সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গত বছর চোট সমস্যা ভীষণভাবে ভুগিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি শ্রেয়স আয়ার। চব্বিশের টুর্নামেন্টের চাকা গড়াতে না গড়াতেই সেই সমস্যা ফের মাথা চাড়া দিয়েছে নাইট শিবিরে। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট হর্ষিত রানার ফিট হয়ে ওঠা স্বস্তি দিলেও ম্যানেজমেন্টের কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ ফেলেছে নীতীশের বাঁ হাতের আঙুল ফোলা। রবিবারের ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভবনা ক্ষীণ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন নীতীশ। তা এখনও সারেনি। গত তিনটি ম্যাচে ছিলেন স্কোয়াডের বাইরে। তিনি জানেন এক হাতে ব্যাট করা যায় না। তবুও এদিন ঝুঁকি নিলেন। মনকে সান্ত্বনা দিতে মঙ্গুশ জাতীয় ছোট আকৃতির ব্যাট নিয়ে এক হাতে নক করলেন। আর ব্যান্ডেজ করা আঙুলটা লুকিয়ে রাখলেন পিছনে। এই ঘটনা থেকে দু’টি বার্তা পাওয়া গেল। প্রথমত তিনি দলের প্রতি কতটা অনুগত তা বোঝা গেল। আর সেই সঙ্গে সতীর্থদেরও বোঝাতে চাইলেন, যাবতীয় বাধা অতিক্রম করেই লড়াই ময়দানে সেরাটা মেলে ধরতে হবে যে কোনও মূল্যে।
এই মন্ত্রই ছেলেদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন গৌতম গম্ভীর। মেন্টর হিসেবে কেকেআরে তাঁর প্রত্যাবর্তন বদলে দিয়েছে কেকেআর শিবিরের চিত্রপট। রিঙ্কু সিং, রাসেলদের মধ্যে জয়ের খিদে স্পষ্ট হচ্ছে অনুশীলনে। দলের মঙ্গলকামনায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন গম্ভীর।
এবারের আইপিএলে কেকেআরের সাফল্যের পাসওয়ার্ড এখনও পর্যন্ত দুই ক্যারিবিয়ান সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেল। তাঁদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মুহূর্তে বদলে দিচ্ছে ম্যাচের রং। বিশের ক্রিকেটে বয়স যে শুধুই সংখ্যা মাত্র, তা কিন্তু নারিন-রাসেলদের জয়ের উদগ্র বাসনায় স্পষ্ট। অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরালেন দু’জনেই। নেটে ব্যাটিংয়ের পর নারিনকে দেখা গেল নাকল বলে সতীর্থ রাসেলকে বোকা বানাতে। কখনও কখনও ব্যর্থ হলেন তিনিও। রাসেলের জোরালো শট গিয়ে পড়ল একেবারে হাইকোর্ট প্রান্তের সীমানা অতিক্রম করে। এই ফর্ম যদি বজায় থাকে, তাহলে নববর্ষের বিকেলে আরও একবার রাসেল ঝড় আছড়ে পড়তে পারে ক্রিকেটের নন্দনকাননে।
শুক্রবার ইডেনের নেটে মারমুখী রাসেল। ছবি: শান্তনু বিশ্বাস