Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বছরের গোড়ায় পরিস্থিতি বিচার
পি চিদম্বরম

বড়দিন-ইংরেজি নববর্ষ-পোঙ্গল-মকরসংক্রান্তির ছুটি এবং উৎসব অনুষ্ঠান কঠোর পরিশ্রমী ভারতবাসীকে অবশ্যই চাঙ্গা করেছে (ব্যতিক্রম সংসদ সদস্যগণ, যাঁদেরকে ওইরকম কিছুদিনেও কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে)। নতুন বছরটা কার্যকরীভাবে শুরু হয়েছে ১৫ জানুয়ারি থেকে। আমার অনুমান হল, দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য নতুন বছর একটা মহামুহূর্ত (র্টার্নিং পয়েন্ট) নিয়ে আসবে।
আজ থেকে চারমাস বাদেই একটা নতুন সরকার বসবে (মানুষের রায়ে)। এখন থেকে ৩০ এপ্রিলের ভিতর বর্তমান সরকার আর এমনকিছু করবে না, যাতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমূল বদলে যাবে। সুতরাং ২০১৯-এর গোড়ার পরিস্থিতিতেই নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে। অর্থনীতির পরিস্থিতিটা বুঝে নেওয়া যাক।
ফিসকাল সুস্থিতি
দুটো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সূচক উদ্বেগজনক। সরকার গত বছর ফিসকাল ঘাটতি (এফডি) পূরণের লক্ষ্যে পৌঁছায়নি এবং ২০১৮-১৯ সালের ৩.৩ শতাংশের লক্ষ্যটাও পূরণ হবে বলে মনে হয় না। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে (নিট) এবং জিএসটি’তে কেন্দ্রের অংশ আদায়ে আপাতভাবে ঘাটতি পড়তে চলেছে। জিএসটি কমপেনসেশন রিজার্ভ ভেঙে, ‘ফক্স’-বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে ‘রাজি করিয়ে’ অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড বাবদ ২৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরকার কিছু অর্থের সংস্থান করার ব্যাপারে আশাবাদী।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি (সিএডি) একটা হেরে যাওয়া লড়াই। ২০১৭-১৮ সালে জিডিপি-র ১৯ শতাংশ সিএডি ছিল, ২০১৮-১৯ সালে সেটা নিশ্চিতভাবে ২.৫ শতাংশ থেকে ৩.০ শতাংশে পৌঁছাবে। গত ডিসেম্বরে পণ্য রপ্তানি ০.৩৪ শতাংশ বেড়েছে এবং আমদানি ২.৪৪ শতাংশ কমেছে, তবু বাণিজ্য ঘাটতি রয়ে গিয়েছে ১৩.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরবর্তী ফিসকাল ইয়ার শুরু হবে আরও ঋণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের ঘাটতি নিয়ে।
বৃদ্ধির নিম্ন হার
৮ নভেম্বর ২০১৬, অর্থাৎ ২০১৬-১৭ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (কোয়ার্টার) বিমুদ্রাকরণ করা হয়েছিল। ডিসেম্বর ২০১৬-র শেষ অবধি মোট এগারোটা ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৭ শতাংশ। পরবর্তী সাতটা ত্রৈমাসিকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ শেষে বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশে নেমে আসে। ২০১৮-১৯-এর প্রথমার্ধে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৬ শতাংশ কিন্তু সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিসের (সিএসও) অনুমান হল দ্বিতীয়ার্ধে এটা ৭ শতাংশে নেমে আসবে।
বৃদ্ধির এই যে নিম্ন হার তার জন্য বিনিয়োগের নিম্ন হার দায়ী, বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রে। গত তিন বছরে গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশনের (জিএফসিএফ) হার ২৮.৫ শতাংশে থমকে গিয়েছে এবং ২০১৮-১৯ সালেও এই হার মোটামুটি একইরকম রয়ে যাবে। নতুন চাকরি-বাকরির সুযোগ তেমন একটা যে হয়নি তার মূল কারণ হল বৃদ্ধির এই নিম্ন হার।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি’র (সিএমআইই) তথ্য মানলে বলব যে, শুধু চাকরি না-হওয়াই নয়, ২০১৮ সালে ১ কোটি ১০ লক্ষ চাকরি খোওয়াও গিয়েছে। বেকারত্বের বর্তমান হার ৭.৩ শতাংশ।
কৃষি ক্ষেত্রের দুর্দশা
কৃষি ক্ষেত্রের প্রতিটি সূচক কৃষকদের দুর্দশার কথাই গুরুত্বসহকারে নির্দেশ করে। এনডিএ-র চার বছরে ক্ষেত্রীয় বৃদ্ধির হার যথাক্রমে এই রকম: -০.২, ০.৬, ৬.৩ এবং ৩.৪ শতাংশ। দ্য ইকনমিক সার্ভে ২০১৭-১৮-তে স্বীকার করা হয়েছে যে, চারবছর পর, ‘প্রকৃত কৃষি জিডিপির স্তর এবং প্রকৃত কৃষি থেকে আয়ের নড়চড় হয়নি।’ কৃষকের উদ্বেগপূর্ণ কান্নাতেই বাস্তবের প্রতিফলন ধরা পড়েছে: কৃষিপণ্যের পাইকারি দাম পড়ে গিয়েছে (সর্বশেষ উদাহরণ হল পেঁয়াজ); ন্যূনতম সহায়ক দামটা (এমএসপি) বস্তুত অলীক কিছু একটা এবং বেশিরভাগ কৃষকই এর সুবিধা পাচ্ছেন না; শস্যবিমা স্কিম কৃষকদের লুট করেছে এবং সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থাগুলিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দিয়েছে; ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটা (এমজিএনআরইজিএ) আর গরিব লোকের চাহিদা-ভিত্তিক নেই এবং এই প্রকল্পে প্রয়োজনের তুলনায় কম অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে; কৃষি ক্ষেত্রে গ্রস ক্যাপিটাল ফর্মেশন (জিসিএফ) ২০১৫-১৬ সালে ছিল -১৪.৬ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ সালে সেটা ১৪ শতাংশ বাড়ল, তার মানে ২০১৪-১৫ সালের লেভেলেই রয়ে গেল; বিপুল ঋণের ভারে কৃষকরা এমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে কৃষিঋণ মকুব করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল; এবং একজন কৃষকের গড় পারিবারিক আয় ৮,৯৩১ টাকায় নেমে গিয়ে তারা গরিবির চক্করের মধ্যে পড়ে গেল।
শিল্প ও রপ্তানি
মাঝারি আয়ের উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার পথ হল শিল্পায়ন। কৃষি ক্ষেত্র ৪৫ শতাংশ কর্মক্ষম মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে পারবে না; এটা ৬০ শতাংশ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উপায়ও হতে পারবে না। শিল্প এবং রপ্তানি বাণিজ্যই কেবল এটা পারে। দুটোই এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। শিল্পোৎপাদনের সূচক ১২২.৬ (এপ্রিল ২০১৮) থেকে ১২৬.৪ (নভেম্বর ২০১৮)-এ রয়ে গিয়েছে।  প্রায় ৯২৭টা প্রজেক্ট থমকে রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ৬৭৪টা রয়েছে প্রাইভেট সেক্টরে। সিএমআইই অনুসারে জানানো যায় যে, বিনিয়োগের পরিমাণ (ইনভেস্টমেন্ট ইনটেনশনস) ২৫,৩২,১৭৭ কোটি টাকা (২০১০-১১ সাল) থেকে ১০,৮০,৯৭৪ কোটি টাকায় (২০১৭-১৮ সাল) নেমে এসেছে। এটাই মনে হচ্ছে যে ব্যাঙ্কগুলো শিল্প ক্ষেত্রে ঋণ দিতে যতটা সম্ভব অনাগ্রহী হয়ে পড়েছে এবং শিল্পপতিরাও ঋণ গ্রহণে আগ্রহ হারিয়েছেন। এপ্রিল-জুন ২০১৬ থেকে শিল্প ক্ষেত্রে ঋণদানের হার (ক্রেডিট গ্রোথ) সাংঘাতিক রকমের কম ছিল। উপর্যুপরি চারটি ত্রৈমাসিকে এই হারটা ছিল নেতিবাচক (নেগেটিভ) এবং দশটা ত্রৈমাসিকের ভিতর মাত্র দুটোতে ছিল ২ শতাংশ। রপ্তানির পারফর্ম্যান্স ছিল একেবারে বাজে। এনডিএ আমলের চারবছরের কোনও বার পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ৩১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেনি। ২০১৩-১৪ সালের ৩১৫ বিলিয়ন ডলারের সাফল্যের সঙ্গে তুলনা করলে রপ্তানি বৃদ্ধির হার এখন নেতিবাচক। এই আমলে বিপন্ন রপ্তানি বাণিজ্যের মধ্যে রয়েছে ‘বয়ন ও সহযোগী পণ্য’ (টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রডাক্টস) এবং রত্ন ও অলঙ্কার (জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি)-এর মতো
দুটি শিল্প—যেখানে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
ভারতকে দুনিয়া কীভাবে দেখছে
ভারতের সম্ভাবনার কথা দুনিয়া স্বীকার করে কিন্তু আজকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে তারা হতাশ। ২০১৮-১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফরেন পোর্টফোলিয়ো ইনভেস্টর (এফপিআই) এবং ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর (এফআইআই) অর্থাৎ বিদেশি লগ্নীকারীরা মিলিতভাবে ৯৪,২৫৯ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে—ইকুইটিতে এবং ঋণে প্রায় সমান সমান হারে। ২০১৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর ‘সভরিন বন্ড রেট’ ছিল ৭.৩ শতাংশ। স্পষ্টত, ‘সবচেয়ে দ্রুতগতির অর্থনীতি’ (ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং ইকনমি)-র বড়াই শোনার কেউ নেই বাকি দুনিয়ায়।  
২০১৯-এর মে মাসে দেশবাসী যে সরকার নির্বাচন করে দেবে আমাদের আশা ও বিশ্বাস তার উপরেই রাখব।
21st  January, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM