সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আয়কর দপ্তর সূত্র বলছে, গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) কলকাতা জোন থেকে মোট অগ্রিম আয়কর আদায় হয়েছে প্রায় ৫৬,৪২৪ কোটি টাকার। এর মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স বা শিল্প সংস্থা থেকে আদায়ের অঙ্ক প্রায় ২৯,৯৩০ কোটি টাকা। কলকাতা জোনে আছে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এর প্রায় পুরোটাই যে এরাজ্য থেকে আদায় হওয়া আয়কর, তা জানাচ্ছেন দপ্তরের কর্তারাই। সেখানে সেরা করদাতার তালিকায় যে সংস্থাগুলি আছে, তাদের কাছ থেকে আদায় হওয়া আয়করের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
আয়কর দপ্তরের কর্তারা বলছেন, কয়েকবছর ধরেই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আয়কর মেটায় আইটিসি লিমিটেড। আদায়ের নিরিখে তার ধারেকাছে কোনও সংস্থা নেই। গত অর্থবর্ষে আইটিসি যে অঙ্কের আয়কর মিটিয়েছে, তা ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। তবে সার্বিকভাবে আয়কর আদায়ের অঙ্ক আরও বেশি হতে পারত, বক্তব্য তাঁদের।
এর অন্যতম কারণ ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ। তাঁদের কথায়, একসময় কলকাতায় কর্পোরেট বা হেড অফিস ছিল এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এবং ইউবিআইয়ের। তাই তাদের আয়ের হিসেব কষা হতো কলকাতা থেকেই। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক দু’টির আয়কর জমা পড়ত এরাজ্যেরই খাতায়। কিন্তু এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে এবং ইউবিআই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশে যাওয়ায়, কলকাতা থেকে সরে গিয়েছে তাদের কর্পোরেট অফিস। তাই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির আয়কর আর কলকাতায় জমা পড়ে না।
আয়কর কর্তারা বলছেন, রাজ্য সরকারের অধীন বিভিন্ন সংস্থা বা কর্পোরেশনও ভালো আয়কর মেটাচ্ছে। তার ফলে এখানেই ঝুলি ভরছে দপ্তরের। সেই তালিকায় এগিয়ে আছে বিদ্যুৎ দপ্তরের অধীন সংস্থাগুলি। যেমন, গত অর্থবর্ষে রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা আয়কর মিটিয়েছে ১৯২ কোটি টাকার বেশি। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের মেটানো আয়করের পরিমাণ প্রায় ৬১ কোটি টাকা। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা মিটিয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এছাড়া প্রায় ৩৯ কোটি টাকা মিটিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশন।