বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বয়সের নিরিখে উত্তম উপলব্ধি। রাজনীতিক হিসেবে তিনি বা নুসরতের মতো সেলিব্রিটিরা কতটা দাঁও মারতে পারবেন, তা সময় বলবে। এই মুহূর্তে ভোটারদের সে সব ভাবার সময় নেই। বড় পর্দার সেলেবরা তাঁদের বাড়িতে এসে হাতজোড় করে ভোট চাইছেন, এটাই বড় পাওনা। এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সচেতনতার থেকে ভোটযন্ত্রে আবেগটাই অনেক বেশি কাজ করে। তারকাদের রাজনীতির মঞ্চে আগমনের এই প্রবণতা অবশ্যই আজকের নয়। এবং তালিকাটা বেশ দীর্ঘ... এন টি রামারাও, অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, জয়ললিতা, রাজ বব্বর, বিনোদ খান্না, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, গোবিন্দা... হাঁপিয়ে গেলেও নাম শেষ হয় না। সিলভার স্ক্রিনের রমরমা গুটিয়ে যাওয়ার আগেই অনেকে নেমে পড়েছেন রাজনীতিতে। সেই অর্থে মারকাটারি সাফল্য পেয়েছেন কয়েকজন। তবে ভোট টানতে প্রায় কারওরই অসুবিধা হয়নি। এমনকী রামায়ণে রাম-সীতার ভূমিকায় হিট জুটি অরুণ গোভিল এবং দীপিকা চিকালিয়া পর্যন্ত রাজনীতিতে নেমে পড়েছিলেন (ওই সিরিয়াল ছাড়া তাঁদের আর কিছু হিট ছিল বলে মনে পড়ে না)।
সেলেবদের রাজনীতিতে টেনে আনার নেপথ্যে দলগুলির একটাই উদ্দেশ্য থাকে, ভোটারদের অনেকেই সে ক্ষেত্রে অন্তত রাজনীতির রং দেখেন না। সবচেয়ে বড় কথা, নামজাদা অভিনেতা অভিনেত্রীদের দৌড় রান্নাঘর পর্যন্ত। অর্থাৎ, বাড়ির মহিলা মহল যাঁরা খবরের কাগজে রাজনীতির খবরে চোখ পর্যন্ত রাখেন না, তাঁদের অনেকেই ভোট দিতে গিয়ে সেলেবের ছবিতেই ভোট দেবেন। এবার আবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের প্রতীকের পাশাপাশি ইভিএমে প্রার্থীরও ছবি থাকবে। অর্থাৎ সোনায় সোহাগা। কোন দলের হয়ে মিমি, নুসরত বা দেব দাঁড়িয়েছেন, সেটাও জানার বা দেখার প্রয়োজন নেই। পছন্দের অভিনেতা বা অভিনেত্রীর ছবিটি দেখতে পেলেই হল।
আর এখানেই রাজনীতির মাস্টার স্ট্রোক। একটি বা দু’টি কঠিন আসন যদি এভাবেও বের করে আনা যায়, ক্ষতি কী! যাদবপুর যেমন রাজনৈতিক দিক থেকে রীতিমতো সচেতন একটি লোকসভা কেন্দ্র। কংগ্রেসের হয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনে সিপিএম প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। সেই সময় মমতা রাজনীতিতে নবীন। আর সোমনাথবাবু দাপুটে নেতা। যাদবপুর কেন্দ্র সেই সময় যে দিশা দেখিয়েছিল, তার ভিতের উপর দাঁড়িয়েই পরবর্তী কালে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়েছে। এমন একটা কেন্দ্র থেকে কবীর সুমনও প্রার্থী হয়েছেন এবং জিতেছেন। এবার মিমি। শহর এবং শহরতলি এলাকায় মিমির জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। আর সেটাকেই পাখির চোখ করেছেন মমতা।
অন্যদিকে বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা কিন্তু ঢাকা পড়ে গিয়েছে নুসরত প্রার্থী হওয়ার পর। প্রথমত তিনিও বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার উপর সংখ্যালঘু ভোট টানতেও তিনি সক্ষম হবেন বলেই ধারণা। আর দেব নিজে তো ঘাটালে গত লোকসভা ভোটেই জিতেছেন। এছাড়া আছেন আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূলেরই মুনমুন সেন। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে এখনই ভোটে সেলেবদের ছড়াছড়ি। বিজেপি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করার আগেই। আশা করা যায়, এই কেন্দ্রগুলিতে অন্তত হঠাৎ করে ভোটাররা রাজনীতি সচেতন হয়ে পড়বেন না!