গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাগরমেলায় এসে নিজেদের রাজ্যের খাবার চেখে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি অনেকে। ফলে প্রতিটি স্টলেই কমবেশি ভিড় জমেছিল সারাক্ষণ। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ‘সৃষ্টিশ্রী’র স্টলগুলিতে মোট ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮২৮ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। আর ‘খাদ্যছায়া’র স্টলে বিক্রি হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৩ হাজার ১০৭ টাকার খাবারদাবার। স্টলের কর্মী তথা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সব ধরনের খাবারের চাহিদা থাকলেও ইডলি, রুটি ও লিট্টি বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ‘সৃষ্টিশ্রী’তে বেশি বিক্রি হয়েছে মধু, ঘি ও হাতে তৈরি ঘর সাজানোর নানা জিনিসপত্র।
বিহার থেকে সপরিবারে সাগরে এসেছিলেন সীতানাথ ঝা। মঙ্গলবার ‘খাদ্যছায়া’ স্টলে দাঁড়িয়ে লিট্টি-চোখা খাচ্ছিলেন। তাঁর পরিবারের এক অন্য এক সদস্যকে পাশেই ইডলি খেতে দেখা গেল। সীতানাথ বলেন, ‘কলকাতায় লিট্টি পাওয়া যায়, জানি। আগে এসে খেয়েছিও। গঙ্গাসাগর মেলায়ও আমি আগে বার তিনেক এসেছি। কোনওদিন ভাবিনি, সাগর মেলায়ও জুটে যাবে লিট্টি।’ ‘সৃষ্টিশ্রী’ থেকে মধু কিনেছেন মধ্যপ্রদেশের বিভু রাই। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের মধুর কথা আগে শুনেছিলাম। হাতের কাছে এভাবে পাওয়া যাচ্ছে দেখে নিয়ে ফেলেছি। আশা করি, ভালোই হবে মধুটা।’