পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
রেষারেষি এড়াতে বেশ কয়েকমাস আগে পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বাসে কমিশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা মালিকদের বলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মালিক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে দপ্তরের কর্তাদের কয়েকটি বৈঠকও হয়। কিন্তু মালিকদের একাংশ বেঁকে বসায় এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাস মালিক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলিতেই কমিশন ব্যবস্থা চলছে। রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে বাস কর্মীদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
কমিশন ব্যবস্থার পক্ষে থাকা বাসমালিকদের বক্তব্য, রেষারেষিতেই কেবল দুর্ঘটনা ঘটে না। যে সব জায়গায় বেতন ব্যবস্থা রয়েছে, তাহলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে কেন? শহর, শহরতলিতে বর্তমানে বহু রাস্তাতেই ফুটপাত বেদখল হয়ে গিয়েছে। হকাররা জমিয়ে ব্যবসা করছেন ফুটপাতে। আর যাঁদের জন্য ফুটপাত, সেই পথচারীরা বাধ্য হয়ে হাঁটছেন রাস্তা দিয়ে। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। বর্তমানে বহু জায়গাতেই বাসস্টপ চিহ্নিত করা নেই। তার জেরেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কমিশন ব্যবস্থার পক্ষে থাকা মালিকদের বক্তব্য, বাসকর্মীদের বেতন ব্যবস্থা চালু হলে পরিষেবার মান কমতে পারে। কারণ, মাসের শেষে কত টাকা মিলবে, তা নিশ্চিত করা থাকলে, প্রতি ট্রিপে বাস চালানোর ব্যাপারে অনীহা কাজ করতে পারে। স্টপ এড়িয়ে বাস ছোটানোর প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
যদিও মালিকদের এই দাবি মানতে নারাজ মালিকদেরই একটি বড় অংশ। তাদের যুক্তি, যেসব জায়গায় বেতন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, সেখানে পরিষেবার মান কমেনি। মালিকরা বাস চলাচলের উপর নজর একটু বেশি দিলেই এই আশঙ্কা আর থাকে না।
কমিশন ব্যবস্থার পক্ষে থাকা জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোট আয়ের উপর চালক ১২ শতাংশ এবং দুই কন্ডাক্টর ছয় শতাংশ করে কমিশন পেয়ে থাকেন। কোনও বাসে একজন কন্ডাক্টর থাকলে চালক ১৪ শতাংশ এবং কন্ডাক্টর আট শতাংশ হারে কমিশন পান। এই ব্যবস্থা বদলে গেলে টিকিট বিক্রি যে কমবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? আয় কমলে বাস চলবে কী করে? অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই তো কর্মীদের বেতন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। মালিকরা একটু নজর রাখলেই আয় এবং পরিষেবা, দুটোই ঠিক থাকবে।