরিকা।
আমেরিকার অঙ্গুলিহেলনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ককে হুয়েই ও জেডটিইমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিসেম্বরে কানাডায় হুয়েইর বড় এক কর্তার আটক হওয়াও আমেরিকার চীনবিরোধী বাণিজ্যযুদ্ধেরই বহিঃপ্রকাশ ছিল। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা হুয়েই-এর বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। মোট ২৬টি অভিযোগের মধ্যে আছে, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, ব্যাঙ্ক দুর্নীতি এবং নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মতো বিষয়গুলি। যদিও সব ক’টি অভিযোগই অস্বীকার করেছে চীনা সংস্থা হুয়েই। এই মুহূর্তে কানাডায় নজরবন্দি এই সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মেং ওয়াংজু।
আমেরিকা কানাডাকে বাধ্য করেছিল ওই মেং ওয়াংজুকে আটক করতে। এই মুহূর্তে পায়ে একটি ডিজিটাল যন্ত্র লাগিয়ে তাঁকে আক্ষরিক অর্থেই নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন হুয়েই-র কর্তা মেং ওয়াংজুকে নিজের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের চাপে হুয়েই-র অ্যান্ড্রয়েড লাইসেন্সও টেনে ধরেছে গুগল। মাইক্রোসফট উইনডোজ লাইসেন্স নিয়ে নেয় কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। আমেরিকা তার ঘনিষ্ঠ সব মিত্রকে বলছে চীনের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে। রাজনৈতিক স্বার্থে চীনের পণ্য সম্পর্কে নগ্নভাবেই ভীতি ছড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন, এমন অভিযোগ তুলেছে বেজিং। তাঁদের দাবি, চীনা কোম্পানিদের উপর এই মার্কিন জুলুম বন্ধ হোক। তবে শুধু হুয়েই কালো তালিকার একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এই তালিকা আরও লম্বা হবে। এতে যুক্ত হবে হাইকেভিশন। চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নজরদারি চালানোর কাজে জি জিনপিংয়ের সরকারকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে হাইকেভিশন।
মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের আগের প্রেসিডেন্টরা যা পারেননি, ট্রাম্প সেটাই করে দেখিয়েছেন। চীনকে বশে আনতে টুঁটি চেপে ধরেছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়েই-র। ট্রাম্প–সমর্থকরা বলছেন, তাঁর নীতিতেই বশ মানবে চীন। বাণিজ্য চুক্তি থেকে লাভবান হবে আমেরিকা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করে বিদেশি শত্রুদের তৈরি যন্ত্রাংশ আমেরিকায় ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আমেরিকা বাণিজ্য দপ্তর তাঁর নির্দেশ অনুসরণ করে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়েইসহ কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এসব প্রতিষ্ঠান আমেরিকায় যন্ত্রাংশ কেনাবেচা করা ও কোনও পরিষেবা দিতে পারবে না। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। ট্রাম্পের সমর্থকরা প্রচার করছেন যে, ট্রাম্পই চীনের উপর এতটা কঠোর হতে পারেন এবং পেরেছেন। রোনাল্ড রেগ্যান যেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পেরেছিলেন, ট্রাম্পকে এখন তাঁর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে যে নীতিতে অগ্রসর হচ্ছে, একে তাঁর ‘বিজয়’ বলা যায়। চীনকে ভাতে মারার কৌশল নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু, তা সত্ত্বেও অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিপদে পড়বে আমেরিকা নিজেও। ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক সম্প্রতি জানিয়েছে, রপ্তানির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কারণে আগামী পাঁচ বছরে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি বিপুল পরিমাণে কমে যেতে পারে। অঙ্কের হিসাবে যা প্রায় ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আরও এক হিসেবে দেখা গিয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার হারাতে পারে। চিপ ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের লাইসেন্স ফি বাবদ চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। সারা বিশ্বের অসংখ্য হার্ডওয়্যার প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদনের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল। এই বিশাল বাজারের আর্থিক মূল্য প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
উদাহরণ হিসেবে অ্যাপলের কথা বলা যায়। এই মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির লাভের এক-পঞ্চমাংশ আসে চীন থেকে। ট্রাম্পের প্রযুক্তি যুদ্ধে অ্যাপলের লাভের অঙ্ক তাই তরতর করে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সবচেয়ে বড় বিপদে পড়তে চলেছে এশিয়ার অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় বলে ট্রাম্পের দেশের সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকা এখন তাদের বলছে যে চীনকে বয়কট করতে হবে। ওদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বড় মক্কেল হল চীন। যেমন- তাইওয়ানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টিসিএমসি ও ফক্সকন পড়েছে শাঁখের করাতে। আমেরিকা ও চীন—এই দুই দেশেই তাদের মক্কেল আছে। একই অবস্থায় আছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। চীনকে ছেড়ে দিলে তাদের গুনতে হবে বিশাল অঙ্কের লোকসান, আর চীনকে ধরে রাখলে ভ্রু কোঁচকাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। স্মার্টফোন থেকে মেডিক্যাল ডিভাইস, সব সামগ্রীর খুচরো যন্ত্রাংশেরও ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। অন্য দেশের অনেক ব্রান্ডই কার্যত চীন থেকে খুচরো যন্ত্রাংশ নেয়। ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর পুরো সাপ্লাই চেনের অনেকখানি চীনের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ বিশ্বের অর্থনৈতিক সাপ্লাই চেনেই একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে চলেছে।
প্রশ্ন হল, এর জবাবে কী করবে চীন? ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃতিতে পাওয়া বিরল ধাতুর উৎপাদনে অন্য সকলের চেয়ে এগিয়ে চীন। স্মার্টফোন, ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য তৈরিতে প্রয়োজন হয় এই সব বিরল ধাতু। এগুলোর উৎপাদনের ৯০ শতাংশই চীনের অবদান। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জবাবে বিরল ধাতুর সরবরাহে রাশ টানতে পারে চীন। সে ক্ষেত্রে পুরো প্রযুক্তি খাত ও সামরিক উৎপাদনেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাছাড়া চীন এখন চুপিচুপি তার বিকল্প বাজার তৈরিতে ব্যস্ত। তবে চীনের ক্ষোভও গোপন নেই। তাদের এক কূটনীতিবিদ ঝাও লিজিয়ান ট্যুইটারে এও বলে ফেলেছেন, আমেরিকার উচিত হুয়েই-র লোগো ভালো করে দেখা। অ্যাপলকে ঠিক এভাবেই টুকরো টুকরো করা হবে। কাকতালীয় হলেও সত্য, হুয়েইর লোগোকে মনে হয় অ্যাপলের লেগোর কয়েকটি খণ্ডাংশ। আদতে প্রযুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে আমেরিকা, তাতে করে চীনের আত্মনির্ভরশীল হওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। ট্রাম্প হয়তো ভাবছেন, এভাবেই বিশ্বে আধিপত্য ধরে রাখা যাবে। কিন্তু এই ধাক্কায় যদি সত্যিই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে দৌড়ানো শুরু করে চীন? তখন বিশ্ব বাজারে আমেরিকার আরও বিপদ বাড়বে। শক্তি দেখাতে গিয়ে না আবার আছাড় খেতে হয় ট্রাম্পকে! ফোর্বস ম্যাগাজিন তো বলেই ফেলেছে, ’এসব ট্রাম্পের পাগলামি ছাড়া কিছু নয়।’
22nd  June, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM