গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পশ্চিম আস্তাড়া গ্রামে কৃষি খামার বিদ্যালয় থেকে ২৫ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় গত বছর। সপ্তাহব্যাপী ঝিনুক, মিল্কি, বটম, পোয়াল ছাতু বা মাশরুম বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। প্রত্যেককে নতুন এই চাষ হাতে-কলমে করার জন্য বীজ ও অন্যান্য সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরে শিক্ষার্থীদের অনেকেই মাশরুম ফলিয়ে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। ব্লকে প্রায় ১০০ জনের উপর মহিলা মাশরুম চাষ করেন। এঁদের মধ্যে অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কেউ আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই চাষ করছেন।
দুই বধূ সরস্বতী ও পূর্ণিমা খাঁড়া জানান, স্থানীয় সমবায়ের মাধ্যমে মাশরুম প্রশিক্ষণ শিবির সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। কীভাবে মাশরুম চাষ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ আমরা সফল। মাশরুম বিক্রি করতেও বেশি সমস্যায় পড়তে হয় না। বেশিরভাগই বাড়ি থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কেজি প্রতি ২০০ টাকা পাওয়া যায়। ১২ মাস এই চাষ করা যায়। এক কেজি বীজের দাম প্রায় ৩০০ টাকা। ১ কেজিতে পাঁচ প্যাকেট চাষ করা যায়। প্রতি প্যাকেট থেকে এক থেকে দেড় কেজি মাশরুম মেলে। প্যাকেটে দেওয়া খড় দেসেদ্ধ করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। কোনও রাসায়নিক সার চলে না। চাষের পরিমাণ অনুযায়ী প্রত্যেককে মাসে ২-৫ হাজার টাকা আয় করছি। সন্তানের পড়াশোনা থেকে পরিবারের অন্যান্য খরচে আমরাও সহযোগিতা করতে পারছি। তারকেশ্বর ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জীব মণ্ডল জানান, রাজ্য কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে আত্মা প্রকল্পে মহিলাদের আয়ের দিশা দেখাতে এই প্রশিক্ষণ। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা মাশরুম চাষ করে তাদের পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করেছেন। যাঁরা ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছেন, তাঁদের দেখে আরও অনেকেই এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রশিক্ষণের সময় বীজ ও অন্যান্য সামগ্রী কৃষিদপ্তর থেকেই দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র