Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কারণ সামান্য বিজ্ঞান চেতনা থাকলে এটুকু বোঝা যায় যে অনেক অর্থহীন এবং দুর্বল গবেষণাপত্রের মধ্যে কখনও হয়তো একটা ভালো কাজ মুখ লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই যে কোনও বিজ্ঞান সম্মেলনের মান নিয়ে চটজলদি চরম মন্তব্য না করাই ভালো। তবে একথা সত্যি যে আমাদের দেশের অনেক দক্ষ গবেষক সাধারণত ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে নিজের উচ্চমানের এবং সদ্য আবিষ্কৃত তথ্যসমষ্টি পেশ করতে উপস্থিত থাকেন না। অনেক নামকরা বিজ্ঞানী হয়তো এই সমস্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, তবে সেগুলো মূলত আমন্ত্রিত বক্তৃতামালা। অর্থাৎ তাঁদের আগেই প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ের চর্বিতচর্বণ।
শতবর্ষাধিক পূর্বে ১৯১৪ সালে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সূচনা করেছিলেন। সেই সময় সি ভি রমণের মত মহান বৈজ্ঞানিকেরা উপস্থিত থাকতেন এই সম্মেলনে। তার তুলনায় আজকের দিনে সম্মেলনের মান দেখে কিন্তু সব হারানোর ব্যথা পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বর্তমানেও এই ধরনের বিজ্ঞানমেলাতে নোবেলজয়ীরা এসে কথা বলে যান। এই যে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের আলাপচারিতা, তা অনেকটা প্রৌঢ় মারাদোনা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পায়ের ওপর বল নাচানোর মত। আমরা সেটা দেখি এবং মুগ্ধ হই। বাস্তবে বিজ্ঞান গবেষণা ভীষণভাবেই একটি জটিল বিষয় এবং সেই বিষয়ে যাঁরা সরাসরি কাজ করেন তাঁরা ছাড়া বিষয়টির মর্মোদ্ধার অন্যদের পক্ষে অসম্ভব। বিজ্ঞানের গভীর তত্ত্ব নিয়ে অনেকসময়ই সংবাদমাধ্যমে জনসাধারণের বোধগম্য গল্প লেখা হয়। কিন্তু সেটা পড়ে যদি কেউ ভাবেন যে তিনি বিষয়টার বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলেন অথবা বুঝলেন অনেকটা, তাহলে মহা মুশকিল। জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে নোবেলজয়ী বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানীদের কাজের বর্ণনা তাই পপুলার সায়েন্স-এর প্রচারের থেকে বেশি কিছু নয়। যাঁরা আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞান গবেষণা করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন যে ঠিক কোন কোন সম্মেলনে তাঁদের সমমানের বিজ্ঞানীরা আসেন। তাঁরা সঠিকভাবে অবহিত যে কোন গবেষণা পত্রিকাতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের বর্ণনা ছাপাতে হয় অথবা কোন সম্মেলনে জানাতে হয় নতুন কিছু পাওয়া। ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন মোটেও তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ নয়। সুতরাং সেই হিসেবে এই সম্মেলনে পেশ করা গবেষণাপত্রগুলোর নিম্নমান অথবা অদ্ভুতুড়ে দাবি নিয়ে হইচই করা বৃথা।
তবে বিজ্ঞানেরও রাজনীতি আছে। আর জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে বিজ্ঞান যখন কম, তখন তাতে রাজনীতির মাত্রা বেশি থাকবেই। বিজ্ঞানী মানেই সততার প্রতিমূর্তি নন। গ্যালিলিওর ছবি ছুঁয়ে তাঁরা কেউ হলফনামা পেশ করেন নি যে কখনও মিথ্যে কথা আওড়াবেন না। সবাই জানে যে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষালয়ের সর্বোচ্চ আধিকারিকদের নিয়োগ করেন। ফলে দক্ষ বিজ্ঞানীকে অনেক সময়েই তুলনায় অনেক কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন রাস্ট্রনেতার গুণাগুণ গাইতেই হয়। সেই হিসেবে ‘মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান, কারণ এটাই সত্য’, ‘সীতাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া রাবণরথ প্রথম বোয়িং বিমান’, ‘গান্ধী পরিবার আমাদের দেশের উন্নতির একমাত্র কারণ’, ‘রাস্তায় ধোঁয়া কামান দাগলেই ডেঙ্গুর মশা নিধন হয়’ এরকম গল্প বিজ্ঞান সম্মেলনে ভুল প্রমাণ সহযোগে পেশ করাটাই ক্ষমতাসীন অথবা ক্ষমতালোভী বিজ্ঞানীদের দস্তুর। একথা অজানা নয় যে ফলিত গবেষণায় বিভিন্ন উদ্ভট পর্যবেক্ষণের ফল সঠিকভাবে ন্যায্যতা সহকারে লেখা হয় না। সেক্ষেত্রে পুকুরের জলে হাঁস সাঁতার কাটলে সেই জল পরিস্রুত হয়ে যায়—এর সমর্থনে তথ্যরাশি রান্না করা কঠিন নয়। ফলিত বিজ্ঞানে একটা অংশের কাজ অনেক সময়েই মিথ্যে। এর সুযোগ নেন সকল অপবিজ্ঞানী এবং সঙ্গে কিছু সামান্য অংশের সুযোগসন্ধানী বিজ্ঞানীরাও। অনেক ক্ষেত্রে গবেষণালব্ধ ফল হয়তো সত্যি কথা বলে দেয়, কিন্তু সেই ফলের মান (সেটা আঙ্কিক সংখ্যা হতে পারে, হতে পারে কোনও শব্দ কিংবা ছবি) এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যে সেটা সম্পূর্ণ ভুল অথবা মিথ্যে। পরীক্ষালব্ধ পর্যবেক্ষণে হয়তো কোনও ঘটনা একশোর মধ্যে ষাট বার ঘটল, কিন্তু সেটাতে ৯০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে এমন কথা লিখে অনেককেই বিশ্বাস করিয়ে ফেলা যায়। একথা আজকে সকলেই বোঝেন যে গবেষণাপত্রের প্রকাশনও আসলে একটা ব্যবসা। বহু নিম্নমানের গবেষণা পত্রিকা সেই ব্যবসায় মুনাফা লোটার জন্যে গবেষণাপত্রগুলি সঠিকভাবে বিচার করে না। তেমনই বহু বিজ্ঞান সম্মেলন মানের দিক থেকে বেশ নিম্নস্তরের। তাই এই অবিজ্ঞান চলবেই। শুধু আমাদের বিজ্ঞান কংগ্রেসকে কিংবা আজকে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। পুতিন কিংবা ট্রাম্প সাহেবের বলা কিছু অলীক বিবৃতি রাশিয়া বা আমেরিকার কোনও গবেষণাপত্রে ছাপা হয়ে গেলে চমকে ওঠার কিছু নেই। তবে এটা একদিকের ছবি। স্বাধীন বিজ্ঞান তার মতো করে সঠিক রাস্তায় এগিয়ে চলে। অবশ্যই আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছু গবেষণা পত্রিকা আছে যারা মানের ব্যাপারে কোনও আপস করে না। সেখানে ছাপা হওয়া গবেষণাপত্রের মান যথেষ্ট উচ্চস্তরের এবং বিশ্বাসযোগ্য। একইরকমভাবে দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামী শিক্ষাকেন্দ্রের বিজ্ঞ অধিকর্তারা আদৌ পাত্তা দেন না মন্ত্রী কিংবা রাজনীতিবিদদের। তবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার মত একটা সম্পর্ক হয়তো অনেক সময়েই রাখতে হয়।
রাজনীতিবিদরাও অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত হন। কিংবা অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত না হলেও তাঁদের মধ্যে বহু তীক্ষ্ণবুদ্ধির মানুষ থাকেন। সাধারণভাবে তাঁরা জানেন যে বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। কিন্তু রাজনীতি বড় দায়। তাই অনেক সময় দক্ষিণপন্থী নেতাকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরস্তরের ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও গণেশের দুধ খাওয়ার প্রচার করতে হয়। ফলে এই ধরনের নেতাদের কাছ থেকে সুবিধে পাওয়ার জন্যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলতেই পারেন যে কৌরবেরা আসলে নলজাতক শিশু এবং এই সংক্রান্ত আবিষ্কার আমাদের দেশে অনেক আগেই হয়েছিল।
ধান্দাবাজির জন্যে বিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদদের পারস্পরিক পিঠ চুলকানির ব্যাপারটা নাহয় বোঝা গেল। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে কীভাবে বুঝব যে সত্যি বিজ্ঞান কোনটা? গাছ থেকে আম পড়লে মাটির দিকে আসে এটা দিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে যতটা যুক্তি দিয়ে পেশ করা যায়, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে নাকি তার উল্টোটা, সেটা তো চটজলদি প্রত্যক্ষ করার উপায় কম। বিজ্ঞানের এক একটি বিষয়ের পিছনে বহু গুণী মানুষের কয়েক হাজার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আছে। সেগুলো অনেক সময় আমরা না-বুঝেই মেনে নিই। অর্থাৎ গোটাটাই একটা পরম্পরা। ভগবানকে বিশ্বাস করার যেমন একটা ঐতিহ্য আছে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ফলাফলকে বিশ্বাসেরও তেমন অন্য এক ঐতিহ্য বর্তমান। আমাদের বেশিরভাগ বিশ্বাস-অবিশ্বাসই ভালোভাবে না-বুঝে। সেই সুযোগে অতীতের কল্পবিজ্ঞানগুলোকে যদি আমাদের বর্তমান সরকার আবিষ্কার বলে চালিয়ে দেয় তাতে দোষের কি? পুরোটাই তো প্রচার। আর আজকের দিনে আমাদের দেশে নলজাতক শিশুর জন্ম তো হাতের মুঠোয়। অনেকেই হয়তো জানেন যে চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯৭৮ সালে আমাদের এই শহরে প্রথম (বিশ্বে দ্বিতীয়, প্রথমটির ঠিক ৬৭ দিন পরে) নলজাতক শিশুর জন্ম দেওয়ার কাজটি সুসম্পন্ন করেন। কিন্তু সেই সময়ের বুদ্ধিজীবী বামপন্থী সরকার তাঁর কাজের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন এই চিকিৎসক। পরবর্তীকালে তাঁর কাজের পূর্ণ মূল্যায়ন হয়েছে, মরণোত্তর প্রচুর সম্মান পেয়েছেন তিনি। সুভাষবাবু জন্মেছিলেন ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি। তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করবেন নাকি বিজ্ঞান সম্মেলনে প্রচারিত কৌরবদের কবিরাজকে, সে ধন্দ থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক 
15th  January, 2019
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
একনজরে
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM