বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিনের বাজেট নিয়ে দি বেঙ্গল চেম্বারের বক্তব্য, রাজস্ব ঘাটতি শূন্যে নামিয়ে আনা এই বাজেটে অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। গ্রুপ ডি এবং সি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি সমাজের নিম্ন আয়ভুক্ত শ্রেণির শ্রীবৃদ্ধি করবে, আশা তাদের। রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন যেভাবে বাড়ছে, তা রাজস্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে দি বেঙ্গল চেম্বার।
শিল্পে সুবিধায় এবারের বাজেটে এবার চা বাগানের উপর থেকে শিক্ষা সেস এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান সেস মকুব করেছেন অমিতবাবু। আরও দু’বছরের জন্য ওই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট বিশাল ঝাঝারিয়ার কথায়, চা শিল্পের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সদর্থক। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ করছে, তার প্রশংসার পাশাপাশি তিনি বলেন, ছোট শিল্পে ঋণের ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি অত্যন্ত ভালো বার্তা। দেশের শিল্পবৃদ্ধির হারের নিরিখে যেভাবে রাজ্য সরকার এগিয়ে গিয়েছে, তারও প্রশংসা করেন বিশাল ঝাঝারিয়া। এদিন বাজেট পেশের সময় অমিতবাবু জানিয়েছেন, গত আর্থিক বছরে যেখানে দেশে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫৪ শতাংশ, সেখানে রাজ্যের হার ১৬.২৯ শতাংশ। ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মাও চা বাগানের উপর থেকে সেস মকুব করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, এদিন বাজেট পেশের সময় শিল্পকেন্দ্রিক কোনও নীতিগত ঘোষণা হয়নি। আশা করি বেঙ্গল সামিটে সেই সংক্রান্ত বড় কোনও ঘোষণা হবে। তবে তাঁর কথায়, ১০০ দিনের কাজের মতো কয়েকটি আর্থ-সামাজিক কাজে ভালো পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি কাজ করেছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে দৃঢ় করবে। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ৫০ হাজার শিক্ষিত বেকারকে সরকার ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার যে প্রস্তাব বাজেটে রয়েছে, তা সেই বহর আরও বাড়াবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন সীতারাম শর্মা। সব মিলিয়ে এবারের রাজ্য বাজেটকে সদর্থকভাবেই দেখছেন তাঁরা।