Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। পাশাপাশি ভারতীয় সংসদ ১৯৫০ এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন পরিচালনার পূর্ণ আইনগত এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন দু’টি বারবার সংশোধন করে আরও সময়োপযোগী করা হয়েছে। যাতে করে উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কমিশন সফল হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের এমন একাধিক বিষয় একের পর এক উঠে আসছে যা চলমান নির্বাচনী আইনের মাধ্যমে কমিশন মোকাবিলা করতে পারছে না। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গের ভাষণ-সংক্রান্ত বিষয় যেমন রয়েছে, তেমনি ডামি প্রার্থীর এজেন্ট দিয়ে বুথ দখলের বিষয় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত তথ্য প্রদান, ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন, অর্থের বিনিময়ে খবর পরিবেশন যেমন রয়েছে, তেমনি কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের শাসক দলের সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রার্থীর আয়-ব্যয় হিসাব পরীক্ষা—এই সমস্ত কিছুকে নতুনভাবে বিচার করার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যে ধরনের হিংসাত্মক বা প্ররোচনামূলক বক্তৃতা করছেন তা আটকাতে গেলে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। বর্তমান আইনে প্রার্থীকে কারণ দর্শাবার নোটিস দেওয়া যায়। সন্তুষ্ট না-হলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা যায়। যদিও অভিজ্ঞতা বলছে, নির্বাচন একবার শেষ হয়ে গেলে সেই সমস্ত মামলার তেমন আর গুরুত্ব থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে মামলাগুলিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে নির্বাচন আধিকারিকরা তৎপর হন না। তবে সুপ্রিম কোর্টের বকুনি খেয়ে নির্বাচন কমিশন তৎপর হয়ে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ২৪-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রচারে অংশ নেবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সমস্ত নেতার মধ্যে রয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের নির্বাচনী ভাষণে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে বক্তৃতা করেছিলেন।
নির্বাচন ঘোষণাকালে কমিশন জানিয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে সেনা বাহিনীর ছবি, সেনা পোশাক, সেনা বাহিনীকে নিয়ে বক্তৃতা করা যাবে না। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সমেত একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে পুলওয়ামার ঘটনা সামনে এনে সেনা বাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহার করতে তাঁদের দেখা গেছে। বিরোধীদের তরফ থেকে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেও কমিশন কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত আইএস অফিসার এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা ভারতের রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই প্রাক্তন আধিকারিকরা রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করতে আবেদন জানিয়েছেন।
নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল রাজনৈতিক তরজা চলছে। বিরোধীরা যখন রাজ্য পুলিসকে সরিয়ে রেখে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন চাইছে, তখন রাজ্যের শাসক দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে। রাজ্যের অনেক মন্ত্রী রাজ্য পুলিসের নিয়ন্ত্রণে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য সওয়াল করেছেন। তৃণমূল আবার, অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের যেভাবে এরাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাস্তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২০(৩) ধারায় পর্যবেক্ষক হিসাবে সরকারি আধিকারিকের নিয়োগের কথা বলা হলেও সেই আধিকারিক কর্মরত অবস্থায় থাকবেন, না অবসরপ্রাপ্ত হলেও হবে আইনে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধন প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে রাজ্যের শাসক দল প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থীর পাশাপাশি একাধিক ডামি প্রার্থী দিয়ে ভোটের দিনে বুথে দলীয় লোকজন বাড়িয়ে ভোট প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর থাকছে। এতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। ডামি প্রার্থীদের শনাক্ত করা এবং তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার মতো আইনি ভিত্তি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এ বিষয়েও নতুন আইন তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্বাচন কমিশনের আছে বলে মনে হয় না। জেলাস্তর পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার মনিটরিং কমিটির সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং মনিটরিংয়ের জন্য উপযুক্ত সুব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিদেশিদের দ্বারা প্রচার এই নির্বাচনে অন্যতম বিতর্কিত বিষয় হিসাবে উঠে এসেছে। উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌসের রোড শো বা দমদম লোকসভায় টেলিভিশনের বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা নুর গাজির তৃণমূলের প্রচারে যোগদান বা যাদবপুর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মার্কিন কুস্তিগির গ্রেট খালির অংশগ্রহণকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেট খালি ওরফে দলীপ সিং রানা হিমাচল প্রদেশের এক গ্রামে জন্মেছিলেন। পাঞ্জাব পুলিসের আধিকারিক হিসাবে কর্মরতও ছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে দলীপ সিং রানা ডব্লুডব্লুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন। এবং, ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেন। পরবর্তী সময়ে ভারত সরকার তাঁকে ওভারসি সিটিজেনশিপ প্রদান করেন। ওসিআই-এর অর্থ হল, আজীবন ভিসা এবং এক প্রকার দ্বৈত নাগরিকত্ব বলা যায়। এঁরা যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারেন কিন্তু ওসিআই আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, তাঁরা এ-দেশের ভোটার হতে পারবেন না, এবং রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া সরকারি পদ পাবেন না ও কৃষিজমি ক্রয় করতে পারবেন না। গ্রেট খালি যেহেতু ওসিআই-প্রাপ্ত নাগরিক তাই তাঁর অধিকার নেই ভারতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবার। অথচ, তিনি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন যা আইনত তিনি পারেন না। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, কমিশন কোনও ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে পারেনি। কমিশনের আচরণে দিশাহীনতার ছাপ স্পষ্ট। উত্তর দিনাজপুরে ফিরদৌসের প্রচার বা কামারহাটিতে নুর গাজির প্রচারে ইতি টানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্রুত তাঁদের ভিসা বাতিল করে এই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে ভূমিকা আরও সুনির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনী বিধিতে কোথাও বিদেশিরা প্রচার করতে পারবে না এমন কোনও বিধি নেই। আইনের এই ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিদেশিদের প্রচারে লাগিয়েছিল। এক্ষেত্রে আদর্শ আচরণবিধিতে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা প্রয়োজন যাতে করে আগামী দিনে কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচারে বিদেশিদের ব্যবহার করতে না-পারে। বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংহতির পক্ষে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আজ বিদেশি অভিনেতারা ব্যবহৃত হলে, কাল কাশ্মীরের নির্বাচনে সীমানার ওপার থেকে কোনও জঙ্গি সংগঠনের নেতাকে নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই সমস্ত ক্ষেত্রেই উদ্ভূত অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন নির্বাচনী সংস্কার সাধনের জন্য বহু ক্ষেত্রে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী আইন প্রণয়নের, না-হলে এবারের নির্বাচনে কমিশনকে যেভাবে দিশাহীন দেখা গেল, সেই ধারায় পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। আগামীতেও প্রয়োজন রয়েছে সর্বভারতীয় রাষ্ট্র কৃত্যক পরিষেবা (All India Service) অনুরূপ সর্বভারতীয় নির্বাচন পরিষেবার। তবেই কমিশনের পক্ষে নির্বাচনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
10th  May, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM