কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ম্যাচ যেহেতু রবিবার বিকেলে, তাই চড়া রোদেই প্র্যাকটিস সিডিউল রেখেছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। নাইটদের টিম বাস যখন ক্লাব হাউসের সামনে এসে দাঁড়াল, তখন রোদের তেজে গোষ্ঠপাল সরণির পিচের রাস্তায় যেন লাভাস্রোত বইছে। এমন গরমের তোয়াক্কা না করেই চলল নাইটদের মহড়া। তবে একটু দেরিতে অনুশীলনে যোগ দেন স্টার্ক, রাসেলরা। দুই ভাবে দলের ইডেনে আগমনের পিছনে হোটেলে জিম সেশনের প্রসঙ্গই সামনে আসছে।
গত ম্যাচে ২২৩ রান তুলেও রাজস্থানের কাছে হারতে হয়েছিল। ডুবিয়েছিল বোলিং। বিশেষ করে মিচেল স্টার্কের অফ ফর্ম চিন্তায় ফেলেছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টকে। তাই বোলিং কোচ ভরত অরুণকে দেখা গেল ক্লাব হাউসের বাঁ দিকের নেটে স্পট বোলিং প্র্যাকটিস করাচ্ছেন। তিনটি স্পটে তিন রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা রাখা। সেই মতো বল করছেন অজি তারকা। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, আরও নিখুঁত নিশানায় বোলিং করার মহড়া চলছে জোর কদমে। ইয়র্কার, ইনসু্ইংয়ের পাশাপাশি গুড লেংথ ডেলিভারিতে জোর দিলেন স্টার্ক। আসলে কলকাতার গরমের মতোই সমর্থকদের ক্ষোভের উত্তাপ বেশ ভালোই টের পাচ্ছে তিনি। তবে অজি তারকা ম্যাচ উইনার। একবার ছন্দ ফিরে পেলে তাঁকে সামলানো কঠিন হবে। সেই প্রত্যাশাতেই তো ২৪.৭৫ কোটি দিয়ে স্টার্ককে দলে নেওয়া।
নীতীশ রানা ছাড়া চোট সমস্যার তেমন কোনও খবর নেই কেকেআর শিবিরে। রিঙ্কু সিং ফিট। পুরো দমে অনুশীলন করলেন। ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গেল সুনীল নারিনকে। তিনিই এখন কেকেআরের প্রাণভোমরা। রবিবারের ইডেনেও তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় পা রাখে আরসিবি। ফলে এদিন প্র্যাকটিসের সুযোগ ছিল না ক্যামেরন গ্রিন, দীনেশ কার্তিকদের সামনে। দলের সঙ্গে আসনেনি বিরাট কোহলি। তিনি মুম্বই থেকে আলাদা বিমানে বিকেল চারটের পর শহরে পৌঁছান। ছিলেন খোশ মেজাজে। কেকেআর-আরসিবি ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রে কোহলিই। তাঁকে ঘিরে উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। বাড়ছে টিকিটের চাহিদাও, যা চব্বিশের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। শুক্রবার সিএবি’তে দেখা গেল না বড় কর্তাদের। টিকিটের চাহিদা মেটাতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। তাই অনেকেই আন্ডারগ্রাউন্ডে।
শনিবার কোহলিরা প্র্যাকটিসে নামার পর এই উত্তাপ যে আরও কয়েক ডিগ্রি বাড়বে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।