পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
হাই-ভোল্টেজ ফাইনাল! পছন্দের ৩-২-৪-১ স্ট্র্যাটেজিতেই দল সাজান হাবাস। তিন ডিফেন্ডার আনোয়ার, ইউস্তে ও শুভাশিসের ঠিক উপরে ব্লকার দীপক টাংরি এবং বক্স টু বক্স মিডিও অনিরুদ্ধ থাপা। দুই উইং ব্যাক মনবীর ও লিস্টনের সঙ্গে জনি কাউকো ও দিমিত্রি। আর মুম্বই দুর্গে ফাটল ধরানোর দায়িত্বে জেসন কামিংস। কিন্তু প্রথম ৪০ মিনিট বল ঘুরল ছাংতেদের পায়েই। মাঝমাঠে জনি, দিমিত্রিদের চেনা ঝাঁঝ অদৃশ্য। পাসিং ফুটবলের চিহ্নমাত্র নেই। উধাও লিস্টন-মনবীরের উইং প্লেও। চাপের মুখে দাঁত কামড়ে রক্ষণে নাটবল্টু লাগিয়ে রাখলেন ইউস্তেরা। প্রথম ৪৫ মিনিটে হাফ ডজন কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ মুম্বই। এর মধ্যেই ৩০ মিনিটে লক্ষ্যভেদের কাছে পৌঁছয় পিটার ক্র্যাটকির দল। এক্ষেত্রে ছাংতের ফ্রি-কিক প্রতিহত হয় ক্রসপিসে। এরপর ৩৯ মিনিটে গতির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডানপ্রান্ত ধরে উঠে আসেন বিক্রমপ্রতাপ সিং। তার মাইনাস রিসিভ করে হাফ টার্নে নেওয়া ছাংতের শট পোস্টে ধাক্কা খায়। গুটিয়ে থাকা মোহন বাগান ম্যাচে ফেরে বিরতির ঠিক আগেই। এই পর্বে মিনিট পাঁচেকের ছোট্ট স্পেল নাড়িয়ে দিল তিরি, মেহতাবদের। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন জেসন কামিংস। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দিমিত্রির জোরালো শট চাপড়ে সামনে ফেলেন ল্যাচেনপা। এরই অপেক্ষায় ছিলেন কামিংস। অজি ফুটবলার তো ‘ফক্স ইন দ্য বক্স’! বাঁ পায়ে ছুরির মতো ধার! আলতো টোকায় বল জালে জড়ান তিনি (১-০)। উল্লেখ্য, যুবভারতীতে ওড়িশার বিরুদ্ধে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বেও একই ভঙ্গিমায় গোল করেছিলেন তিনি।
দল এক গোলে এগিয়ে। লিস্টনরা তখন টগবগিয়ে ফুটছেন। কিন্তু সেই উৎসাহ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খেল। ৫৩ মিনিটে নোগুয়েরোর ওভারহেড লব ধরে বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে বিশাল কাইথকে হার মানান পেরেরা ডিয়াজ (১-১)। আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকারকে মার্কিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন মনবীর। কিন্তু বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ তিনি। এই গোলের পর রীতিমতো তেতে ওঠে মুম্বই। কিন্তু ৬৭ মিনিটে চোটের কারণে নোগুয়েরো বাইরে যেতেই ক্র্যাটকির দলের তাল কাটে। একই সমস্যায় ডিয়াজকেও তুলে নিতে বাধ্য হন মুম্বই কোচ। অন্যদিকে, অনিরুদ্ধ থাপার পরিবর্তে সাহালকে নামিয়ে পাল্টা চাল দেন হাবাস। স্ট্র্যাটেজির ঝনঝনানির মাঝেই মেগা মঞ্চে বিপিন সিংয়ের আগমন। ২০২০-২০২১ মরশুমের আইএসএল ফাইনালে শেষ মুহূর্তে গোল করে হাবাসের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নেন তিনি। শনিবার রাতেও ছোবল মারলেন তিনি। ৮১ মিনিটে ইয়াকুবের পাস ধরে জাল কাঁপান তিনি (২-১)। সংযোজিত সময়ে ইয়াকুবের লক্ষ্যভেদ মোহন বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় (৩-১)।
মোহন বাগান: বিশাল, আনোয়ার, ইউস্তে, শুভাশিস, অনিরুদ্ধ (সাহাল), টাংরি (কিয়ান), মনবীর, জনি, দিমিত্রি, লিস্টন ও কামিংস।
মুম্বই সিটি: ল্যাচেনপা, ভেকে, তিরি, মেহতাব, ক্রোউমা, আপুইয়া, নাগুয়েরো (বিপিন), জয়েশ (বিনীথ), ছাংতে, বিক্রম ও ডিয়াজ (ইয়াকুব)।