সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বাংলার তাঁত শিল্পের কদর বিশ্ব দরবারে সুপ্রিতিষ্ঠিত। বাংলায় তৈরি তাঁতের শাড়ির চাহিদা রয়েছে সর্বত্র। এই তাঁত শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য। তাতে সুতো, রং এবং আধুনিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কীভাবে তাঁত শিল্পীদের আরও স্বনির্ভর করে তোলা যায় এবং তাঁদের তৈরি জিনিসের যাতে চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তার জন্য প্রথম দফায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। রাজ্যের ১৯-২০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে শুরু হবে তাঁত শিল্পীদের প্রশিক্ষণ। দু’দফায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ দিন রং সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষাদান। পরের পাঁচ দিন ডিজাইনের ট্রেনিং। প্রতিদিন ২০ জন করে শিল্পীকে রং ও ডিজাইনের আলাদাভাবে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবেশ বান্ধব রং ব্যবহারের উপর। এই রং ব্যবহার করলে গুণগত মান যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনই শিল্পীদেরও আর্থিক সুরাহা বলে মত। শিল্পীদের এখন বেশি দাম দিয়ে রং কিনতে হয় তাঁরা পরিবেশ বান্ধব রং কোথা থেকে পাবে, কীভাবে মিশ্রণ করতে হবে, তাতে লভ্যাংশের পরিমাণ কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও প্রশিক্ষণে গুরুত্ব পেয়েছে আধুনিক ডিজাইন। সাধারণ মানুষের পোশাক পরিধানের স্বাদ প্রতিদিনই বদলাচ্ছে। ফলে নতুন প্রজন্ম থেকে প্রবীণ মানুষের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন শিল্পীদের হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। যেখানে উঠে এসেছে বালুচরি শাড়ির প্রসঙ্গ। বালুচরি পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ শাড়ি। ভৌগলিক স্বীকৃতি এবং বয়নশৈলিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্ম এটি। শাড়ির আঁচলে বহু পৌরাণিক গল্প ও অনন্য নকশা বোনা। এই শাড়িতে ইলিয়াড, ওডিসি মহাকাব্যের খণ্ডচিত্র তুলে ধরা যায় কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। রং সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিস দাস। এছাড়াও ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন প্রফেসার দিব্যেন্দুবিকাশ দত্ত। রাজ্য সরকারের ডাইরেক্টরেট অফ টেক্সটাইলের ডিরেক্টর রাজীব কুমার ঘোষ প্রশিক্ষণ শিবিরটির পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। জয়েন্ট ডাইরেক্টরেট আশিসনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চায় আধুনিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হ্যান্ডলুমের প্রভূত উন্নয়ন ও প্রসার ঘটানো। পশ্চিমবঙ্গে যন্ত্র ব্যবহার করেন এমন সাড়ে ছ’লক্ষ তাঁতশিল্পী রয়েছেন। তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলা লক্ষ্য।