বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চৈতন্য মহাপ্রভু, রামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ—যত অবতার কত উপদেশ দিচ্ছেন। হে জীব! তোমরা এঁদের শিক্ষা নেবার, প্রতিপালন করবার চেষ্টা কর—কল্যাণ হবেই। অবতাররা জীবের শিক্ষার জন্য কঠোর তপস্যা করেন। ওঁদের কার্যের অনুসরণ করতে গেলে জীবের পক্ষে অকল্যাণ।
যে অপরের ছেলেকে ছেলে মনে করে, সে ভগবান হয়ে গেল।
বিষয়-বুদ্ধি যাবার জন্য সাধুরা ধ্যান-জপ করে, ভিক্ষা করে, কষ্ট করে।
নিজের দুঃখ না হলে পরের দুঃখ বুঝতে পারে না।
বিষয়ীর অন্ন খেলে মনটা অধোগামী হয়।
শিবপূজোর মত কিছু আছে না কি? শিব কৃপা করলে কি না হয়? প্রভু রামচন্দ্র, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শরীরধারণ করে জীবের শিক্ষার জন্য তাঁর দয়া পেয়েছিলেন। হে জীব, আপন কল্যাণ চাও, শিবপূজো কর। তিনি জ্ঞান-ভক্তি-মুক্তি দেন। শিবপূজো করলে জগতে যা না হবার, তাই হয়—শিব হয়।
যে সংসারে ধর্মের কথাই হচ্ছে, কি দিয়ে ঠাকুরের ভোগ হবে, পূজো হবে—এই নিয়ে আলোচনা—কলহ-বিবাদ নেই, সেই সংসারই ঠিক।
জীব সংস্কারের জন্য কষ্ট পায়। কেউ পূর্বের সংস্কার, আবার কেউ যার ঘরে জন্ম লয়, তার জন্য কষ্ট পায়। বড়-লোকের ছেলে, কোন অভাব নেই, চুরি করে। ভগবানের দয়া, গুরু-কৃপা ভিন্ন সংস্কার যায় না। এই সংসারে ধন মান বিষয় অপমান ইত্যাদির সংস্কারের জন্য জীব কষ্ট পান। ভগবান ইচ্ছা করলে এখনই সংস্কার কাটিয়ে দিতে পারেন। জীবের সংস্কারও যাবে না, ভগবানকেও পাবে না।
সংসার চালাতে হলে পরস্পর কিছু কিছু উপার্জন করতে হয়। তা হলে ভাল সংসার চলে। যেমন একজনের উপর নির্ভর করলে সংসার ভালরূপ চলে না, ধর্মসম্বন্ধেও সেইরূপ। এ পথের যারা, তারা পরস্পর ধর্ম-আলোচনা করবে—পরস্পর ভুল সংশোধন করবে। এই হলো এ দিকের সাহায্য।
আইডিয়াতেই (কল্পনাতে) কি কেবল ধর্ম হয়? অনন্ত, অনন্ত কর, ভাব যে তুমি অনন্তের কতটুকু!
যদি বিয়ে না করিস, তবে খেয়ে-দেয়ে বেঁচে যাবি। খাওয়া-পরার তো অভাব নেই। খেয়ে-দেয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমুতে পারবি। বিয়ে করলেই দুঃখ পাবি। তোদের বিষয়ের বখরা হলে তোর ভাগে আর কত পড়বে। এর উপর বিয়ে করলে ছেলেপিলে হলে তাদের কি খাওয়াবি? যদি বিয়ে না করে পবিত্রভাবে জীবন কাটাতে পারিস, তা হলে সুখ পাবি। Free life (স্বাধীন জীবন) কত সুখের! একবার তার স্বাদ পেলে আর কি বন্ধনে যেতে ইচ্ছা করে? (জনৈক ভক্তের প্রতি)
তুলনা করবার সময় রাস্তায় যে লোকটা পড়ে আছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে দুঃখ পাবে না, শান্তি পাবে। ধনী লোকের সঙ্গে নিজের অবস্থা তুলনা করতে গেলেই দুঃখ আসবে। ভগবানকে ধন্যবাদ দাও যে, ওর মত রাস্তায় পড়ে দুঃখ পাচ্ছ না। তোমার তো একটা দাঁড়াবার জায়গা আছে, এক মুঠো খাবার আছে—বিশেষ কোন অভাবে কষ্ট পাচ্ছ না। দুঃখ-কষ্ট হলে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে হয়, আর নীচের দিকে তাকিয়ে দেখতে হয়—তোমার চেয়ে আরও কত দুঃখী আছে। তা হলে দুঃখ সহ্য করবার শক্তি আসে, মনে শান্তি হয়।
যুবা বয়সে শরীরের উপর কত অত্যাচার করেছি স্বেচ্ছা-পূর্বক কঠোরতা করে। তখন বুঝতে পারিনি। শরীর সুস্থ থাকা কত দরকার। এখন দেখছি শরীর ভাল না থাকলে ভগবানকে ডাকবে কে? এখন ইচ্ছা হয়—খুব ডাকি, কিন্তু শরীরে একটা-না-একটা রোগ লেগেই আছে। কি যে দুঃখ হয়, তা আর কি বলবো! রক্তের তেজ যত কম হচ্ছে, তত যেন সব চেপে ধরছে।
সাধুর যেখানে ভিক্ষা আর জলের সুবিধা আছে, সাধুরা সেইসব স্থানে থাকবে। সকালে উঠেই চিন্তা হয় কোথা ভিক্ষায় যাবো। ভিক্ষা করতে কত সময় যায়! সেইজন্য হরিদ্বার, হৃষীকেশ খুব তপস্যার জায়গা। ঐসব স্থানে সাধুরা বেশী থাকে। কারণ, ভিক্ষার ও জলের খুব সুবিধা আছে।