পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
গত বছর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে রাজ্য সরকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছিল ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার। সেবার অবশ্য বিনিয়োগ প্রস্তাবের সিংহভাগ দখলে রেখেছিল উৎপাদন ও নির্মাণ শিল্প। সেই অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এর পরই ছিল ছোট ও মাঝারি শিল্প। সেখানে ৫২ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশের মতো ক্ষেত্রগুলি মিলিয়ে সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রস্তাব ছিল মাত্র ১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার। এবার সেই খামতি পূরণে শুধু কৃষিজ শিল্পের উপরই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কেন এই গুরুত্ব?
রাজ্য সরকারের দাবি, ধান উৎপাদনে যেমন বাংলা দেশের সেরা, তেমনই মাছের চারা উৎপাদনে শীর্ষ রাজ্য। অন্যদিকে, আলু এবং খাওয়ার যোগ্য মাছ উৎপাদনে দু’নম্বর স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখানকার আম, লিচুর পাশাপাশি পাট এবং চা উৎপাদনও নজরকাড়া। এইসব ক্ষেত্রগুলিকেই যদি শিল্পের জন্য আরও উপযুক্ত করা যায়, তাহলে তা কর্মসংস্থানের রাস্তা খুলতে সাহায্য করবে অনেক বেশি, দাবি সরকারের। এর পাশাপাশি ডিম, দুধ এবং মাংস উৎপাদনেও ক্রমশ এগচ্ছে রাজ্য। প্যাকেজিং সংস্থার উপস্থিতির পাশাপাশি রাজ্যে গুদামঘর এবং হিমঘরের সংখ্যা বাড়ছে। সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে খুলেছে কৃষক বাজার। আনা হয়েছে সুফল বাংলার মতো প্রকল্প। এমনকী কৃষিজ শিল্পকে ত্বরান্বিত করতে সংশোধন করা হয়েছে আইনও। সেই পদক্ষেপগুলিকেই যাতে বিনিয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেই কারণেই এবার কৃষিজ শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য। এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন পা দিতে চলেছে পঞ্চম বছরে। প্রতিবারই প্রথম দিন অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে হাজির হন তাবড় শিল্পপতিরা। তাঁদের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাগত ভাষণ। যে অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অন্যান্য রাজ্য এবং বিদেশ থেকে আসেন, তাঁরা নিজেদের মধ্যে সেক্টর ভিত্তিক আলোচনার সুযোগ পান মূলত দ্বিতীয় দিনে। এবার সেই শিল্পের মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে সামনে রেখে যে আলাদা ছ’টি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে, তারই অন্যতম কৃষিজ শিল্প।
শিল্প দপ্তরের এক কর্তার কথায়, সরকার ইতিমধ্যেই শিল্পের পরিকাঠামো গড়ার কাজে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছে। ইজ অব ডুইং বিজনেস বা শিল্পের গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই স্বীকৃত। সরকার যে পদক্ষেপগুলি করেছে ও করছে, সেগুলি গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। তাই এবারের সম্মেলনে কত টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব কোন শিল্প থেকে আসবে, তা সময় বলবে। কিন্তু যে সেক্টরগুলি বিনিয়োগের জায়গা হিসেবে ততটা গুরুত্ব পায় না, এবার সেগুলির উপরই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য।