Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূল—এই চার শিবির থেকে প্রকাশিত ইস্তাহারে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা প্রকল্প প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়নের প্রভাবে অনেকেই মনে করেছিলেন রাষ্ট্রের ভূমিকা বুঝি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে এবং বেসরকারিকরণের মাধ্যমে নাগরিকদের পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই চার রাজনৈতিক পক্ষের নির্বাচনী ইস্তাহারে অনেক বেশি রাষ্ট্র নির্ভরতা প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক থেকে শ্রমিক, স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা—সর্বক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থা অপেক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকাকে আরও সক্রিয় করবার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের প্রাক্কালে ভোটারদের সামনে নানা প্রতিশ্রুতি হাজির করে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে যে প্রশ্নগুলি ঘুর-পাক খায় তা হল—কতজন ভোটার নির্বাচনী ইস্তাহার পড়ে ভোট দান করেন? নির্বাচনী ইস্তাহারগুলি ভোটারের কাছে আদতেও পৌঁছায় কি? যদিও বা পৌঁছায় ভোটাররা সেই ইস্তাহার পড়েন কি? নির্বাচনী ইস্তাহারের মাধ্যমে ভোট দাতাদের প্রভাবিত করা যায় কি? ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলি কতটুকু কার্যকর করেন?
বাস্তবে নির্বাচনী ইস্তাহার পর্যালোচনা করে আদতেও ভোটাররা ভোট দেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে দলের তরফ থেকে প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহার কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারের কাছে প্রচারিত হয়। দলের তরফে স্থানীয় স্তরের নেতাদের ভাষণে দলের ঘোষিত ইস্তাহারের বিষয়গুলি স্থান পায়। এছাড়া, আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও দলের ইস্তাহারের বিষয়বস্তু ভোটারদের কাছে পৌঁছায়। বেশিরভাগ দল পেশাদার সংস্থাগুলিকে দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে নির্বাচনী ইস্তাহার পুস্তিকা প্রকাশ করে থাকে। আজকাল ইস্তাহারের বিষয়বস্তুর ব্র্যান্ডিং-এর ওপর ইস্তাহারের গ্রহণযোগ্যতা বা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে।
ইন্দিরা গান্ধীর ‘গরিবি হঠাও’ স্লোগান ১৯৭১-এর নির্বাচনে দলের জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল। আবার ১৯৮৯ সালে বিজেপি’র ইস্তাহারে রামমন্দির ইস্যুর প্রভাব ওই নির্বাচনে যথেষ্ট পড়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি’র ইস্তাহারে কালোটাকা উদ্ধারের বিষয়টি ভোটারদের যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল বলে মনে করা হয়। এবার বিজেপি’র ইস্তাহারকে ‘সংকল্প পত্র’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এই সংকল্প পত্রে ৭৫টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এতে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, গরিব কৃষকদের বার্ষিক ছয় হাজার টাকা প্রদান, ষাটোর্ধ্ব কৃষকদের পেনশন প্রদান প্রকল্প যেমন রয়েছে, তেমনি আছে সংসদীয় ব্যবস্থায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়। জিএসটিকে সরল করা, রপ্তানি দ্বিগুণ করা, আগামী পাঁচ বছরে ৫০টি উৎকর্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, ৭৫টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করা, উচ্চশিক্ষায় এক লক্ষ কোটি টাকা কৃষিক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা, বিনিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিজেপি’র একের পর এক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ভূমিকায় ব্যাপক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি’র প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় চমক ‘ন্যায়’ প্রকল্পের ঘোষণা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা ৫ কোটি পরিবারের জন্য মাসে ছয় হাজার টাকা করে বছরে ৭২ হাজার টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই ৫ কোটি পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দিতে গেলে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার জোগান নিশ্চিত করতে হবে। এত বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান কীভাবে হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী পক্ষ। অর্থনীতিবিদরা রাহুল গান্ধীর এই ন্যায় প্রকল্প নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন তুলছেন তার মধ্যে অন্যতম হল আমাদের দেশে পরিবার পিছু আয়ের কোনও তথ্য নেই। ফলে, কীসের ভিত্তিতে মাসে ৬ হাজার টাকা করে বছরে ন্যূনতম ৭২ হাজার টাকা কতজন পরিবারকে প্রদান করা হবে? সারা দেশে পারিবারিক স্তরে আয় নির্ধারণ করা সহজসাধ্য বিষয় নয়। উপরন্তু, স্থানীয় স্তরে উপযুক্ত তথ্য না থাকায় আয়ের শংসাপত্র প্রদানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির জন্ম নিতে পারে। পাশাপাশি মানুষকে সক্ষম করবার পরিবর্তে আরও বেশি করে সরকারমুখী করে তুলতে পারে এই ন্যায় প্রকল্প। কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রে ৪ লক্ষ এবং রাজ্য স্তরে ২০ লক্ষ সরকারি পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৮ মাস ধরে নানান আলোচনার মাধ্যমে যে ইস্তাহার কংগ্রেসের তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে তাতে কৃষিঋণ মকুব থেকে স্বাস্থ্যের অধিকার প্রদান এবং শিক্ষায় জিডিপি’র ৬ শতাংশ বরাদ্দ করবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছুই রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করছে। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে যে ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিটি ছত্রে জনকল্যাণকর রাষ্ট্রও গঠনের উদ্যোগ প্রতিফলিত হচ্ছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে দিল্লিতে যে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে সেই সরকারের মূল লক্ষ্য হবে ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিন করে ভাতা দ্বিগুণ করা। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা, শিক্ষাক্ষেত্রে জিডিপি ৬ শতাংশ ব্যয় নিশ্চিত করা, নীতি আয়োগের অবসান ঘটিয়ে যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনা, মহিলাদের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া, প্রয়োজনে জিএসটি’র সংস্কার সাধন করা, নোটবন্দি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা ইত্যাদি বিষয়। আবার বামেদের ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ভূমিকা যে অধিক গুরুত্ব পাবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রায় ৫০-৬০ দশকের কায়দায় বামেরা এবারও তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। ধনীদের উপর কর আরোপ করে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে বামেরা। ১০০ দিনের কাজের ঊর্ধ্বসীমা ২০০ দিন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বামেদের ইস্তাহারে। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিতে পিছিয়ে পড়া জাতির সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে বামেরা। কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার গঠন তাদের লক্ষ্য। বামেরা তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাসে ১৮ হাজার টাকা করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মতন যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনবার পক্ষে বামেরা। বামেদের ইস্তাহারে সামাজিক ক্ষেত্রে ন্যূনতম খরচ বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ খরচ করবার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের ভূমিকার কথা ইস্তাহারে উঠে এসেছে।
সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে বিজেপি’র জিরো টলারেন্স, সব পক্ষের সহমতে রামমন্দির নির্মাণ, সবরিমাল বিশ্বাস ও ধর্মীয় আস্থাকে সাংবিধানিক সুরক্ষা, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া দেশ ও সংস্থাকে একঘরে করা, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু করা, জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানে ৩৭০ ধারা বিলোপের মতন বিষয় স্থান পেলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক বিষয়গুলি নিয়ে দলের ৫৫ পাতার ইস্তাহারে খুব কম জায়গা পেয়েছে। দুর্নীতি দমন নিয়ে নতুন কোনও পথ বিজেপি’র ইস্তাহারে যেমন স্থান পায়নি, তেমনি বহুত্ববাদী ভাবনা সংরক্ষণে দলের চিন্তা ভাবনায় স্পষ্ট কোনও রূপরেখা নেই। বিগত পাঁচ বছরে নোটবন্দি, জিএসটি এবং কৃষক অসন্তোষের মতো বিষয়গুলিকে প্রলেপ দেওয়ার জন্য নানা প্রকল্পের কথা ইস্তাহারে থাকলেও স্থায়ী কর্ম সংস্থান বিষয়ে দল কোনও নতুন দিশা দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচনী তহবিল থেকে রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ বণ্টনের প্রতিশ্রুতি, নতুন চেহারায় জিএসটিকে আনা, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রত্যাহার, কৃষিঋণ শোধ দিতে না পারলে ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ মামলা না করার মতন প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও সমাজ জীবন থেকে দুর্নীতি মুক্তির কোনও পথ দেখাতে পারেনি কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে। সরকারের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং দুর্নীতিদমনের প্রশ্নে তৃণমূল এবং বামেদের নির্বাচনী ইস্তাহারেও স্পষ্ট কোনও রোড ম্যাপ নেই।
চার প্রতিপক্ষই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেও নাগরিকদের ক্ষমতায়নের সুনির্দিষ্ট কোনও ভাবনা ইস্তাহারে রাখতে পারেনি। বিগত এক দশকের অভিজ্ঞতা বলছে, উন্নয়নের মাধ্যমে শাসকদল নাগরিকদের তাদের নিজস্ব ভোটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। উন্নয়নের মাধ্যমে গড়ে তুলতে চাইছে স্থায়ীভাবে ‘এক ধরনের ‘প্যাট্রন ক্লায়েন্ট’ সম্পর্ক। উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের সম্পর্ক ‘দাতা-গ্রহীতা’ পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে। পাশাপাশি এই প্রশ্নটাও উঁকি মারছে অর্থনীতির ব্যাকরণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাষ্ট্র যেভাবে অসংখ্য কর্মসূচিতে আবদ্ধ হচ্ছে তাতে আগামী দিনে কোনও বৃহৎ আর্থিক সংকট আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে না তো? জনপ্রিয় রাজনীতির বিপদ নিয়েও আমাদের সজাগ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বটে।
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
14th  April, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM