সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক ছিল শুক্রবার। শতাধিক ব্যাঙ্ক কর্তার সঙ্গে সেখানে আলোচনা করেন কমিটির চেয়ারম্যান অমিত মিত্র। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পে আমরা এবছর ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলাম। ফেব্রুয়ারির শেষে তা প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। মার্চ শেষে সেই অঙ্ক দেড় লক্ষ কোটিতে পৌঁছবে বলে আমরা আশা রাখি। অমিতবাবু বলেন, কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী প্রতি এক কোটি টাকা বিনিয়োগে ন্যূনতম ৩৭ জনের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ছোট শিল্পকে যে বিপুল ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা কর্মসংস্থানের পথ অনেকটাই সুগম করবে। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার সময় এই ঋণের অঙ্ক ছিল মাত্র ৮ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা।
অমিতবাবু দাবি করেন, তাঁর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানেও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে যেখানে ঋণপ্রাপক গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৩ হাজার, তা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছেছে ৮ লক্ষ ১৮ হাজারে। সেইসময় ঋণের অঙ্ক ছিল মাত্র ৫৫৩ কোটি টাকা। এখন প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। তাঁর আশা, মার্চ শেষে সেই অঙ্ক ২৪ হাজার কোটি ছোঁবে। গোষ্ঠীর সংখ্যা ছুঁতে পারে ৯ লক্ষ।
এদিন অমিতবাবু দাবি করেছেন, প্রকল্প শুরুর মাত্র ন’মাসেই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৪২ জন উদ্যোগপতি। কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লক্ষ ৫৬ হাজারে। সাফল্য এসেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডেও। প্রকল্প শুরুর প্রায় আড়াই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি পড়ুয়া ঋণের সুবিধা পেয়েছেন। ব্যাঙ্কগুলি তাঁদের ২ হাজার ২৩৩ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে অমিতবাবুর নির্দেশ, প্রতিটি কলেজে একজন করে নোডাল অধ্যাপক রাখতে হবে। তিনি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। পড়ুয়ারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ঋণের জন্য।