শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
ইটিপি-তে বর্জ্য তরল পরিশোধন করার পরও খুবই সামান্য পরিমাণ দূষিত পদার্থ থেকে যায়। লেদার কমপ্লেক্সের বর্জ্য তরল থেকে পরিবেশ যাতে একদম দূষিত না হতে পারে, তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইটিপি থেকে বের হওয়া বর্জ্য তরল লেদার কমপ্লেক্সের আশপাশে কোনও নদী-জলাশয়ে ফেলা হবে না। ২৪ কিলোমিটার দূরে যেখানে নদীতে জোয়ার-ভাটা খেলে, সেখানে পরিশোধিত বর্জ্য তরল ফেলা হবে। সামান্য মাত্রায় যে দূষিত পদার্থ থাকবে, তা যাতে নদী হয়ে সাগরে চলে যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইটিপি-তে পরিশোধনের পর ৯০ শতাংশের বেশি দূষিত পদার্থ পরিশোধিত হয়ে যাবে। শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, এই সব ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের বর্জ্য তরল থেকে দূষণ সৃষ্টির কোনও আশঙ্কা থাকছে না।
লেদার কমপ্লেক্সে আরও ট্যানারি ও লেদার ইউনিট আসার জন্য ৭০ একর জায়গা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রায় দু’শো একর জমিতে এই শিল্পতালুক করা হয়েছিল। এখন এখানে তিনশোটি ট্যানারি ও ৪০টি লেদার ইউনিট রয়েছে। আগামী দিনে আরও দু’শোটি ট্যানারি ও তিনশোটি লেদার ইউনিট এখানে আসতে চলেছে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু চর্মশিল্পের বড় কেন্দ্র। দু’টি রাজ্য থেকে অনেক ট্যানারি ও লেদার ইউনিট বানতলায় চলে আসছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার ট্যানারি ও লেদার ইউনিটগুলি কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। দূষণজনিত কারণে অনেক ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। উত্তরপ্রদেশ থেকে চর্ম শিল্পোদ্যোগীরা তাই বানতলায় আসতে আগ্রহী। কিন্তু বানতলায় অনেক ট্যানারি ও লেদার ইউনিট এলেও কোনও অবস্থাতেই দূষণের সঙ্গে সমঝোতা করছে না সরকার। তাই বর্জ্য পরিশোধন এবং তা দূরে নিয়ে যাওয়ার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাম সরকারের সময় দূষণজনিত কারণে কলকাতা শহর থেকে ট্যানারিগুলি সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে শহর থেকে দূরে বানতলায় লেদার কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়।