কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চলতি আইপিএলের শুরুর দিকে ফর্ম হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন যশস্বী। তাই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে তাঁর জায়গা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সোমবার দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে অনিশ্চয়তার যাবতীয় কালো মেঘ হটিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। রাজস্থান রয়্যালসকে ম্যাচ জেতানোর পথে ৬০ বলে তাঁর অপরাজিত ১০৪ রানে ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কায়। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েকটি ম্যাচে বড় রান না পেলেও আত্মবিশ্বাস অটুট ছিল। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। শুরু থেকেই বলের মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। তাতেই সেঞ্চুরি এসেছে। তবে সাফল্যে গা ভাসাতে নারাজ। আগামী ম্যাচগুলিতেও এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে।’ পাশাপাশি রোহিত শর্মাকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন যশস্বী। তাঁর কথায়, ‘রোহিত ভাই বলেছিল, কঠিন সময়েও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে। সেই পরামর্শ কাজে লেগেছে।’
রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও প্রশংসায় ভরিয়েছেন জয়সওয়ালকে। তাঁর বক্তব্য, ‘যশস্বীকে নিয়ে একেবারেই চিন্তায় ছিলাম না। জানতাম, ওর ফর্মে ফেরা কেবল সময়ের অপেক্ষা। দুরন্ত ব্যাট করল ও।’ যশস্বীর পরিণতবোধে মুগ্ধ লারাও। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বলেন, ‘মুম্বইয়ের বোলাররা ওর ফোকাস নাড়াতে পারেনি। শুরুতে একটু সময় নেওয়ার পর সুন্দর ক্রিকেটীয় শট খেলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেল। ও ক্রমশ পরিণত হচ্ছে।’ পরিসংখ্যান বলছে, ২৩ বছর বা তার কম বয়সি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে দু’টি শতরান হাঁকালেন যশস্বী। আর দু’টিই এসেছে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। ম্যাচের পর সুনীল গাভাসকর মজা করে তরুণ ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেল। আর তাদের বিরুদ্ধেই বড় বড় শতরান হাঁকাও!’ হেসে যশস্বীর জবাব, ‘না, সেভাবে ভাবি না। প্রতি ম্যাচেই ভালো খেলার চেষ্টা করি।’